ভুনা খিচুড়ি তৈরির রেসিপি।
আজ- ৮ই, আশ্বিন |১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | শরৎকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আজ আমি আপনাদের সাথে ভুনা খিচুড়ি তৈরির রেসিপি শেয়ার করব।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- পেঁয়াজ কুচি।
- মরিচের গুঁড়া।
- লবণ।
- তেল।
- জিরা বাটা।
- আদা বাটা।
- রসুন বাটা।
- মুগের ডাল।
- চিনিগুড়া চাল।
- আলু।
- দারচিনি, এলাচ, তেজপাতা, লবঙ্গ, কাঁচা মরিচ।
আমরা বাঙালিরা বরাবরই ভোজন রসিক। একটু কিছুতে কিছু হলেই আমাদের খাবারের প্রতি বায়না টা বেড়ে যায়। খাবারকে ঘিরে আমাদের সব কল্পনা জল্পনা খাবারের মধ্যেই আমরা আনন্দ পায় । যাইহোক আজ আমি আপনাদের সাথে বাঙালি অতি জনপ্রিয় একটি খাবারের রেসিপি হাজির হয়েছি।
কয়েকদিন আগে আমাদের এদিকে টানা বৃষ্টি হয়েছিল আর এই বৃষ্টিভেজা ওয়েদারে খিচুড়ি না হলে কি জমে আর তাইতো ওই বৃষ্টিভেজা ওয়েদারটাকে উপভোগ করতে বাসায় খিচুড়ি রান্না করা হয়েছিল আর সেই খিচুড়ি রেসিপি টাই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
আমার পছন্দের খাবারের তালিকা গুলোর মধ্যে খিচুড়ি ও রয়েছে। বিশেষ করে ভুনা খিচুড়ি টা আমার খুবই প্রিয়। ভুনা মাছ বা মাংসের সাথে একটু আচার ও পেঁয়াজ কাঁচামরিচ দিয়ে এই ভুনা খিচুড়িটা খেতে খুব বেশি ভালো লাগে। আজ আমি আপনার সাথে যে খিচুড়ি রেসিপি টা শেয়ার করতে চলেছি সে রেসিপিটা খুবই সহজ এবং অল্প উপকরণ দিয়ে তৈরি করা যায়।
তো চলুন কথা না বাড়িয়ে রেসিপিটি শুরু করি -
প্রস্তুত প্রণালীঃ
ধাপ-১ঃ
- প্রথমে দুইকাপ চিনিগুড়া চাল এবং এক কাপ মুগের ডাল নিয়ে নিবো। ডালগুলোকে কিছুক্ষণ টেলে পানিতে ভিজিয়ে রাখব।
ধাপ-২ঃ
- এরপর ভিজিয়ে রাখা মুগের ডাল এবং চাল গুলোকে একসাথে ভালোভাবে ধুয়ে নিব ।
ধাপ-৩ঃ
- এরপর ছোট-ছোট আলু কেটে নিব এরপর আলু গুলোকে তেলের মধ্যে ভালোভাবে ভেজে নিব।
ধাপ-৪ঃ
- এরপর অন্য আরেকটি পাত্রে তেল গরম করতে দিব তেল গরম হয়ে গেলে এর মধ্যে এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, তেজপাতা, আদাবাটা রসুনবাটা এই সবকিছু দিয়ে একসাথে ভালো ভাবে তেলের মধ্যে কিছুক্ষণ ভেজে নিব।
ধাপ-৫ঃ
- মসলাগুলোকে তেলে কষিয়ে নেওয়া শেষে পূর্বে ধুয়ে রাখা চাল এবং ডালগুলোকে এর মধ্যে দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে নিব এরপর ভেজে রাখা আলু গুলোকে ও এর মধ্যে দিয়ে দিব।
ধাপ-৬ঃ
- এরপর এর মধ্যে পরিমাণ মত পানি এবং কাঁচামরিচ দিয়ে দিব।
ধাপ-৭ঃ
- ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখবো কিছুক্ষণ এবং মাঝে মাঝে নেড়ে চেড়ে দিব।
ধাপ-৮ঃ
- যখন দেখবো চাল এবং ডালগুলো ফুটে এসেছে এবং পানিগুলো টেনে গেছে তখন খিচুড়ি গুলোকে নামে নিব।
