ঈদে ঘুরাঘুরির এক তিক্ত অভিজ্ঞতা।
আজ- ৩০শে চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, বসন্তকাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
যাই হোক, এবারের ঈদে দূরে কোথাও যাওয়া হয়নি। সব সময় দেখা যায় ঈদের সময়টাতে ঘুরতে যাওয়ার একটা প্ল্যান থাকে তবে এবার সেটি হয়নি। বাসায় বসে কাটানো হয়েছে পুরো ঈদের দিনটা। ঈদের পরের দিন অবশ্য ফ্যামিলির সাথে একটু ঘুরাঘুরি হয়েছে আর ঘুরতে গিয়ে যে তিক্ত এক অভিজ্ঞতা সম্মুখীন হয়েছি সেটিই আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
ফ্রেন্ড সার্কেল নিয়ে তো আমাদের এদিক সেদিক অনেক ঘুরাঘুরি হয় তবে আমাদের বিশেষ করে ছেলেদের ক্ষেত্রে ফ্যামিলি টাইম স্পেন্ড করাটা খুবই কম হয়। আমার ক্ষেত্রেও ঠিক তাই । তবে এবারে ঈদে দিন যেহেতু বাসায় কেটেছে তাই ভাবলাম ঈদের পরের দিন আশেপাশে কোথাও থেকে ফ্যামিলি নিয়ে একটু ঘুরে আসা যাক। তো যেই ভাবা সেই কাজ। কোথায় যাব ঘুরতে এমন চিন্তায় হঠাৎ মাথায় আসলো ফাইজলেক যাওয়ার কথা। ফয়েজ লেক থেকে ঘুরাঘুরির ইচ্ছাটা থেকেও মূল বিষয়টা ছিল আমার এক কাজিনের বাসা থেকে ঘুরে আসার। ওর বাসাটা ফয়েজ লেকের খুব কাছে। বাসা থেকে দূরত্ব মাত্র ২-১ মিনিটের। তাই ভাবলাম ওনার বাসা থেকেও ঘুরে আসা যাবে।
তাই দুপুরের খাওয়া-দাওয়া সেরে চলে গেলাম আমার ঐ কাজিনের বাসার উদ্দেশ্যে। কিছুক্ষণ ওদের বাসায় বসে সকলে মিলে গল্প-স্বল্প করে ওদেরও সাথে নিয়ে আমরা চলে গেলাম চিড়িয়াখানায়।
ওখানে গিয়ে তিক্ত এক অভিজ্ঞতা সম্মুখীন হতে হয়েছে। ওখানে এতই মানুষ যে ভালো করে দাঁড়ানোর কোন সুযোগ নেই। প্রচন্ড ভিড় মানুষের।
এমনিতে যেকোনো ঘুরাঘুরির জায়গাতে ঈদের এই সকল সিজনগুলোতে সব সময় দেখা যায় প্রচন্ড ভিড় থাকে। আর এই সকল ভিড়ে অনেক বাচ্চারাও হারিয়ে যায়। এসব জায়গায় গুলোতে ঈদের ঘুরাঘুরির আনন্দ থেকে সাজাটাই বেশি মনে হচ্ছিল আমার কাছে তখন।
প্রচন্ড ভিড়ে অতিষ্ঠ হয়ে ১০-১৫ মিনিটেই আমরা ওখানে থেকে বাসায় চলে আসি।ফেরার পথে শিকার হতে হয়েছে আর এক ভোগান্তির। ওই সময়টাতে কোন গাড়ি পাওয়া যাচ্ছিল না। প্রায় ১৫ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করার পর যখন কোন সিএনজি পাচ্ছিলাম না তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম রিকশা দিয়ে ফেরার। যদিও ওই জায়গা থেকে আমাদের বাসার দূরত্ব অনেকখানি তারপরও কোন গাড়ি পাওয়া যাচ্ছিল না তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, রিকশা দিয়ে যতটুক যাওয়া সম্ভব ততটুকুই গিয়ে কোন সিএনজি পেলে আমরা সিএনজিতে উঠে যাব। আর এইভাবে করে বিশ মিনিটের রাস্তা আমাদের পার করতে সময় লেগেছে এক ঘন্টার ও কাছাকাছি।
আজ তাহলে এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী দিন আবার ও ভিন্ন কোন আলোচনা নিয়ে। আল্লাহাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
ঈদ আমাদের জীবনে আনন্দ বয়ে আনে। তাই ঈদের দিন চার দেয়ালের মধ্যে থাকতে মন চায় না। ঈদের দিন সম্ভব না হলেও ঈদের পরের দিন বাহিদের পরে দুই দিন মোটামুটি ঘোরাফেরা করতে মন চায় বিভিন্ন স্থানে হয় আত্মীয়র বাসা না হয় পার্ক অথবা প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝে। ঠিক তেমনি আপনার আজকের এই ঈদ অনুভূতি। তবে অতিরিক্ত মানুষের মধ্যে আমারও চলাচল করতে ভালো লাগেনা। ঠিক তেমনি আপনার অনুভূতিটা করলাম। যেখানে মানুষের ভিড়ে বেশিক্ষণ থাকতে না পেরে দশ পনেরো মিনিট পর চলে এসেছেন। আর ঈদের এই মুহূর্তে গাড়ির সমস্যা সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। এমন ভোগান্তির শিকার আমি গত বছর পড়েছিলাম তাই এবার আর অন্য গাড়ির আশা করিনি। নিজের বাইক যতক্ষণ কাছে ছিল ততক্ষণ আমি বাইরে ছিলাম। জয় হোক বেশ ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি জেনে।
