"বেলা বয়ে যায়" নাটকের রিভিউ।
আজ- ৮ই কার্তিক ১৪২৮ , বঙ্গাব্দ |রবিবার | হেমন্ত-কাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আজ আমি আপনাদের সাথে বেলা বয়ে যায় নাটকের রিভিউ শেয়ার করব।
ছবিঃ স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলীঃ
এখানে রাফাত এর চরিত্রে অভিনয় করেছে তাহসান। এবং আরণীর চরিত্রে অভিনয় করেছে সাবিলা নূর।
নাম | বেলা বয়ে যায়। |
---|---|
পরিচালক | আগা নাহিয়ান আহমেদ । |
অভিনয় | তাহসান, সাবিলা নূর, সুস্মিতা আনিস । |
দৈর্ঘ্য | ৬০.৩২ মিনিট। |
ধরন | রোমান্টিক । |
ভাষা | বাংলা। |
মুক্তির তারিখ | ২১.১০.২০২১ইং। |
নাটকের সারসংক্ষেপ
নাটকের প্রথম দিকে আমরা দেখতে পাই রাফাত এবং আরণী তারা দুজনে পাহাড়ের উপরে দাঁড়িয়ে কিছু রোমান্টিক কথাবার্তা বলছে। এরপর নাটকের দৃশ্য পরিবর্তিত হয়ে আমরা দেখতে পাই দুজন পথচারী একটি গাড়ি দেখতে পাই সেটা কিনা জঙ্গলে রাস্তার পাশে পড়ে আছে। আর ওই গাড়ি আশেপাশে কোন লোকজন নেই। তাই ওই পথচারীটি একটি ছবি তুলে লোকাল থানা ফেসবুক পেজে পোস্ট করে দিয়েছে যাতে কারো কোন সমস্যা হলে তারা সাহায্য করতে পারে।
এরপর আবারো নাটকের দৃশ্য পরিবর্তন হয়ে যায়। আর আমরা এই দৃশ্যতে দেখতে পাই রাফাতের একজন বন্ধু বাসায় এসে। কেননা রাফাতের স্ত্রি অরনীকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। রাফাত অফিস থেকে ফিরে এসে দেখে অরনী কথাও নেই এবং বাসার সবকিছু তছনছ হয়ে পড়ে আছে এছাড়াও তার গাড়িটি ও বাসার নিচে নেই। অনেকে বার অরনীযে ফোন দেওয়া হলে তার ফোনে সুইচ অফ। আর এই সকল বিষয় নিয়ে রাফাত খুবই চিন্তিত। তাই সে তার বন্ধুকে ডেকেছে বিষয়টিকে বোঝার জন্য। এখানে বলে রাখি রাফাতের ওই বন্ধুটির হচ্ছে একজন পুলিশ অফিসার।
এরপর তার বন্ধু তাকে জিজ্ঞেস করে তাদের মধ্যে কোনো ঝামেলা হয়েছিল কিনা। সে জানাই, তাদের ঢাকার বাহিরে ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু সেটি ক্যানসেল হয়ে যাওয়ায় তাদের মধ্যে একটা ছোটখাটো ঝগড়া হয়েছিল। আর ওই ঝগড়ার সে অফিস চলে গিয়েছিল। আর এখন অফিস থেকে ফিরে এসে দেখছে এই অবস্থা। ।
এরপর রাফাতের সে বন্ধুটি পুলিশকে জানাই যে গাড়িটি ট্র্যাক করার জন্য। যাতে অরনীর কোন খোঁজ পাওয়া যায়।
এখানে একটি কথা বলে রাখা ভালো যে , নাটকের শুরু থেকে শেষের দিক পর্যন্ত নাটকের দুটি দৃশ্য দেখানো হয়, একটি হচ্ছে বর্তমান সময়ের আর অন্যটি অরনীর কাল্পনিক কিছু দৃশ্য। যদিও অরনীর এই কাল্পনিক বিষয়টি নাটকের প্রথম দিক থেকে ক্লিয়ার করা হয়নি। নাটকের শেষের দিকে এসে এটা বুঝে গিয়েছে।
যাইহোক এবার নাটকের কাহিনীতে ফিরে আসি। একবার দেখা যায় রাফাত খুবই চিন্তা করছে কেননা এতক্ষণ পর্যন্ত ধরনের কোনো খোঁজ মিলছে না। অন্যদিকে পুলিশটা তার গাড়িটির ব্যাপারে খোঁজ খবর নিচ্ছে। এদিকে রাফাতের বন্ধুটি রাফাতকে সন্দেহের চোখে দেখছে । কেননা সে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সন্দেহজনক আলামত পেয়েছে।
এরপর থানা থেকে কিছুক্ষণ পর জানা যায় গাড়িটিকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। এই গাড়িটি মূলত সেই গাড়িটি যে গাড়িটিকে আমরা নাটকের প্রথম দেখেছিলাম। এরপর গাড়িটি পাওয়া গেছে এ খবরটি শুনে সকলেই ওই স্থানটিতে চলে যায়।
