হাওড়া ব্রিজ পরিদর্শনে ।
আজ - ৬ই আষাঢ় |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | বর্ষা-কাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আসলে কলকাতা ভ্রমণের চিন্তা যখন করছিলাম তখনই ইচ্ছা ছিল কলকাতার বিখ্যাত হাওড়া ব্রিজ নিজের চোখে দেখার। অবশেষে কলকাতা ভ্রমণে গিয়ে সেটি সত্যিই করে ফেললাম। আসলে হাওড়া ব্রীজ খুবই পুরনো একটি ব্রিজ সেই সাথে ঐতিহ্যবাহী বটে।
হাওড়া ব্রিজ সম্বন্ধে আমার আগ্রহ জন্মে, কলকাতার একটি মুভিতে হাওড়া ব্রিজ টি দেখে, সত্যি মুভিতে যখন হাওড়া ব্রিজ দেখছিলাম বেশ সুন্দর লাগছিল। যার কারণে চিন্তা করছিলাম কলকাতা গেলে হাওড়া ব্রিজ অবশ্যই পরিদর্শন করবো।
আমরা যখন গিয়েছিলাম হাওড়া ব্রিজে তখন বিকেল ৫ টা বেজে গিয়েছিল । ব্রিজের সুন্দর লাইট গুলো জ্বলে উঠছিল তখন । হাওড়া ব্রিজ পরিদর্শনে আরো বিস্তারিত বলার আগে চলুন জেনে নেওয়া যায় হাওড়া ব্রিজ এর সম্বন্ধে কিছু তথ্য :
হাওড়া ব্রিজটির সরকারি নাম হচ্ছে "রবীন্দ্র সেতু"। একটু মূলত হুগলি নদীর উপর অবস্থিত। এটির দৈর্ঘ্য 750 মিটার। মূলত কলকাতা এবং হাওড়া এর মধ্যকার সংযোগ রক্ষাকারী প্রধান সেতু বলা হয় এটিকে। এটি চালু হয় ১৯৪৫ সালে। এই ছিল হাওড়া ব্রিজ এর সংক্ষিপ্ত কিছু তথ্য। চলুন এবার হাওড়া ব্রিজ এর আমাদের পরিদর্শনের কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করি।
যেহেতু আমরা হাওড়া ব্রিজ পৌঁছাতে সন্ধ্যা হয়ে এসেছিল, এবং আবহাওয়া টা বেশ ঠান্ডা হয়ে এসেছিল তখন, রোদ ছিল না তাই আমরা শুরুতেই হাওড়া ব্রিজের এ পাশ থেকে ওপাশে পায়ে হেঁটে পার হয়। ব্রিজের উপর হাঁটার সময় বেশ ভালো লাগছিল। একদিকে অনেক যানবাহন দ্রুত গতিতে যাচ্ছে ও হাওড়া ব্রিজের লাইটিং জলছিল। অন্য দিক থেকে নদীর ঠান্ডা ঠান্ডা বাতাস। বেশ মনোমুগ্ধকর পরিবেশ ছিল। আমরা ব্রিজের উপর হাঁটছিলাম আর ফটোগ্রাফি করছিলাম। সাথে ছিলেন নির্মাল্যদা , সুমন ভাই, হাফিজ ভাই । আসলে হাওড়া ব্রিজ দেখার জন্য সুমন ভাই বেশ উৎসাহী ছিলেন। এজন্য মনে হয় উনি ফটোগ্রাফিও সবচেয়ে বেশি করেছেন। বেশ খানিকক্ষণ ফটোগ্রাফি আর ব্রিজ এ হাটাহাটির পর, আমরা ব্রিজ এর শেষ প্রান্তে চলে আসি।
এরপর আমরা চিন্তা করি, এবার ফেরির সাহায্যে নদীটি পার হব, এবং ফেরির থেকে পুরো ব্রিজটি দেখব। এ উদ্দেশ্যে আমরা প্রথমে ফেরি ঘাটে যাই ওখানে টিকিট কাটি। পুরা ব্যাপারটি নির্মল্যা ভাই আমাদের করে দেন। নির্মালা ভাই টিকেট কাটার পর আমরা ফেরিঘাটে চলে যায়, এবং ওখানে গিয়ে চা, ঝালমুড়ি খাই। ঘাটে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর , আমাদের কাঙ্খিত ফেরিটি আসে এখন আমরা ফেরিতে উঠি। ফেরিতে ওঠার পর সত্যি বেশ ভালো লাগছিল, নদীর ঠান্ডা ঠান্ডা বাতাস আমাদের বেশ গায়ে লাগছিল। এরপর ফেরিটি যখন মাঝ নদীতে চলে এলো, তখন আমরা অপরূপ হাওড়া ব্রিজের দৃশ্যটি পরিলক্ষিত করতে পারলাম। দূর থেকে হাওড়া ব্রিজটিকে দেখতে যেন আরো সুন্দর লাগছিল। অবশেষে কিছুক্ষণ পর ফেরিটি এপারে চলে এলো। এরপর ফেরি থেকে নেমে গিয়ে আমরা হাওড়া ব্রিজের এপারের আরো কিছু ফটোগ্রাফি করে। ওই স্থান থেকে বিদায় নিলাম।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
হাওড়া ব্রিজ পরিদর্শনের খুবই চমৎকার একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। হাওড়া ব্রিজের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে আমার কাছে খুবই সুন্দর লেগেছে।ফেরির সাহায্যে নদী পার হওয়ার সময় হাওড়া ব্রিজের সৌন্দর্য নিশ্চয় আপনাকে মুগ্ধ করেছিল। একই সাথে নদীর ঠান্ডা বাতাস আপনাদের সবার শরীর ও মনকে নিশ্চয় শীতল গড়ে তুলেছিল। যাহোক অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য প্রিয় ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া হাওড়া ব্রিজ পরিদর্শনের খুব সুন্দর বর্ননা দিলেন।পড়ে অনেক কিছু জানলাম।আপনার মতো আমিও কলকাতার মুভি দেখে হাওড়া ব্রিজ দেখার ইচ্ছা মনে মনে পোষন করেছিলাম কিন্তু দেখার সময় আর হয়নি।আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখে নিলাম।আর যেকোনো ব্রিজে সন্ধ্যায় ই খুব সুন্দর লাগে লাইটিং এর জন্য। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে। আপনার অনুভূতি পড়ে খুব ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।