ঈদের ভ্রমণের মুহূর্তগুলো অনেক আনন্দের ছিল। তবে এই ভ্রমণের মুহূর্তগুলো আবার ভয় আছে, কারণ যে গরম পড়েছে এই গরমে কখনো আবার কালবৈশাখী ঝড়ের মধ্যে পড়ে যায়। সেটা বলা যায় না। যাইহোক আপনারা ভ্রমন করেছেন এবং সেখান থেকে ফেরার পথে গাড়ি পাননি, এটা আসলে অনেক বড় একটি ভোগান্তির। যদি আপনারা রিক্সা নিয়ে বাসায় আসার চেষ্টা করেছেন, তবে অনেকখানি এত দূরে রিকশা নিয়ে যাওয়াটা অনেক কষ্টকর। যাই হোক আপনার ভ্রমণের মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে ঈদের সময় সবাই ছুটি পেয়ে বাড়িতে চলে আসে সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করার জন্য। বিশেষ করে এইরকম চিড়িয়াখানাতে ফ্যামিলি নিয়ে অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটানোর প্রত্যাশা সবারই থাকে । আপনি ঈদের পরের দিন পরিবারকে নিয়ে কাজিনের বাড়িতে গিয়ে চিড়িয়াখানা যাইয়া তিক্ত অভিজ্ঞতা স্বীকার হয়েছেন ।এরকম সুন্দর পরিবেশে বেশি লোক হলে আসলেই অনেক খারাপ লাগে। যেটা আপনার কাছে লেগেছে আমাদের সাথে সেই মুহূর্ত এবং গল্প শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এটা ঠিক আমরা ছেলেরা সাধারণত বন্ধু বান্ধব নিয়ে বেশি ঘুরাঘুরি করে থাকি। তবে মাঝেমধ্যে পরিবার নিয়েও ঘুরাঘুরি করা উচিত। যাইহোক ঈদের সময় চিড়িয়াখানা, পার্ক কিংবা অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্র গুলোতে প্রচুর ভিড় হয়ে থাকে। আর প্রচুর ভিড় হলে ঘুরাঘুরি করতে খুবই বিরক্ত লাগে। যাইহোক ফয়েজ লেকে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা হওয়ার পর, বাসায় ফেরার সময়ও তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাহলে। সবমিলিয়ে একেবারে বাজে সময় কাটিয়েছিলেন আপনারা। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঈদ উপলক্ষে সবাই কমবেশি ঘোরাঘুরি শুরু করেছে যার কারণে রাস্তায় তুলনামূলক যানজট লেগে আছে যার কারণে ২০ মিনিটের পথ আসতে এক ঘন্টা সময় লেগেছে।
ঈদের পরবর্তী সময়ে এমন স্পটগুলোতে উপচে পড়া মানুষের ভীড় থাকে বেশি। এজন্য ফ্যামিলি নিয়ে ঘুরতে না যাওয়ায় ভালো এমন জায়গায়। গরমে তো ঘুরাও যায় না ভালো করে। তার উপর গাড়িও পাচ্ছিলেন না।
যেকোনো ঘোরার জায়গায় কোনো ওকেশনে প্রচণ্ড রকম ভিড় থাকে। ওখানে ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্তই আপনাদের মনে হয় ঠিক ছিল না। শুধু শুধু টিকিট কেটে ভিতরে ঢুকেছেন ঘুরতে তো পারলেন না। এটি অবশ্য ভালো বুদ্ধি করেছিলেন যে রিক্সায় করে কিছুদূর যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে। তা না হলে আরো কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হতো তার কোন ঠিক ঠিক ঠিকানা নেই।
এবারের ঈদটা আমার একেবারে বাড়ির মধ্যে ঘরের মধ্যে কেটেছে। ঈদে ছুটি থাকাই সবাই ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করে। সেজন্য এই সময় বিভিন্ন পর্যটক কেন্দ্রে অসংখ্য মানুষের ভীড় হয় যেটা বলে বোঝানোর মতো না। এইরকমই একটা ভোগান্তির স্বীকার হয়েছেন আপনারা। প্রথমত গরম তার উপর আবার এইরকম ভীড় সত্যি অসহনীয় একটা অবস্থা। যাইহোক একটা তিক্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করলেন ঈদে ঘুরতে গিয়ে।