ওখানে যাওয়ার পর রাফাত বুঝতে পারে কেনই বা তার গাড়িটি এখানে পড়ে আছে আর সে বা কোথায় যেতে পারে। তখন রাফাত জানায় যে, ফাস্ট অ্যানিভার্সারি তে তারা একটি রিসোর্টে গিয়েছিল আর ওই রিসোর্টে থেকে একটি পাহাড়ে দেখা যেত আর ঐ পাহাড়টি অরনীর এত ভাল লেগেছিল যে সে বলেছিল এই পাহাড়টিতে আবার তারা আবার আসবে কিন্তু রাফাতের সময়ের কারনে কোনদিনই আর ওই পাহাড়টিতে আসা হয়নি।
রাফাত ভোর হওয়ার আগেই অরনীর খোঁজে বেরিয়ে পড়ে ওই পাহাড়টিতে। এবং সে ওখানে গিয়ে দেখতে পায় ড়নী ওখানে আছে । আর অড়নী রাফাতকে দেখামাত্রই অজ্ঞান হয়ে পড়েছে। এরপর তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তার জানায় সে মানসিকভাবে অসুস্থ। আর তার অজ্ঞান হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে সে যখন দুই রাফাতকে দেখেছে এক হচ্ছে তার কল্পনার রাফাত আর হচ্ছে বাস্তবে রাফাত তখন তার মধ্যে একটি প্যানিক আঘাত হয়েছে।
তাদের ঢাকার বাহিরে বেড়াতে যাওয়া ক্যান্সেল হওয়ার পর থেকেই সে তার কল্পনার রাফাতকে দেখতে পাচ্ছে। সে মনে করাছিল রাফাত হয়তো ফিরে এসেছে তাকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আর সে এই জায়গাটিতে এসেছে তার কল্পনার রাফাতকে নিয়ে। কিন্ত বাস্তবে তার এই পুরা জার্নিতে সে কিন্তু একা ছিল।
আমরা পরবর্তী দেখি রাফাত তার ভুলটি বুঝতে পেরেছে, কেননা অরনীর এই অবস্থা হয়েছে রাফাতের পযাপ্ত সময় না দেওয়ার কারনে।
এরপর নাটকের শেষ দেখা যায় তারা দুজনে সে পাহাড়টিতে।
শিক্ষা
প্রথমেই বলে রাখি এ নাটকটি কোন শিক্ষামূলক নাটক নয় । এটি একটি রোমান্টিক ধরনের নাটক। তবে কিছু কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো থেকে আমরা কিছু শিক্ষা নিতে পারি বলে আমি মনে করি। আমার পরিবার পরিজনদের কে কিছুটা সময় দেওয়া উচিত কেননা সব সময় কাজে এত ব্যস্ত হয়ে থাকতে হয় যে পরিবার বা প্রিয় মানুষগুলোর প্রতি কোনো খোঁজ খবরই আমাদের রাখা হয় না। আর এই বিষয়টি আমাদের সবসময় কাম্য নয় কেননা আমাদের অতি ব্যস্ত সময়ের মধ্যেও আমাদের কাছের মানুষদেরকে ও কিছুটা সময় দেওয়া উচিত এতে করে তাদের সাথে আমাদের বার্নিং টা খুব ভালো হবে। এবং তাদের ভালো লাগে খারাপ লাগার বিষয়টি আমারা জানতে পারি।
ব্যক্তিগত মতামত
নাটকটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে । নাটকের শেষের দিকটা খুব ইন্টারেস্টিং ছিল। আসলে অন্যান্য নাটকের মত এ নাটকটিতে প্রথম থেকেই বুঝার কোন উপায় নেই যে শেষের দিকটাতে কি হতে চলেছে। আর তাহসানের অভিনয়টা আমার কাছে বরাবরের মতই ভালো লেগেছে। আর যেটির কথা না বললেই নয় সেটি হচ্ছে নাটকের দৃশ্য গুলো অসম্ভব সুন্দর ছিল দৃশ্যগুলো। এই নাটকটিতে সিলেটের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আর যেকোনো টেলিফিল্ম আমার কাছে খুব ভালো লাগে। যাই হোক খুবই সুন্দর একটি নাটক আমার কাছে ভালো লেগেছে আপনারা চাইলে এটি দেখতে পারেন। এই নাটকটিতে আমাদের দেশের কিছু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুব সুন্দর এমন ভাবে তুলে ধরা হয়েছে যেটা আসলেই প্রশংসার দাবিদার ।
