মোবাইল ফোনে আসক্তি।

in আমার বাংলা ব্লগ9 months ago

আজ- ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শীতকাল


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।




1000050359.jpg
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।

কেমন আছেন সকলে? আশা করছেন ভালো আছেন। আপনি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। ভালো থাকা এটি শুধুমাত্র শারীরিক কোন বিষয় না, এটি মানসিক বিষয় ও বটে। তবে বর্তমান জেনারেশনের অধিকাংশ মানুষই ভালো আছে হয়তোবা শারীরিক দিক থেকে। মানসিক দিক থেকে অনেক মানুষ হতাশাগ্রস্থ। মানুষের মধ্যে আত্মহত্যা নামক এই ব্যাধি খুব বেশি দেখা যাচ্ছে আজকাল। আর এই ব্যাধিটি মূলত ডিপ্রেশন থেকে হয়ে থাকে।

যে সময়টাতে আমরা অনেক কিছুই বুঝতে জানতাম না নিজের মতো করে নিজের জীবনটাকে রঙিন ভাবে সাজিয়ে তুলতাম। কিন্তু সে বাচ্চারা আজ ডিপ্রেশন নামক ব্যাধিতে ভুগছে। ডিপ্রেশন এ বিষয়টাকে আমি বিশেষ রোগ বলে আখ্যায়িত করছি। কেননা এটি আমাদেরকে ভেতরের দিক থেকে দুর্বল এবং অসুস্থ করে তুলে। এবং ধীরে ধীরে শেষ করে দেয় ।

বর্তমান জেনারেশনে বেশিরভাগ বাচ্চাদের হাতে এন্ড্রয়েড ফোন গেম এসব নিয়ে তাদের সময়টা কাটে। যখন তাদেরকে এই সকল কিছু থেকে দূরে রাখবেন তখন তারা অনেকটা একাকীত্ব ফিল করে। এবং এই বিষয়টা তারা স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারে না। এবং তাদের মধ্যে এক ধরনের ডিপ্রেশন কাজ করে। অথচ ওই সময়টাতে আমরা আমাদের সময় গুলো কাটাতাম অনেকটা আনন্দে এবং রঙিনভাবে। কিন্তু এখন বিষয়টা একদম পাল্টে গেছে।

এখন বাচ্চাদের থেকে যখন মোবাইল নিয়ে নেওয়া হয় তখন তারা বলে তাদের সময় গুলো বোরিং ভাবে কাটছে তাদের কাছে কোন কিছুই ভালো লাগছে না তারা কিভাবে সময় গুলো কাটাবে এই নিয়ে তারা ভাবে। তারা এ সকল কিছুর সাথে এত গভীরভাবে জড়িয়ে গিয়েছে যে ডিভাইস ছাড়া তারা যেন এক মুহূর্তই চলতে পারছে না।

আমি আমার খুব কাছ থেকে আমার ছোট্ট কাজিনদের কে দেখেছি যারা কিনা মোবাইল ছাড়া এক মুহূর্ত চলতে পারে না। খেতে গেলেও তাদের মোবাইল এমনকি ওয়াশরুমে গেলেও তারা মোবাইল নিয়ে যায়। প্রতিটা ক্ষেত্রে তারা এই ডিভাইস গুলোকে একেবারে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে। তাদেরকে কোনভাবে ডিভাইস থেকে যেন দূরে রাখা সম্ভবই হচ্ছে না। যখনই তাদেরকে ডিভাইস থেকে দূরে রাখা হয়েছে তখনই তাদের মেজাজ খিটখিটে এবং অস্বাভাবিক আচরণ করছে। আসলে এগুলো শুধুমাত্র একটা বাচ্চার ক্ষেত্রে নয় বরং ঘরে ঘরে প্রতিটি বাচ্চার ক্ষেত্রে এই সকল লক্ষণ গুলো আজকাল দেখা যায়।

এভাবে তারা মোবাইলে আসক্ত হয়ে পরিবার-পরিজন থেকে দূরে নিজের মতো করে একটা জগত তৈরি করে নেয়। ফলে অল্প কিছুতেই তারা ডিপ্রেশনে ভুগতে থাকে। এবং তাদের মধ্যে বাস্তব জ্ঞান এবং এক্সট্রা কারিকুলাম বিষয়গুলো অনেক কমতে থাকে। একজন অভিভাবক হিসেবে অবশ্যই প্রত্যেকটি বাচ্চাকে ছোটবেলা থেকে স্ক্রিন টাইম থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করতে হবে।


সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।

1000038736.webp


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  
 9 months ago 

একজন অভিভাবক হিসেবে অবশ্যই প্রত্যেকটি বাচ্চাকে ছোটবেলা থেকে স্ক্রিন টাইম থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করতে হবে।

একেবারে যথার্থ বলেছেন ভাই,এখনকার বাচ্চাদেরকে ছোটবেলা থেকেই মোবাইল ফোন থেকে দূরে রাখা উচিত। নয়তো মোবাইলে একবার আসক্ত হয়ে গেলে,পরবর্তীতে মোবাইল ছাড়া তারা থাকতে পারে না। এতে করে পড়াশোনায় তো একেবারেই মন বসে না তাদের। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 9 months ago 

একদম সত্যি কথা বলেছেন ভাইয়া।আজকাল বাচ্চারা মোবাইল ছাড়া এক মুহুর্ত ও চলতে পারে না।এই মোবাইলের কারনে তাদের এক্সটা জ্ঞান আর বৃদ্ধি পায় না।আমাদের এখন থেকেই সতর্ক হতে হবে বাচ্চাদের হাতে মোবাইল না দেয়ার।

 9 months ago 

এই প্রজন্ম কে দেখলে আমার নিজেরও ভয় হয় ভাই। আপনার বাড়িতে কয়েকটা আছে। এদেরও এই অবস্থা। ফোনের পেছনে সবসময় পড়ে থাকে। আর এরা ফোনের বাইরে কোন জগত ভাবতে পারে না। ব‍্যাপার টা বেশ আশংকার। সুন্দর লিখেছেন আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.07
TRX 0.28
JST 0.034
BTC 101096.07
ETH 3365.74
USDT 1.00
SBD 0.52