একটু একটু করতে করতে অনেকটা সময় পার করে ফেলি আমরা।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
আমাদের জীবনটানা একেক দিক থেকে একেক রকম। আচ্ছা, ওই গল্পটার কথা মনে আছে তো , যে মানুষটার কাছে শর্ত ছিল , যতটুক পর্যন্ত দাঁড়াতে পারে ততটুকু পর্যন্ত জমিটা তার এবং সূর্যাস্তের আগে তাকে ফিরে আসতে হবে। তখন ঐ ব্যক্তিটা দৌড়াতে দৌড়াতে অতদূর পর্যন্ত দৌড়ায় যে আর ফিরে আসার সময়টুকু আর পাইনি । ফিরে আসলেও সে আর বেঁচে থাকেনি। অথচ সে যদি তার সাধ্য অনুযায়ী দূরত্ব পর্যন্ত যেত এবং সময়ের মধ্যে ফিরে আসতে তাহলে এই জমিগুলো তার হত। লোকটি জীবনে অনেক জমির মালিক হতে চেয়েছে, আর সেটি সে পেয়েছি ঠিকই কিন্তু জীবনটা আর পাইনি।
আমাদের জীবনে ক্ষেত্রেও এমন আমরা অর্থ সম্পদের পিছে ছুটে ছুটে একসময় মূল্যবান জীবনটাই আর পায়না। অথচ এই জীবনটার জন্যই এত অর্থ সম্পদের প্রয়োজন। জীবনের লক্ষ্য থাকবে, প্রাপ্তি থাকবে, ছুটে চলতে হবে কিন্তু আরেকটু আরেকটু এভাবে করতে করতে জীবন আশা স্বপ্ন বাড়াতে বাড়াতে আমরা জীবনের সেই মূল্যবান সময় গুলোয়কে হারিয়ে ফেলি ।
আমাদের মত ইয়াং বেনারেশনের মানুষদের একটাই লক্ষ্য থাকে জীবনের সেটেল হওয়া। জীবনের এই সেটেল হতে হতে অনেকটা সময় জীবনটা থেকে বাদ পড়ে যায়। সময়ের প্রবাহের সাথে সাথে জীবনে শক্তিটাকে হারিয়ে ফেলি। জীবনটাকে ক্ষয় করে ফেলি তখন আর উপভোগ বলে কিছুই থাকেনা জীবনে । সব সময় মাথায় রাখি আর একটু সেটেল হওয়া যাক - আর একটু, আর একটু এভাবে একটু একটু করতে করতে অনেকটুকু সময় গড়িয়ে যায় জীবন থেকে।পরে কোন এক পর্যায়ে এসে হয়তো আফসোস করি জীবনে এতোটুকু সেটেল না হয়েও জীবনটাকে সুন্দর করে নিতে পারতাম।
ওই দৌড়ানো লোকটি সে সম্পদের লোভে দৌড়াতে দৌড়াতে একসময় সে সম্পত্তি আর সে ভোগ করতে পারেনি। সে শুধু ভেবেছে আমি আর একটু দৌড়ায় তাহলে আমি আরো সম্পত্তির মালিক হব। কিন্তু সে ভুলে গিয়েছে তার ফিরে আসার বিষয়টি। আমরা অনেকটাই এই রকম, আমাদের জীবনে নিজেকে সেটেল হওয়ার পিছনে ছুটতে ছুটতে এক সময় অনেকটা বয়স পার করে ফেলি। তখন বুঝতে পারি জীবনের সেটেল হওয়া ছাড়াও স্বাভাবিক গতিটি বজায় রাখা উচিত ছিল।
যাইহোক আজ, আজ একান্তই কিছু ব্যক্তিগত মতামত শেয়ার করলাম। জানিনা কথাগুলো আপনাদের কেমন লাগবে তবে এটাই বাস্তব, এটাই সত্য। তো আজ এই পর্যন্তই, সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন দেখা হবে আবারো পরবর্তী দিন ভিন্ন কোন বিষয় নিয়ে আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
আজকের লেখাগুলো আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে ভাইয়া। আর এটা একদমই ঠিক, একটা কিছু অর্জন করার উদ্দেশ্যে ছুটতে ছুটতে যদি বয়সটাই পার করে ফেলি তাহলে তো জীবন উপভোগ করা সম্ভব হবে না। আর জীবন উপভোগ না করলে জীবনে অনেক কিছু পাওয়ার কোন মানে নেই। গল্পটার সাথে আমাদের বাস্তব জীবনে অনেক মিল রয়েছে। আমরা ছুটতেই থাকি একটু একটু করে আরো বেশি কিছু পাওয়ার আশা করি। কিন্তু একসময় দেখা যায় এই বেশি কিছু ভোগ করার মত জীবন আর বেঁচে নেই, ভালো লাগলো পড়ে।
