মজাদার কবুতরের মাংসের রেসিপি।
আজ- ১৩ই অগ্রায়ন | ১৪২৮ , বঙ্গাব্দ |রবিবার | হেমন্ত-কাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আজ আমি আপনাদের সাথে কবুতরের মাংসের রেসিপি শেয়ার করব।
![1638105538214-01.jpeg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmX4LhRwui72xD3vvsDkjjx7gdsM4Hpu2hJ9ATWN5Xt3Wa/1638105538214-01.jpeg)
আজ একটি নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। নিশ্চয় এতক্ষণে রেসিপি টাইটেল দেখে বুঝে গিয়েছেন কি রেসিপি শেয়ার করতে চলেছি। তবুও আরো একবার বলে নিচ্ছি, আজ আমি কবুতর মাংসের রেসিপি শেয়ার করব। আমি ছোটবেলায় একদমই কবুতরের মাংস খেতাম না আর এটি না খাওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে কবুতর দেখলে আমার খুব মায়া লাগতো তাই কবুতরের মাংস রান্না করলে আমার আর খেতে ইচ্ছে করত না। যাইহোক সময়ের সাথে সাথে এর মায়া ত্যাগ করতে পেরেছি।
আর কবুতরের মাংস যে শুধুমাত্র টেস্ট এর দিক থেকে অন্যতম তা কিন্তু নয় এতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি গুনাগুন। ডাক্তারেরা বেশিরভাগ সময় রোগীদেরকে এই কবুতরের মাংস খাওয়ার পরামর্শ দেন। কেননা এর পুষ্টি গুনাগুন রোগীদের সুস্থ করতে সহায়তা করে।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- পেঁয়াজ কুচি।
- মরিচের গুঁড়া।
- লবণ।
- তেল।
- জিরা বাটা।
- আদা বাটা।
- রসুন বাটা।
- কবুতরের মাংস।
- এলাচ।
- দারুচিনি।
- তেজপাতা।
![]() |
![]() |
![]() |
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
প্রস্তুত প্রণালীঃ
ধাপ-১ঃ
- প্রথমে মাংসগুলোকে কেটে ভালোভাবে ধুয়ে নেব।
![]() |
![]() |
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
ধাপ-২ঃ
- এরপর মাংস গুলোর মধ্যে সকল মসলা দিয়ে দিব। অর্থাৎ আদা বাটা, রসুন বাটা, জিরা, হলুদ, মরিচের গুঁড়ো ও লবন সবকিছু দিয়ে দিব।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
ধাপ-৩ঃ
- সকল মসলা দেওয়ার পর এর মধ্যে পরিমাণ মতো সরিষার তেল দিয়ে দিব।
![]() |
![]() |
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
ধাপ-৪ঃ
- এবার ভালোভাবে মসলাগুলোর সাথে মাংসগুলো মেখে নিব।
![]() |
![]() |
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
ধাপ-৫ঃ
- এরপর মসলা মাখানো মাংসগুলোকে পাতিলে দিয়ে দিব।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
ধাপ-৬ঃ
- পাতিলটি ঢেকে দেবো।
![]() |
![]() |
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
ধাপ-৭ঃ
- এরপর মাংসগুলোকে কিছুক্ষণ কষাব।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
ধাপ-৮ঃ
- মাংস কষানো হয়ে গেলে এর মধ্যে পানি ও আলু দিয়ে দিব।
![]() |
![]() |
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
ধাপ-৯ঃ
- মাংস গুলোকে কিছুক্ষণ রান্না করব এরপর রান্না হয়েগেলে নামিয়ে নিব।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
ধাপ-১০ঃ
- ব্যাস এভাবেই তৈরি হয়ে গেল মজাদার কবুতরের মাংসের রেসিপি।
![]() |
![]() |
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
সকলকে ধন্যবাদ।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
আপনার পোষ্ট দেখে ক্ষুধা লাগছে, খুব ভালো লাগবে, রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
