মজাদার ডিম পরোটা রেসিপি।
আজ - ২৫ই ভাদ্র | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | বৃহস্পতিবার | শরৎকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আজ আমি আপনাদের সাথে দোকানের স্বাদের ডিম পরোটার রেসিপি শেয়ার করব।
বিকেলের নাস্তা হিসেবে আমরা সকলে একটু ভাজাপোড়া খেতে পছন্দ করি। আর ভাজাপোড়া নাস্তা গুলোর মধ্যে ডিম পরোটা অন্যতম। আমরা যদি ও এই ডিম পরোটা দোকান থেকে কিনে নিয়ে নিয়ে খাই। তবে আমরা এটিকে চাইলে খুব সহজেই ঘরে তৈরি করে নিতে পারি। আর এই ডিম পরোটা উপকরণগুলো মোটামুটি সব সময় সবার বাসায় থাকে। খুবই অল্প উপকরণ লাগে এটি বানাতে। আর ডিম পরোটা বানাতে তেমন বেশি সময় লাগে না।
আমি এই ডিম পরোটা রেসিপি একজন দোকানদারের কাছ থেকে শিখেছি। ওই দোকানের ডিম পারাটা অনেক মজার হয়তো আমি ওখান থেকে রেসিপিটি শিখে নিয়েছিলাম। যাই হোক আমি আপনাদের সাথে মোগলাই ডিম পরোটা রেসিপি শেয়ার করতে চলেছি। আর আমার এই রেসিপিটি ফলো করে বানালে একদমই দোকানের মতো স্বাদ পাওয়া যাবে।
ছবিঃ ডিম পরটা।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- আটা – ২ কাপ।
- ডিম – ৩ টি।
- কাঁচামরিচ – ৪ টি।
- পেঁয়াজ কুচি – ১/২ কাপ।
- লবণ – স্বাদমতো।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথম ধাপঃ
- প্রথমের পরিমান মতো আটা দিয়ে একটি ডো তৈরি করে নেব। এবং এটিকে বিশ মিনিটের জন্য রেখে দিব।
দ্বিতীয় ধাপঃ
- এরপর একটি বাটিতে ডিম ৩ টি কে ভেঙে নেব এবং পেঁয়াজ কুচি, মরিচ কুচি ও পরিমান মতো লবণ দিয়ে মেখে নেব।
তৃতীয় ধাপঃ
- পূর্বের তৈরি করা ডো গুলো দিয়ে ৫ টি ছোট ছোট রুটি তৈরি করে নেব। প্রথমে একটি রুটিন নিব ওই রুটির এর উপর একটু তেল ও আটা দিয়ে দিব। এবং একই পদ্ধতিতে চারটি রুটির একটির পর একটি এভাবে লেয়ার তৈরি করে নেব।
চতুর্থ ধাপঃ
- এরপর ওই রুটি গুলোকে একসাথে বেলে একটি বড় রুটি বানিয়ে নেব।
পঞ্চম ধাপঃ
- এরপর চুলাতে তাওয়া গরম করতে বসিয়ে দিব।
ষষ্ঠ ধাপঃ
- তাওয়া গরম হয়ে গেলে এতে পূর্বের তৈরি করে রাখার রুটিকে ছেঁকে নিব।
সপ্তম ধাপঃ
- রুটি গুলোকে ছেঁকে নেওয়ার পর হাত দিয়ে রুটিগুলো আলাদা করে নিব।
অষ্টম ধাপঃ
- এরপর একটি রুটি নিব এবং এর ওপর মেখে রাখা ডিমগুলো মধ্যে দিয়ে ভাজ করে নেব। এখানে উল্লেখ্য যে, ভাঁজগুলোকে ভালোভাবে জুড়ে দেওয়ার জন্য আটা দিয়ে একটি আঠা তৈরি করে নেব।
নবম ধাপঃ
- এরপর একটি কড়াইতে তেল গরম করতে দিব। তেল গরম হয়ে গেলে এতে পরোটা দিয়ে দিব।
দশম ধাপঃ
- হালকা আঁচে পরোটাগুলোকে কিছুক্ষণ ভেজে নিব। কিছুক্ষণ ভাজার পর যখন দেখব পরোটার কালার পরিবর্তন হয়ে বাদামী রঙের এসেছে। তখন নামিয়ে নিব।
ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার মোগলাই পরোটা।
