গন্তব্য যখন গ্রামের বাড়ি।
আজ - ১৫ই জ্যৈষ্ঠ |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | গ্রীষ্ম-কাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
তবে যত যাই বলি না কেন বর্তমানে আমরা ওষুধের উপর এতটাই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি যে ওষুধ না খেলে দেখবেন অসুখ ছাড়তে চাই না। অথচ আগে কিন্তু বিষয়গুলো এমন ছিল না। জ্বর , সর্দি, কাশি হলে তো ওষুধ খাওয়ার কোন প্রয়োজনই ছিল না একটু গরম পানি কিংবা ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা নিলে দেখা যেত সেগুলো সেরে যেত। কিন্তু বর্তমানে মানুষের সাথে সাথে জ্বর সর্দি কাশি এরাও বেশ চালাক হয়ে উঠেছে। তাই এভাবে তাদের ফাঁকিবাজি করে পাঠানো সম্ভব নয়।
যাইহোক আজ কিন্তু খুব দ্রুত এই পোস্ট লেখার কাজ শেষ করছি কেননা আজ একটু তারা আছে। একটু পরে বেরিয়ে পড়বো গ্রামের বাড়ি উদ্দেশ্যে। যদিও এই বর্ষার মৌসুমে নদী পাড়ি দিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার সে ইচ্ছা একেবারেই ছিল না। তবে একটু কাজ পড়ে যাওয়ায় খুব ইমারজেন্সি এখনই যেতে হচ্ছে।
গ্রামের বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার কথা হলে আমার বরাবরই ভালো লাগে। তবে এ বর্ষা মৌসুমে আসলে নদী পার করাটা একটু বিপদজনক। যখন তখন একটু ঝড় উঠলেই নদীর অবস্থা বেশ ভয়ানক হয়ে ওঠে। তাই আমাদের এই বর্ষার সিজনের গ্রামের বাড়ি খুব একটা যাওয়া হয় না সবসময় বেড়াতে গেলে শীতের সিজন বেছে তার পরে যাওয়া হয়।
যাইহোক একটু পরেই বেরিয়ে পড়বো বাসার সামনে গাড়ি আসবে। তবে চিন্তা করলাম আজকের পোস্টটা এখানেই শেষ করে যাই। তা না হলে বাড়িতে গিয়ে কখন পৌঁছাব এরপর পোস্ট লেখব তা অনেক ঝামেলার ব্যাপার। গ্রামে নেটওয়ার্কের কথা তো নাইবা বললাম। যারা শহর থেকে ২-৪ দিনের জন্য গ্রামে বেড়াতে যান তারা নিশ্চয়ই এই বিষয়টা ভালোভাবে বুঝতে পারেন। গ্রামের সবদিক ভালো লাগলে ওই নেটওয়ার্কের এই বিষয়টি একদমই ভালো লাগেনা।
আর আমাদের গ্রামে নেটওয়ার্কের সমস্যাটা যখন নাতম। ঘরের ভিতরে একটা একদমই নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। বাহিরে গেলে হয়তো একটু পাওয়া যায়। আর এই বৃষ্টি বাদলের সিজানে তো যখন তখন চাইলে বাহিরে বের হওয়া যায় না। তাই খুব চিন্তায় আছি গ্রামে গেলে কিভাবে আমি আমার কাজগুলো শেষ করব। এর একটি বিকল্প ব্যবস্থাও করে নিয়েছি।
যাইহোক এ কয়েক দিন কিছুটা ব্যস্ত থাকবো তাই হয়তো খুব বেশি সময় দিতে পারবো না। মোটামুটি যখন থেকেই বাড়িতে যাওয়ার এই পরিকল্পনাটি শুরু হয় তখন থেকে চেষ্টা করেছি কিছু কাজ গুছিয়ে রাখার। তবে সময় যেহেতু কম তাই চাইলে ও সবগুলো কাজ এখনো সম্পূর্ণরূপে গুছিয়ে পারেনি।
যাইহোক, আজ এখানে বিদায় নিচ্ছি। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হচ্ছে পরবর্তী দিন অন্য কোনো বিষয় নিয়ে আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভাইয়া আপনি এখন সুস্থ আছেন জেনে ভালো লাগলো। তবে এই বর্ষার মৌসুমে নদী পার হওয়া সত্যিই অনেক বিপদজনক। যেকোনো সময় ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়ে যেতে পারে। তবে যেহেতু জরুরী কাজে যেতে হচ্ছে দোয়া করি আপনার যাত্রা যেন শুভ হয়। আর গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার আগে পোস্ট করে নিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। গ্রামের নেটওয়ার্ক এর অবস্থা সত্যিই অনেক খারাপ।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া মানুষের সাথে সাথে এখন জ্বর সর্দি কাশিও চালাক হয়ে উঠেছে। যার জন্য ওষুধ না খাওয়া পর্যন্ত ভালো হয় না। তবে এখন একটু সুস্থ আছেন জেনে ভালো লাগলো। বর্ষাকালে গ্ৰামে যেতে আমার কাছেও ভালো লাগেনা। গ্রামে গিয়ে যদি ঘর থেকে বের না হওয়া যায় তাহলে গ্রামে যাওয়ার কোন মজা নেই। তবে শীতকালে আমার কাছেও গ্রামে যেতে অনেক ভালো লাগে। এই সময়টাই সবকিছু ফুরফুরে থাকে তার জন্য ঘুরাঘুরি করেও মজা পাওয়া যায়। যাইহোক আপনার জন্য দোয়া রইল যাতে সুস্থভাবে গ্রামে পৌঁছাতে পারেন।
ভাই আপনি সুস্থ আছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। আসলে বর্ষার সময় টা বেশিরভাগ মানুষই গ্রামের বাড়ি যেতে চায় না কারণ ঘর থেকে বের হওয়া যায় না বৃষ্টি বাদলের জন্য।
বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে প্রতিটি মানুষকে তাঁর প্রয়োজনেই যে কোন জায়গায় যেতে হয়। আপনার জন্য দোয়া রইল গ্রামের বাড়িতে যাতে
সুস্থভাবে পৌছাতে পারেন।
এখনকার অসুখ বিসুখগুলো চালাক হয়ে গেছে লেখাটা পড়ে সত্যি ভীষণ হাসি পেল ভাইয়া। তবে আপনি ওষুধ খেয়ে যে সুস্থ হয়েছেন জেনে ভালো লাগলো । আর এই ঝড়-বৃষ্টির দিনে নদী পার হওয়ার ব্যাপারটি সত্যি একটু ভয়ের ।নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছান সেই প্রার্থনা করি ।আর গ্রামের নেটওয়ার্ক অবস্থা সত্যিই বেশ খারাপ থাকে । এজন্য আপনার পোস্ট করে যাওয়াটাই ভালো হয়েছে । ধন্যবাদ আপনাকে ।
বর্যা মৌসুমে নদী পার হওয়াটা আসলেই বিপজ্জনক।গ্রামে যাওয়ার আগে কাজ গুছিয়ে নিয়ে ভালোই করেছেন ভাইয়া।কারণ নেট দুর্বল থাকে,তাছাড়া কোথাও গেলে সেই পরিবেশ টায় বেশি উপভোগ করতে ইচ্ছে করে।তাই কাজগুলো আর করা হয়ে উঠে না।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।