ভাইয়া, আপনি বোধহয় খেয়াল করেন নি দাদা জেনারেল ডিসকাশনে একদিন বলেছিলেন -কবুতর বা পায়রার মাংস রেসিপি পোষ্ট করা যাবে না।কারণ কবুতর বা পায়রাকে আমরা শান্তির দূত হিসেবে জানি।তাই দাদার খারাপ লাগে বলে বারণ করেছিলেন।আমার জানা ছিল কথাটি ,তাই আপনাকে বললাম ভাইয়া।কিছু মনে করবেন না।ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া আপনার কবুতরটি মনে হয় অনেক বড় ছিল তাই না?পাখনা আর রানগুলো কত বড় বড়।কবুতর এর মাংস রান্না করলে রানতো খুঁজেই পাওয়া যায় না কিন্তু আপনার কবুতরের রানগুলো আমার কাছে অনেক বড় বড় লাগছে দেখে মনে হয়েছে রান দুটো আমি নিয়ে খেয়ে ফেলি। কবুতর খুবই মজাদার একটি খাবার।আপনি রান্না করেছেন খুব টেস্টি করে কালারটি যা হয়েছে না ভাইয়া মনে হচ্ছে অনেক মজা হয়েছে।
উম ভাইয়া পুরাই অসাধারণ হয়েছে দেখতে, খেতে যে অনেক মজার হয়েছে দেখেই বুঝা যাচ্ছে। কবুতরের মাংস আমার ভিষণ পছন্দের, বিশেষ করে এর হাড় খেতে দারুণ। আপনি পুরো লোভ জাগিয়ে দিলেন ভাইয়া।
যাই হোক অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
এই পোস্ট দেখে ক্ষুধা লাগছে। উল্লেখযোগ্য। বিস্তারিত ব্যাখ্যা এবং অবশ্যই স্বাদ খুব ভাল
সত্যি ভাইয়া,কবুতরের মাংস স্বাদ যেমন তেমনি পুষ্টি গুনাগুন রয়েছে প্রচুর। যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। ডাক্তারা প্রায় সময় দুর্বল রোগীদের বলে থাকে কবুতরে ঝোল এবং মাংস খাওয়ার জন্য।
আমি কবুতরের মাংস খেতে খুবই পছন্দ করি। আপনার রান্না করা কবুতরের মাংসের তরকারি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। তরকারি কালারটা খুবই লোভনীয় লাগছে। ভাইয়া,কবুতরের মাংস রান্না করার প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা সহকারে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া,এতো সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
সুকৌশলে রন্ধন রীতির ছবি ও বর্ণনা, যে কাউকে, রন্ধনে উদ্বুদ্ধ করে তুলবে। যেমনটা আমাকে করতে পেরেছেন। আগে দর্শনধারী পরে গুন বিচারি।
রং দেখে মুখে দিলাম, মাশাল্লাহ
কবুতরের মাংস খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। কবুতরের মাংস অনেক পুষ্টি গুণ সম্পন্ন খাবার। বিশেষ করে হাড় গুলো চিবিয়ে খেতে খুবই মজা।আজকে খুব সুন্দর একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছেন। আমার কাছে ভালো লেগেছে ভাই। ❤️❤️
ভাইয়া এটা কি দেখালেন কবুতরের মাংস আমার যে পছন্দের তা আর কি বলবো ।আর আপনি এতো সুন্দর করে রান্না করেছেন আমার কিন্তু মুখে পানি চলে এসেছে । ধাপ গুলি আপনি এতো সুন্দর করে দেখিয়েছেন কি বলবো।আপনার রান্না করার প্রসেস টি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে ।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে আমার মুখে পানি আনার জন্য।
আমার এই রেসিপিটি আপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম।
আমরা কবুতর খাই না। তবে শুনছি কবুতরের মাংস নাকি খুব ই টেস্টি।তবে আপনার কবুতরের মাংসের কালার দেখে মনে হয় খুবই টেস্টি হয়েছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আসলে কবুতরের মাংসের স্বাদ টা অন্য যেকোনো মাংসের থেকেই ভিন্ন এবং অনেক মজাদার। অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি, আমার এই রেসিপিটা আপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম।