শৈশবের চিন্তাধারা।
আজ- ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শরৎকাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
যাইহোক আজ ছোটবেলার একটি ঘটনা মনে পড়ে গেল। ছোটবেলাটা আসলে অন্যরকম ভাবে আমাদের জীবনগুলো কেটেছে। এখন আমরা যেভাবে এত কিছু বুঝি জানি ছোটবেলা কিন্তু আমাদের অত ধারণা ছিল না যেকোনো বিষয়ে সম্পর্কে আমরা তখন নিজেরাই নিজেদের মতো করে চিন্তা করতাম ভাবতাম এবং সবকিছুতে একটা ছোটখাটো আনন্দ খুঁজে পেতাম। কিন্তু যেটা আসলে এখন একদমই পাওয়া সম্ভব না।
যাই হোক আমি যেটা বলছিলাম। ছোটবেলাটাতে প্রচুর কল্পনা করতাম। তখন ওই ছোট্ট মাথায় আনমনে কত যে ভাবনা ঘুরপাক খেতে তা বলে শেষ করা যাবেনা। আমি ভাবতাম আমার দেখা প্রিয় সে কার্টুন গুলোর মত আমিও যদি কোন এক দৈত্য পেতাম যে কিনা আমার কথায় উঠবে বসবে এবং আমার সব ইচ্ছে পূরণ করবে। আমার হোমওয়ার্ক গুলো করে দিবে, আমার যখন যা ইচ্ছা আমার সামনে তা এনে দিবে এবং এতগুলো খেলনা আমার সামনে এনে দেবে যাতে আমি সারাটা দিন খেলা করে কাটাতে পারি। খুব সুন্দর একটি জীবন পরিচালনা করব। । আম্মু আব্বুর কোন শাসন থাকবে না সেখানে। যদিও বিষয়গুলো অবাস্তব তারপরেও কল্পনায় কিন্তু এমনটাই করতাম এখন বেশ আনন্দ পেতাম এখন অনেকটা ভালো লাগা কাজ করতো ।
আমি জানিনা আপনাদের ছোটবেলাটাতে কখনো এমনটা ভেবেছেন নাকি। তবে আমি কিন্তু বেশ ভেবেছি। আরো ভাবতাম আমার মধ্যে যদি কোন সুপার পাওয়ার থাকতো, যে আমি সবকিছুকে নিজের মত করে সাজিয়ে নিতে পারব। তাহলে কতই না ভালো হতো। কোন কাজ করতে হত না। যখন যা ইচ্ছা তাই করতে পারতাম। মানুষের সাহায্য করতে পারতাম এবং সকলের কাছে পরিচিত এবং ভালো মানুষ হয়ে থাকতে পারতাম। এরকম নিজের মধ্যে আরো কত কত যে আজব কল্পনায় ডুবে যেতাম। সেটা আসলে এখন যখন ভাবি তখন বেশ মজা লাগে এবং এখন ভাবি যে তখন ওই সময়টাতে কতইনা বোকা ছিলাম কতই না অবুঝ ছিলাম।
তবে মাঝে মাঝে মনে হয় অবুঝ ছিলাম, বোকা ছিলাম, কম জানতাম বিধায় এতটা সুখে ছিলাম অতটা ভালো ছিলাম। আর যখন খুব জেনেছি বুঝেছি এবং বাস্তবতা শিখেছি তখন মনে হয় যেন জীবনের সব রং একটু একটু করে হালকা হতে শুরু করেছে। শৈশবের সেই আগের মত রঙিন স্বপ্নগুলো আর নেই।
কিন্তু একটা জিনিস সত্য যে ছোটবেলার সেই কল্পনার মত এখনো চাইলে কিন্তু নিজের মধ্যে সেই সুপার পাওয়ার অর্জন করা যায় নিজের কর্ম এবং নিষ্ঠার মাধ্যমে। আপনি চাইলে সকলের প্রিয় হয়ে উঠতে পারেন আপনার কর্মের মাধ্যমে। আপনি চাইলে সব অর্জন করতে পারেন আপনার পরিশ্রমের মাধ্যমে। ছোটবেলার সেই সুপার পাওয়ার হয়তো অবাস্তব ছিল তবে ভিন্ন আঙ্গিকে তা পূরণ করা সম্ভব।
যাইহোক আজকে তাহলে এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী দিন আবারও ভিন্ন কোন আলোচনা নিয়ে আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
ছোটবেলায় আমিও এমনটা ভাবতাম ভাই। ভাবতাম আমার যদি আলাদীনের একটি চেরাগ থাকতো,তাহলে ঘষা দিয়েই দৈত্যকে আমার সামনে হাজির করতাম এবং নিজের সব ইচ্ছে পূরণ করতাম😂। শৈশবে আমরা অবুঝ ছিলাম বলেই এসব ভাবতাম। তবে ছোটবেলার দিনগুলো সত্যিই দারুণ ছিলো। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ছোটবেলায় সাধারণত আমাদের কৌতূহল কল্পনাশক্তি বেশি হয়ে থাকে। আর সুপার পাওয়ারের কথা বলছেন ঐটা কে না ভেবেছে। কত ভেবেছি ইস আমি যদি স্পাইডার ম্যানের মতো উড়ে বেড়াতে পারতাম।। বেন টেন এর মতো বিভিন্ন রুপ ধরতে পারতাম। বলতে গেলে ছোটবেলায় একটা জায়গাই আমরা সবাই এক।