শীতলতা।
আজ- ২৯শে পৌষ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, শীতকাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
![wolves-1341881_1280.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmaUgmS6kTYWJ67EAbFNh7SK6SQTW43LmXfhKYRnj4Vx5h/wolves-1341881_1280.jpg)
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
আসলে এ কয়েকদিন প্রচন্ড ঠান্ডা পড়ছে এবং নিউজে ও দেখলাম দেশের অন্যান্য গ্রাম অঞ্চলের দিকে তাপমাত্রা অনেকটাই কম। বেশ ঠান্ডা পড়ছে সেখানে, আর এই ঠান্ডার কারণে সাধারণ জীবন যাপন ব্যাহত হচ্ছে।
যদিও আমাদের শহরাঞ্চলে শীতের মাত্রাটা খুব বেশি তীব্র না তারপরও এ কয়েকদিনের ঠান্ডাটা বেশ ভালই অনুভব হচ্ছে । এই মুহূর্তে আমাদের এদিকের তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রী। তবে মনে হচ্ছে যেন আরো অনেক কম তাপমাত্রা। গতকাল রাতের দিকে বেশ ঠান্ডা পড়েছিল তখন প্রায় ১২ ডিগ্রী তাপমাত্রাতে নেমে এসেছিল। যতটুক সম্ভব এটাই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এই সিজনের। আজ এখনো পর্যন্ত বাহিরে রোদের কোন দেখা নেই। তাই এখনো ঠান্ডা ভাবটা কাটেনি। তবে দুপুরের দিকে যখন রোদ ওঠে তখনই শীতলতা কেটে যায় অনেক অংশে ।
শীতকালে সূর্যটুকু মনে হয় যেন এক টুকরা স্বর্ণ। শীতের সকালে দারুন অনুভূতি যোগায় স্বর্ণের মত এই রোদ টুকু পোহাতে। শীতের অনুভূতির কথা বলতে গেলে ছোটবেলার ওই কথাগুলো বারবার মাথায় চলে আসে। ছোটবেলার ওই সময়গুলো আসলে খুব বেশি মনে পড়ে যায় । তখনকার ঐ সময়টাতে শীতকাল ছিল অন্যরকম। সকালে শিশিরে ভেজা সবুজ ঘাসে হেটে বেড়ানো, কাঠ কয়লা পুড়িয়ে আগুন পোহানো, ছোট ছোট কুকুরের ছানাদের নিয়ে মজা করা, লোকের বাড়ির বড়ই গাছ থেকে ঢিল ছুড়ে বড়ই পাড়া, এছাড়া খেজুরের গুড় পিঠাপুল এসব কিছুর আমেজ তো ছিলই। যদি ও এখনো পর্যন্ত খেজুরের গুড় এবং পিঠাও বাসায় তৈরি করা হয় তারপরও ছোটবেলার সে খেজুরের গুড়া পিঠাগুলো খাওয়ার আনন্দ গুলোতে কোথাও যেন কমতি থেকেই যায়।
আসলে সময়ের সাথে সাথে পরিস্থিতি ও পরিবর্তনশীল। বর্তমানে আমার এই সময়টাকে যেভাবে উপভোগ করছি ভবিষ্যতে সেই সময়টা থাকবে না তখন আবার এই অতীতটাকে আমরা খুব বেশি অনুভব করব। তাই যেটা বর্তমান সেটা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা ভালো কারণ এই বর্তমানটা এক সময় অতীতে পরিণত হয়।
সকলে চেষ্টা করবেন এই শীতের সময়টাতে নিয়মমাফিক চলতে তা না হলে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ ঠান্ডাটা বেশ ভালই পড়ছে । আজ তাহলে এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী দিন আবার ও ভিন্ন কোন আলোচনা নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmfRETShxA5EQdPmpF6ChkQd5MkXJPifATT3TZdvk5sEC1/standard_Discord_Zip.gif)
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনি ঠিক বলেছেন আমাদের সব সময় বর্তমানটাকে উপভোগ করা উচিত কারণ একসময় দেখা যাবে বর্তমান টা অতিত হয়ে গেছে এবং এই সময়টার কথায় তখন মিস করবো। আর হ্যাঁ আমাদের এখানেও শীত অনেক পড়ছে। আমি প্রতি শীতকালে লক্ষ্য করি যে এই টাইমটাই অনেক বেশি শীত পড়ে। যাই হোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে শীত নিয়ে এই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বাপরে বাপ কি যে শীত পড়েছে ভাইয়া চারদিকে। আমার তো মনে হয় শহরের শীত গ্রাম কেও ছাড়িয়ে গেছে। আর এমন শীতে কি আর কম্বল থেকে বের হতে মনে চায়? আর এমন শীতে আমাদের সবাইকে একটু সাবধানে এবং নিয়ম মেনে চলতে হবে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর উপদেশ মূলক একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
তবে যাই বলেন না কেন ভাই, পরিবেশ পবির্তন হয়ে গেছে এবং তার প্রভাবে গরমকালে যেমন সর্বোচ্চ গরম পড়ছে ঠিক তেমনি শীতকালে পড়ছে সর্বোচ্চ শীত। এবারের শীতটা একটু বেশীই মনে হচ্ছে, দুই দিন ধরে তো বাড়ি হতে বেরই হচ্ছি না, হি হি হি।
আমাদের দিকে রাতে একদম টেম্পারেচার কমে যায়। এখন ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আরেকটু পরে আরও কমবে। সূর্যের দেখা তো পাওয়ায় যায় না। তবে আপনি ঠিক বলেছেন এ সময়টাতে সাবধানে থাকা দরকার। নানারকম ঠান্ডাজনিত রোগ হতে পারে
ভাই আমাদের এখানেও শীত মোটামুটি বেশ ভালোই পরেছে। তাপমাত্রা বেশিরভাগ সময় ১৭/১৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস থাকে। তবে মধ্যরাতের পরে কমতে শুরু করে। ১৪/১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নেমে যায়। যাইহোক বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার শীত অনেকটা বেশি অনুভূত হচ্ছে। তবুও এই সিজনটা বেশ উপভোগ করছি। কারণ শীতকাল আমার খুব প্রিয় একটি ঋতু। তবে বিভিন্ন জেলার মানুষ ভীষণ কষ্ট করছে শীতের তীব্রতার জন্য। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
গরমকালে আমরা সূর্যকে গালি দিয়ে থাকলেও, এই শীতকালে আমরা সূর্যের গুরুত্ব বুঝতে পারি 🌞। শীতের সকালে সূর্য সত্যিই স্বর্ণের মত গুরুত্ব আমাদের কাছে। এই সকাল বেলা রোদ পোহাতে অনেক বেশি মজা লাগে। দাদা, আপনাদের ওইখানে তো তাও ১২ ডিগ্রি, আমাদের এখানে ১০ ডিগ্রীর কাছাকাছি নেমে গেছিল তাপমাত্রা।