ঘরে আইসক্রিম তৈরির রেসিপি।
আজ- ২১ শ্রাবণ | ১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | বর্ষাকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আজ আমি আপনাদের সাথে ঘরে কিভাবে কুলফি তৈরি করা যায় তার রেসিপি শেয়ার করব।
কেমন আছেন সকলে আশা করি ভাল আছেন আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে যে গরম পড়ছে সে গরমের অত্যন্ত মজাদার এবং আরামদায়ক একটি খাবার হচ্ছে আইসক্রিম। ছোট কিংবা বড় সকলেরে আইসক্রিম খুব পছন্দের। তাই আজ আমি আপনাদের সাথে হাজির হয়েছি ঘরে কিভাবে আইসক্রিম তৈরি করা যায় সে রেসিপিটি নিয়ে।
আমি এখানে খুব অল্প পরিমাণের বানিয়েছি । কেননা প্রথমবারের মতো যেহেতু আমি এটি বানাতে চলেছি তাই আমি জানতাম না যে এটি খেতে কেমন হবে। তাই বেশী বানালাম না অল্প করে বানালাম যাতে পরবর্তীতে খেতে খারাপ হলে বেশি নষ্ট না হয়। তবে সত্যি বলতে বানানোর পরে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে খেতে। আমি বলবো এই আইসক্রিমের স্বাদ হুবহু দোকানের আইসক্রিমের মত নয়। তবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে যেহেতু এটি তৈরি করা হয়েছে এর মধ্যে একটি ঘরোয়া টেস্ট রয়েছে। তবে সত্যি বলতে এই আইসক্রিমের টেস্ট দোকানের আইসক্রিমের থেকে কোন অংশে কম নয়। তবে দুইটির স্বাদ দুই ধরনের।
আপনারা চাইলে খুবই সিম্পল ভাবে মাত্র ঘরে থাকা কয়েকটি উপকরণ দিয়ে এই আইসক্রীমটি বানিয়ে দেখতে পারেন আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- গুঁড়া দুধ ।
- চিনি।
- কনফ্লাওয়ার।
- এলাচ গুঁড়া।
- আইসক্রিম স্টিক।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
ধাপ-১ঃ
- প্রথমে প্রয়োজনীয় সকল উপকরণ নিয়ে নিবো। আমি এখানে গুড়া দুধ, চিনি ও কনফ্লাওয়ার নিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-২ঃ
- এরপর একটি কৌটা ও আইসক্রিম স্টিক নিয়ে নিয়েছি। এখানে আমার কাছে তেমন কোনো কৌটা ছিল না তাই আমি এখানে একটি লম্বা ওষুধের কৌটা নিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৩ঃ
- এরপর একটি পাত্রে এক কাপের মতো পানি দিয়ে গুড়া দুধ গুলো দিয়ে দিব।
ধাপ-৪ঃ
- এরপর ভালোভাবে দুধটিকে জাল করে নিব। এবং এর মধ্যে চিনি দিয়ে দিব ।
ধাপ-৫ঃ
- দুধগুলোকে গরম করা হয়ে গেলে একটি বাটিতে আল্প দুধ নিয়ে এরমধ্যে কনফ্লাওয়ার গুলো দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে গরম দুধে ঢেলে দিব।
ধাপ-৬ঃ
- কর্নফ্লাওয়ার দুধের মধ্যে দেওয়ার পর দুধগুলোকে ভালোভাবে চামচ দিয়ে নেড়ে নিতে হবে।
ধাপ-৭ঃ
- এরপর দুধগুলো যখন ঘন হয়ে আসবে তখন এগুলোকে নামিয়ে নিব।
 |
|
ধাপ-৮ঃ
- এরপর কৌটার মধ্যে আইসক্রিমের তৈরির মিশ্রনগুলো ঢেলে দিব।
 |
|
ধাপ-৯ঃ
- এরপর পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টার জন্য ডিপ ফ্রিজে রেখে দেবো।
 |
|
ধাপ-১০ঃ
- ফ্রিজ থেকে নামালেই তৈরি হয়ে যাবে মজাদার কুলফি।
সকলকে ধন্যবাদ।