খুবই চমৎকার একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে যে গল্পের কথাটা বলেছেন এই গল্পটি পড়েছিলাম ছোটবেলায়। আসলে মানুষ হয়তোবা এমনই এরা নিজেকে একটু গুছিয়ে নিতে চায় কিন্তু তারা এটা হয়তোবা জানে না নিজেদের গুছিয়ে রাখতে গিয়ে একটা সময় তারা নিঃশেষ হয়ে যাবে যেমনটা সেই মানুষটা দৌড়ে দৌড়ে ফিরে আসতে পারেনি ফিরে আসতে পারলেও সে মারা গিয়েছে। মৃত্যু অবদি মানুষ নিজেকে সেটেল করতে চায় কিন্তু সেটা হয়তো বা নির্দিষ্ট একটা সময় পড়ে শেষ হয়ে যায়। ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোষ্ট তুলে ধরার জন্য।
জি ভাইয়া মনে আছে আপনি যে উদাহরণটা দিয়েছেন সেই গল্পটি বহুবার পড়েছি। তাইতো জীবনে অর্থ সম্পদের ততটা লোভ করি না। যখনই সময় পাই প্রকৃতির কাছে ঘুরতে চলে যাই। তবে আমি মনে করি জীবনে কোন কাজই থামিয়ে রাখা উচিত নয় পরে করবো বলে। যখন চোখের সামনে যে কাজটি আসবে সেটি করে ফেলা ভালো। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আজকের পোস্টটি থেকে আমরা অনেক কিছু শিক্ষা পেলাম। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
বাংলা বইয়ে এমন গল্পটা পড়েছিলাম! সূর্যাস্ত পর্যন্ত যতদূর যাওয়া যায় ততটুকু জমি তার। কিন্তু লোকটি ভুলেই গিয়েছিল ফিরে যে আসতে হবে জমিদারের কাছে! তা আর ফিরতে পারলো কই! জীবনটাকেই হারালো। এজন্য আমাদেরও উচিত স্বাভাবিক জীবন ব্যবস্থা বজায় রাখা
ভাই আমারও সারাবছর ঠান্ডা সর্দি লেগে থাকে। যাইহোক এই উদাহরণটি আমার মনে হয় সবাই পড়েছে। আমি এটা সবসময়ই ভাবি যে, টাকা পয়সার পিছনে এতো না ছুটে জীবনটাও উপভোগ করা উচিত। কারণ এমনিতেই আমাদের গড় আয়ু কম। তার মধ্যে যদি আমরা বেশিরভাগ সময় অর্থ সম্পদের পিছনে ব্যয় করে ফেলি,তাহলে জীবনটা উপভোগ করতে পারবো না এবং পরকালের জন্য আমল করতে পারবো না। আমাদের সবার মনে রাখা উচিত, এই পৃথিবীতে আমরা দুই দিনের মেহমান মাত্র। তাই মোটামুটি ভালোভাবে চলাফেরা করার মতো টাকা পয়সা থাকলেই যথেষ্ট। যাইহোক এতো চমৎকার একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আমি মনে করি জীবনে বেঁচে থাকতে হলে এত অর্থ এত সম্পদের কোন প্রয়োজন নেই। জীবন তো একটাই এবং মৃত্যু আমাদের অনিবার্য। তো এটা জানার পরেও মানুষ কেন জানি অর্থের পিছনে এত ছুটে চলে সেটা বুঝি না। কারণ সবকিছুর মায়া ত্যাগ করে একদিন এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে। তাই মানুষের উচিত সবকিছুর মধ্যে ব্যালেন্স ঠিক রেখে চলাফেরা করা। সেই সাথে জীবনকে খুব সুন্দরভাবে উপভোগ করা।
আমাদের অবস্থা হলো লোভে পাপ পাপে মৃত্যু।লোভের বসে আমরা টাকা পয়সার পিছনে ছুটতে ছুটতে কখন যে জিবনের চলা থেমে যায় তা বুঝতে পারি না।পোস্টের গল্পের লোকটির মতো যতোদূর পর্যন্ত দৌড়ে যেতে পারবে ততদুর পর্যন্ত সে পাবে।কিন্তুু সে ভাবে নি যে সে কি আদৌ ফিরতে পারবে ফিরতে পারলেও কি বেঁচে থাকবে।এসব না ভেবে আমরা টাকা পয়সা ধন বদৌলতের পিছনে ছুটতে ছুটতে জিবনটাই শেষ করে ফেলি।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
আসলে ছোটবেলা থেকেই শুরু হয়ে যায় এরকম একটু একটু করে সময় পার করা,আর উপরের দিকে যাওয়া।আবার শুরু হয় নিজেকে বড় ও প্রতিষ্ঠিত করে তোলার সংগ্রাম। এভাবে করতে করতে দিনগুলো যেন কিভাবে হারিয়ে যায়। একটা সময় দেখা যায় যে জীবনকে উপভোগ করার মত কিছুই পেলাম না। সেজন্য আমি মনে করি ছোট ছোট জিনিসগুলোকেউ উপভোগ করতে হবে। জীবনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে উপভোগ করলে তাহলে কিছুটা হলেও জীবন সার্থক হবে।