ব্যক্তিত্ব বা পার্সোনালিটি।
আজ - ২০ই ভাদ্র | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | শনিবার | শরৎকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আজ আমি আপনাদের সাথে ব্যক্তিত্ব বা পার্সোনালিটি বিষয়ে কিছু ব্যক্তিগত মতামত শেয়ার করব।
সবার প্রথমে জেনে নেই ব্যক্তিত্ব আসলে কি?
আমরা সকলেই মানুষ তবে মানুষে মানুষে অনেক ভিন্নতা রয়েছে। প্রত্যেকেরই রয়েছে আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য অথবা নিজস্বতা। মানুষের শুধুমাত্র যে চেহারা কিংবা বহিরাগত দিক দিয়ে ভিন্নতা রয়েছে তা নয়। বরং কিছু অভ্যন্তরীণ বিষয়েগুলোতেও ভিন্নতা রয়েছে। প্রত্যেকের মধ্যেই রয়েছে আলাদা কিছু ব্যক্তিত্ব।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
আমার মতে ব্যক্তিত্ব হচ্ছে নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য অথবা নিজস্ব কিছু আচার-আচরণ। ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে মানুষের সম্পর্কে খুব সহজে ধারণা করা সম্ভব। মানুষটি বা ব্যক্তিটি কেমন, কোন পরিবেশ থেকে বড় হয়েছে। আর এই সকল কিছুর মাধ্যমে কোন ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটে। কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের ব্যক্তিত্ব বা পার্সোনালিটি এর মাধ্যমে তাকে পছন্দ করা হয়।
ব্যক্তিত্ব কখনো প্রশিক্ষণ কিভাবে শিক্ষার মাধ্যমে অর্জন করা যায় না। এটি সম্পূর্ন নিজস্বতা। বড় হতে হতে কোন ব্যক্তির মধ্যে পার্সোনালিটি বা ব্যক্তিত্ব এমনিতেই তৈরি হয়ে যায়। আসলে ছোট বয়স থেকে মানুষের মধ্যে একটু একটু করে এইসব পার্সোনালিটি তৈরি হয়। আমরা চাইলে কিন্তু একজন আরেকজনের ব্যক্তিত্ব কখনোই নকল করতে পারবোনা। যেমন আমি আমাদের কমিউনিটির মডারেটরদের ও এডমিনদের কথায় যদি আসি তবে দেখবেন তাদের প্রত্যেকের মধ্যে আলাদা আলাদা ব্যক্তিত্ব রয়েছে তাদের চিন্তা ধারণায় ও স্পেশালিটির ভিন্নতা রয়েছে। একজন মানুষ সবসময় সব বিষয়ে পারদর্শী থাকেনা। যেমন যে গায়ক তার গান বিষয়ক যে ধারনা থাকে অন্য ব্যক্তির মধ্যে কিন্তু ঐ বিষয়ে সমান জ্ঞান থাকেনা। অর্থাৎ একেক জন একেক বিষয়ে পারদর্শী। সকল বিষয়ে সকলের সমান জ্ঞানী হতে পারেনা।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়।
ব্যক্তিত্ব বা পার্সোনালিটির বিষয়টা ঠিক ঐরকম। একজনের ব্যক্তিত্বের সাথে অন্য জনে ব্যক্তিত্বের কিছুটা ভিন্নতা থাকবেই। এছাড়াও ব্যক্তিত্ব বা পার্সোনালিটি বিষয়টি নিজে নিজে তৈরি করতে হয়। অন্যজনের মাধ্যমে সেটা কখনোই তৈরি করা সম্ভব নয়। আমাদের ব্যক্তিত্ব বা পার্সোনালিটি মধ্যে যাতে কোনো খারাপ বিষয় না থাকে সে বিষয়ে নজর রাখব। আমি হিংসা, অহংকার, লোভ ও ঘৃণা এই সকল খারাপ বিষয় গুলোর কথা এখানে উল্লেখ করেছি।আর হ্যাঁ আমি মনে করি প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যে একটি দ্রব্য পার্সোনালিটি তৈরি করা উত্তম। এবং সেই ব্যক্তিত্ব এটি সব সময় ধরে রাখাটা জরুরি।
আমি সবসময় আমার ব্যক্তিত্ব পার্সোনালিটি ধরে রাখার চেষ্টা করি। আমার সকল কাছের মানুষরা জানে যে আমি আমার ব্যক্তিত্ব টা কে কতটা প্রাধান্য দিয়ে থাকি। আমি মনে করি ব্যক্তিত্বে মানুষের বহিরাগত ও অভ্যন্তরীণ এর দিক গুলো কিছুটা হলেও সকলের কাছে প্রকাশ করে থাকে। আসলে আমরা আমাদের নিজেদের ব্যক্তিত্ব তাকে এমনভাবে তৈরী করার চেষ্টা করব যাতে আমার ব্যক্তিত্ব বা পার্সোনালিটি নিয়ে কখনো কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে। একটি ব্যাপার দুঃখজনক হলেও সত্য এ যুগে ছেলেমেয়েদের মধ্যে নিজস্ব একটি ব্যক্তিত্ব গঠন করে তোলার প্রচেষ্টার অনেক অভাব। তারা ফ্যাশন সচেতন তারা তাদের প্রিয় তারকাদের অনুসরণ করতে পছন্দ করে কিন্তু তারা তাদের মধ্যে নিজস্ব ব্যক্তিত্ব গঠন করে না। আগেকার মানুষদের মধ্যে ব্যক্তিত্ব বিষয়টি ব্যাপকভাবে ছিল।