এটিকে আপনারা চাইলে সালাদ অথবা সস যেকোনো একটি দিয়ে খেতে পারেন। আমাদের বাসায় সকলে সালাদ দিয়ে খাই তবে আমার সস দিয়ে খেতে ভালো লাগে।
সকলকে ধন্যবাদ।
100 SP | 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP |
ভাইয়া অনেক সুন্দর রেসিপি তৈরি করেছেন। আমার তো দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। খুবই মজা করে খেয়েছেন বুঝি।
ভাই ডিম পরোটা আমিও খুব ভালোবাসি। তবে আমি ডিম পরোটা সকালে খেয়ে থাকি। কমবেশি প্রতিদিনই আমাদের বাসায় ডিম পরোটা সকালবেলা নাস্তা হয়ে থাকে। তবে বাড়িতে যদি কোনদিন মিস হয়ে থাকে তাহলে আমি বাজারে গিয়ে খেয়ে নি। কারণ ডিম পরোটা সাথে আমার যেন এক কঠিন সম্পর্ক হয়ে গেছে।
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অনেক সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি।খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করে রেসিপিটা তৈরি করা আমাদের শিখিয়ে দিয়েছেন।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।।
শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
আমার পছন্দের একটি রেসিপি। এরিয়া ভেদে বিভিন্ন এই রেসিপির নাম আলাদা। মোগলাই নামে অধিকাংশ এরিয়াতে ইহা পরিচিত, আমার প্রিয়তমা স্ত্রী ডিম পরোটা বলে থাকে। আপনার এই রেসিপিটি চমৎকার হয়েছে ভাই। প্রতিটি ফটোগ্রাফি একেবারে স্পষ্ট যা দেখে খেতে ইচ্ছে করতেছে খুব। আমি আজকে সন্ধ্যার এই ডিম পরোটা খেয়েছি।
ভাইয়া আপনার রেসিপি টা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।আমার কাছে একদম নতুন একটি রেসিপি মনে হয়েছে।খুবই সুন্দর হয়েছে।একদিন এভাবে করে দেখবো।ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইজান ডিম পরোটার ছবি দেখে খিদা লেগে গেছে।অত্যান্ত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন অনেক অনেক ধন্যবাদ।
খুব সুন্দর হয়েছে রেসিপিটি ভাইয়া।খুবই সুস্বাদু ও লোভনীয় একটি খাবার।আপনার রেসিপিগুলি বরাবরই সুন্দর হয়।ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
বিকেলের নাস্তায় আমি মনে হয় এই নাস্তাটাই সবচেয়ে বেশি খাই।আম্মু তো মাঝেমধ্যে বানাতে বানাতেই বিরক্ত হয়ে যায় প্রতিদিন। কিন্তু আমার অসম্ভব মজা লাগে।কোনোদিন আম্মুর বানাতে ইচ্ছে না করলে দোকান থেকে আনিয়ে হলেও দেয়। খুব সুন্দর ভাবে রেসিপিটি দিয়েছেন ভাইয়া।যারা বানাতে পারেনা তারা আপনার লেখা আর ছবি দেখেই সহজেই বানিয়ে ফেলতে পারবে।
বিকেলের নাস্তায় ডিম পরোটা অনেক চমৎকার একটি উপকরন। আমরা অনেক সময় বাইরে থেকে আনিয়ে নেই কিন্তু বাসায় এত সুন্দর করে বানালে সেটা অবশ্যই অনেক স্বাস্থ্যসম্মত। ধন্যবাদ চমৎকার করে শেয়ার করার জন্য
অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই। ডিম পরোটা মাঝে মধ্যেই খাওয়া পরে। তেল ছাড়া পরোটা আমার বেশি প্রিয়।