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমিও মাঝে মাঝে বাড়িতে এরকম করে আইসক্রিম তৈরি করে খাই। বেশ ভালো লাগে আমার কাছে। আপনার আইসক্রিম তৈরির দেখেই জিভে জল চলে আসলো। খুব সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটা আইসক্রিম তৈরির রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আপনার তৈরি আইসক্রিম দেখেই তো খাওয়ার জন্য লোভ লেগে গেল। যদিও আমি আইসক্রিম খাওয়া সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিয়েছি সাইনোসাইটিস সমস্যার কারণে। ভাইয়া আইসক্রিম তৈরির প্রক্রিয়াগুলো অনেক সুন্দর ভাবে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আইসক্রিম তৈরির ৮ নম্বর ধাপটি এবং আইসক্রিম গুলো ডিপ ফ্রিজে রাখার বিষয়টি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
এই গরমের সময় এভাবে যদি আইসক্রিম তৈরি করে খাওয়া হয় তাহলে খেতে দারুন লাগবে ভাইয়া। বাজারে কেনা আইসক্রিমের থেকে বাসায় তৈরি করা আইসক্রিমের স্বাদ হয়তো ভিন্ন হবে। তবে আপনার তৈরি করা এই রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে এভাবে আইসক্রিম তৈরি করলে খেতে বেশ ভালো লাগবে। ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আইসক্রিম তৈরির পদ্ধতি তুলে ধরেছেন এবং আমাদেরকে শেখার সুযোগ করে দিয়েছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। ❤️❤️❤️
এই গরমের মাঝে ছোট বড় সকলের প্রিয় কুলফি আইসক্রিম রেসিপি শেয়ার করেছেন। দেখে ভালো লাগলো এবং এই আইসক্রিম তৈরীর প্রতিটি কাজ হবে ধাপে ধাপে ও সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আশা করি এর সকলেই উপকৃত হবে। ধন্যবাদ।
ভাই আপনি ঘরুয়া পরিবেশে খুব সুন্দর ভাবে এবং সিম্পল ভাবে আইসক্রিম তৈরি করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো । এই গরমে আজকের খেলে অনেক পিপাসা মিটে বিশেষ করে বাচ্চাদের তো আইসক্রিম অনেক পছন্দ। আর বাজারে যে আইসক্রিম পাওয়া যায় তা কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত তা সকলেরই জানা। আপনি এত সুন্দর ভাবে আইসক্রিম টোকিও প্রক্রিয়াটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন যে আমাদের জন্য তৈরি করা অনেক সহজ হয়ে গেল। ধন্যবাদ ভাই আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল নিজেও তৈরি করেছেন পাশাপাশি শেয়ার করেছেন আমরাও যেন তৈরি করতে পারি।
ভাইয়া আপনার ক্রিয়েটিভ আইডিয়া আমার কাছে দারুন লেগেছে। আমরা সাধারণত বাজার থেকে আইসক্রিম কিনে আনি। এভাবে যদি বাসায় তৈরি করা হয় তাহলে আরও বেশি ভালো হবে। আমি আজকেই বাজার থেকে আইসক্রিমের কাঠি কিনা আনব। এরপর বাসায় মজার এই আইসক্রিম তৈরি করব। অনেক সুন্দর ভাবে আইসক্রিম তৈরির পদ্ধতি আমাদের সকলের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
ভাই এই গরমকালে ফ্রিজে ঠান্ডা এবং আইসক্রিম খুবই খেতে ইচ্ছা করে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে আইসক্রিম তৈরি করলেন। আপনার আইসক্রিম রেসিপি তৈরি করার উপস্থাপন আমার খুবই ভালো লেগেছে। আজকে আমি তৈরি করব ইনশাল্লাহ।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে যেভাবে আইসক্রিম বানিয়েছেন হঠাৎ করে কেউ দেখলে বলবে না যে এটা ঘরে বানিয়েছেন, মনে হবে দোকান থেকে ক্রয়-কৃত। খুব সুন্দরভাবে রেসিপিটি আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে ঘরে আইসক্রিম তৈরির রেসিপি শেয়ার করেছেন। আমি অনেকবার ঘরে আইসক্রিম তৈরি করেছি আমার কাছে এ ধরনের রেসিপি খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। মজাদার এই আইসক্রিম রান্নার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।