আমি সব সময় আমার আব্বুর মধ্যে এই ব্যক্তিত্ব বা পার্সোনালিটি বিষয়টি দেখে এসেছি। তাই আমি চেষ্টা করি তার মতই আমি আমার ব্যক্তি তাকে ধরে রাখার।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
100 SP | 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP |
সত্যি বলতে ব্যক্তিত্ব বা পার্সোনালিটি প্রত্যেকটি মানুষের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ব্যক্তিত্ব এবং পার্সোনালিটি সম্পূর্ণ নিজস্ব একটি বিষয় যা আপনি খুবই সুন্দরভাবে আমাদের কমিউনিটির মডারেটরদের বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন। সফল হতে হলে এবং তার নিজেকে ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত করিয়ে দিতে হলে আপনাকে অবশ্যই একজন ব্যক্তিত্বপূর্ণ মানুষ হতে হবে। সবগুলো কথা অত্যন্ত গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ ভাই।
আপনাকে ধন্যবাদ।
ছোটকাল থেকেই আমাদের ব্যাক্তিত্বের বিকাশ ঘটতে থাকে। আচার-আচরণ পোশাক কথাবার্তা সব কিছুতেই একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব চেনা যায়। প্রত্যেকের আলাদা ব্যক্তিত্ব রয়েছে এবং চিন্তাধারাও ভিন্ন। অনেক সুন্দর লিখেছেন।
একটা মানুষের ব্যক্তিত্ব সাধারণত ২০ বছরের পর থেকেই ফুটে উঠতে শুরু করে। বয়সের সাথে এটার পরিপক্কতা আসে। তবে শিশু মন নরম মাটি, যেভাবে আকার দেওয়া হবে সেভাবেই তৈরী হবে। ছোটো বেলায় যা শিখবে বড়ো হয়ে তার প্রতিফলন আসবে। তাই শিশুদের সাথে ও সামনে খুবই ভালো আচরণ মেনে চলা উচিত। এতে ভবিষ্যতে সেই শিশু যখন বড়ো হবে তাঁর ব্যক্তিত্ব বা মানুষ হিসেবেও ভালো হবার প্রবণতা বেশি থাকবে।
একটা মানুষকে বাকি দশটা মানুষ থেকে আলাদা করে তোলে তার ব্যক্তিত্ব।আমার কাছে মনে হয় যার ব্যক্তিত্ব যত হাই,মানুষের মাঝে তার ভ্যালুটাও ততো হাই।
সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া❤️
ব্যক্তিত্ব আমাদের সহজাত প্রবৃত্তি। একজন মানুষের যে বিষয়টি অন্যদের আকর্ষণ করে তা হলো ওই ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব। মানুষটি কেমন, কোন পরিবেশের সবই জানা যায় ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে। বর্তমানে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিত্বকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। আপনি শিক্ষনীয় একটা পোস্ট লেখেছেন। ধন্যবাদ খুব ভালো লাগল পড়ে।
পার্সোনালিটি বা ব্যক্তিত্ব সবার মধ্যে থাকে না। বাহ এটা সবাই নিজের মধ্যে তৈরি করতেও পারে না। একটি সুন্দর সুষ্ট পরিবেশে থাকতে থাকতে প্রাকৃতিক ভাবেই একজন মানুষের মধ্যে ব্যক্তিত্ব সৃষ্টি হয়। পার্সোনালিটি সম্পন্ন একজন ব্যক্তি কখনোই অন্যের উপর নির্ভর করে না। খুব সুন্দর একটি বিষয়ে আলোচনা করেছেন।।
ব্যক্তিত্ব জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ । তবে মানুষের উপরের চেহারার সৌন্দর্য আর ব্যক্তিত্ব দুটি আলাদা আলাদা দিক। সৌন্দর্যের উপর কখনোই ব্যক্তিত্ব নির্ভর করে না। হয়তো বা নিজের ব্যক্তিত্বকে প্রকাশ করা বা ধরে রাখার ক্ষমতা অনেকের থাকে না। আপনি আপনার লেখনীতে ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ব্যাক্তিত্ব বলতে আমি বুঝি নিজের ভেতরের সুপ্ত প্রতিভা এবং গুনগুলোকে শারীরিক অবয়ব এবং কথা বার্তায় ফুটিয়ে তোলা। যা একটি মানুষকে মূল্যায়নের জন্য অতি জরুরী।
আপনি খুব নিপুণ হাতে সবকিছু গুছিয়ে লিখেছেন চমৎকার ভাই। শুভ কামনা অবিরাম 🥀
ধন্যবাদ @moh.arif ভাই 💗
এই ব্যাপারটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যেকটি মানুষের জীবনেই কিন্তু আফসোসের ব্যাপার যে এটা মানুষ ভুলে যায় আর নতুবা খেই হারিয়ে ফেলে!আমার বিশ্বাস একটা মানুষ তখন ই সফল হতে পারে যখন ওই মানুষটি নিজের পার্সোনালিটিকে ধরে রাখতে পারে।সবগুলো কথাই একদম খাঁটি।