ধাপ-৯ঃ
- ব্যাস এভাবেই তৈরি হয়ে গেল মজাদার ভুনা খিচুড়ি।
সকলকে ধন্যবাদ।
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ভাইয়া অনেকগুলো উপকরণ দিয়ে ভুনা খিচুড়ি তৈরি করেছেন আপনি। ভুনা খিচুড়ি তৈরির ক্ষেত্রে কাঁচা মরিচের ব্যবহারটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ভুনা খিচুড়ির কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে ভুনা খিচুড়ি খেতে খুবই সুস্বাদু ছিল। আমার পছন্দের ভুনা খিচুড়ির রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভুনা খিচুড়ি খেতে আমার খুবই পছন্দ। আপনি অত্যন্ত নিপুণভাবে আপনার ভুনা খিচুড়ি তৈরির রেসিপিটি সম্পন্ন করেছেন। দেখতেও বেশ অসাধারণ লাগছে। আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া বাঙালির অতি জনপ্রিয় একটি খাবার খিচুড়ি। আমার কাছে অনেক ভালো লাগে খেতে। আপনার খিচুড়ির রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। খিচুড়ি তৈরির প্রতিটি ধাপ সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। যা পরবর্তীতে অন্য কেউ দেখলে খুব সহজেই তৈরি করে নিতে পারবে। ধন্যবাদ ভাইয়া
ভাই কাজের একটি রেসিপি দিয়েছেন।অনেকদিন পর মনমত একটি খিচুরির রেসিপি পেলাম।তবে আমার মাছ বা মাংসের চেয়ে খিচুড়ির সাথে আচার টাই ভাল লাগে।আমিও ভাই আপনার মতই খাদ্য রসিক।
বাঙালিদের পছন্দের তালিকায় তো খিচুড়ি থাকবেই। আর যদি বৃষ্টির দিন হয়।তাহলে কোন কথাই নাই। যাই হোক শুধু মুগ ডালের খিচুড়ি অন্যরকম স্বাদ হয়।আলু দেওয়াতে মনে হচ্ছে স্বাদ আরো বেড়ে গিয়েছে। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন ধন্যবাদ
সব কিছু ঠিকই ছিলো ভাই, আমিও খিচুড়ি রান্না করার সময় এভাবেই করি কিন্তু একটা বিষয় একটু ব্যতিক্রম দেখলাম সেটা হলো আলুগুলোকে ভেজে তারপর দিয়েছেন। এভাবে ট্রাই করে দেখতে হবে একদিন, ভালো লেগেছে রেসিপিটি ভাই। ধন্যবাদ
আজকাল লক্ষ্য করা যাচ্ছে মেয়েদের থেকে ছেলেরা ভালো রাধে। যা রান্না করছে এতে করে বৌদির একটু স্বস্তি হবে। দাদা রান্না করে ভুনা খিচুড়ি রেসিপি দেখে খুব খেতে মন চাচ্ছে। দাদা আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার এসিপিটি তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ আমিও ভুনা খিচুড়ি রান্না শিখে ফেললাম
খিচুড়ি খেতে অনেক ভালো লাগে বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে। চিনিগুড়া চাল মুগডাল দিয়ে ভুনা খিচুড়ি খেতে খুবই ভালো লাগে। ভাইয়া আপনার রেসিপি টি খুবই সুন্দর ছিল, আমিও আপনার মতো খিচুড়িতে হলুদ খুব কম ব্যবহার করি। সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।