নাটকটি অনেক সুন্দর, আমার বাংলা নাটকের ভিতর আফরান নিশো আর তাহসান কে ভালো লাগে।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
নাটকের গল্প এবং ছবিগুলো দেখে সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেলাম
আসলেই আমাদের সকলেরই উচিত নিজের প্রিয় মানুষদের ব্যাস্ত সময়ের মধ্যে থেকে কিছুটা সময় দেওয়া
এতে সম্পর্কগুলোর বন্ধন অটুট থাকে
বেলা বয়ে যায় এই নাটকটির রিভিউ আপনি অনেক সুন্দর করে করেছেন ভাইয়া। এই নাটকটিতে যদিও কল্পনাতেই ছিল। কিন্তু এই নাটকের বাস্তবে অনেক সুন্দরী ছিল মনে হয়। একটু রোমান্টিক টাইপের সারসংক্ষেপ যা বুঝেছি ফ্যামিলিতে সময় না দেওয়ার কারণে তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয় এবং তাদের আগের যেই ভালোবাসা এবং আন্তরিকতা ছিল। যেখানে গিয়ে তারা সুখ-শান্তি উপভোগ করত। ওই জায়গাটিতে গিয়েছিল তারপর আরাফাতে সেখানে গিয়ে পৌঁছয় একপর্যায়ে সে বেহুঁশ হয়ে যায়। খুব ইন্টারেস্টিং মজার ছিল নাটকের রিভিউ।
ভাইয়া এখান থেকে একটা জিনিস শিক্ষা নেওয়া যায়। সেটা হচ্ছে আমরা টাকার পিছনে দৌড়াতে দৌড়াতে পরিবার-পরিজন আত্মীয়-স্বজন দের কে সময় দিতে পারি না। এমনকি ছোটখাটো বিষয় নিয়ে একসময় এটা বড় ধরনের বিপদের রূপ ধারণ করে। আপনি অনেক সুন্দর করে রিভিউটি করেছেন। আপনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ রইলো ভাইয়া
নাটকের রিভিউটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। নিজেদের প্রিয়জনদের সময় দেওয়া উচিত সবসময়। ব্যস্ততা মানুষের জীবনের একটি অংশ। কিন্তু এই ব্যস্ততার মাঝেও নিজের প্রিয়জনদের সময় দেওয়া প্রতিটি মানুষের উচিত। অর্থ যেমন জীবনে প্রয়োজন তেমনি প্রয়োজন প্রিয়জনের সাথে সময় কাটানো। পুরো বিষয়টি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
অভিনেতা হিসেবে তাহসান এবং অভিনেত্রী হিসেবে সাবিলা নূর দুজন ই আমার খুব পছন্দের। আসলেই শিক্ষনীয় না থাকলেও যেনো আছে কারণ দিনশেষে পরিবারকে সময় দেওয়াই উচিত সবার।
আমি আবার এসব বুঝি কম। আপনার লেখনি জমে উঠুক। আপনি কিন্তু আমার জগতে আসছেন না। দাওয়াত রইলো।
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Please consider to approve our witness 👇
Come and visit Italy Community
"বেলা বয়ে যায়" নাটকের রিভিউ অনেক সুন্দর হয়েছে। আমি এর আগে এই নাটকটি দেখিনি তবে এই রিভিউটি পড়ে দেখার ইচ্ছা জেগে উঠলো। এই নাটকের রিভিউ পড়ে মনে হচ্ছে নাটকটি একটু আলাদা ধরনের হবে। তবে আমার এটাই মনে হচ্ছে যে আমাদের জীবনে প্রিয়জনদের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি দেওয়া উচিত। তাদেরকে শত কাজের ফাঁকেও সময় দিয়ে আগলে রাখা উচিত।
ভাইয়া আপনার এ পোস্টটি পড়ে আমি বেলা বয়ে যায় নাটকটি দেখার প্রতি খুবই উৎসাহ বোধ করছি। আমি আর যে নাটকটা দেখে নিতে হবে মনে হচ্ছে নাটকটি খুবই শিক্ষামূলক একটি নাটক হবে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এমন সুন্দর নাটক এর রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।