কত সময় পর্যন্ত বেঁচে থাকতে চাই?
আজ - ২ই চৈত্র |১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | বসন্তকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
কেননা আমি অনেক বৃদ্ধকে দেখেছি যারা কিনা বয়সের ভারে একেবারেই নুয়ে পড়েছে। বিছানায় তাদের খাওয়া-দাওয়া জীবনযাপন। তারা বেঁচে আছে মরার মত করে। আর ওই মৃত্যুর গুলো আমাকে খুবই যন্ত্রনা দেয়। তাই আমি কখনোই অধিক বয়স পর্যন্ত বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকার প্রত্যাশা করিনা। এছাড়াও সমাজে এমন অনেক মৃত্যু আছে যে মৃত্যুতে অন্যরা বেঁচে যায়।
বৃদ্ধ বয়সে মানুষ আসলেই অন্যের বোঝা হয়ে যায়। তারা অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। নিজের ক্ষমতা, যশ , প্রতিপত্তি টাকা পয়সা সব কিছুই শেষ করে অন্যের দয়ার উপর নির্ভর করে চলতে হয়।
বৃদ্ধ বয়সে মানুষ অনেকটাই শিশুসুলভ হয়ে যায়। তাদের বোঝানোর ক্ষমতা কিংবা নিজে বুঝার ক্ষমতা অনেকটাই কমে আসে। সমাজে কিংবা পরিবারের তাদের প্রয়োজন গুলো দিন দিন কমতে শুরু করে। তারা নতুন জেনারেশনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারেনা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে।
আমি মনে করি নাম ধরে ডাকা মানুষগুলো যখন পৃথিবীতে আর বেঁচে থাকে না তখনই একজন মানুষের প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়। আর একজন ব্যক্তির মূল্য আছে ততদিন যতদিন সে অন্যের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম।
আমার এক দূরের আত্মীয় সম্পর্কে আমার দাদু হয়। বয়স সম্ভবত ১০০ এর বেশি হবে। বয়সের ভারে একেবারেই কুঁজো হয়ে গিয়েছিল। তেমন ভালো করে চলাফেরা ও করতে পারে না লাঠি ছাড়া। তবে মোটামুটি ভালো খারাপের মধ্যে থাকলেও শেষ দুই বছর ধরে একেবারে বিছানায় পড়ে গিয়েছিল। যত দিন যাচ্ছে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। এরপর এমন এক পরিস্থিতি হয়েছে যে শুধুমাত্র তার শরীরে নিশ্বাসটা ব্যতীত আর কিছুই ছিলনা। আত্মীয়-স্বজন পাড়া প্রতিবেশী সকালেই ২-১ বার করে দেখতে আসে তার এই শেষ সময়গুলোতে। সকলের মোটামুটি প্রস্তুতি হয়ে রয়েছে যে এই যাত্রায় তার বেঁচে ফেরা হবে না। তাই স্বাভাবিকভাবে সকলেই মানসিক প্রস্তুত হয়ে রয়েছে সেই দুঃসংবাদটি শোনার অপেক্ষায়। কেননা তার এই বেঁচে থাকাটা মৃত্যুর থেকে কম যন্ত্রণাদায়ক নয়।
এমন ও একবার হয়েছে যে সকালে ভেবে নিয়েছে তিনি আর বেঁচে নেই। একেবারে নিস্তব্ধ শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কিছুক্ষণ এর জন্য । তবে পার্বতীতে আবার কিছু সময়ের পর ধীরে ধীরে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে শুরু করে। তবে সকলেই ধরে নিয়েছে হয়তো দুই একদিন তার এভাবেই বেঁচে থাকা হবে। তবে এভাবে করে তিনি ওই পরিস্থিতিতেও প্রায় এক বছর বেঁচে ছিলেন।
এরকম অনেক আছেন যাদের দীর্ঘ আয়ুগুলো যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই কি লাভ এমন দীর্ঘ আয়ু পেয়ে। একটা সুন্দর মৃত্যুই একটি জীবনের সুন্দর সমাপ্তি। তাই আমি কখনো এই অবহেলিত, মৃত্যু যন্ত্রণা সহ্য করে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে চাই না। যদিও এটা সত্যি যে, কোনো মানুষ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে চায়না সহজে।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
আপনার কথাই আমি একমত। কি বলবো ভাইয়া চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। আসলে আমরা এভাবে কখনো ভেবে দেখিনি। সবাই অনেক দিন বেঁচে থাকতে চায়। আপনার কথায় যুক্তি রয়েছে। আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
আসলেই সুস্থ এবং নিজে স্বাবলম্বী ভাবে বেঁচে থাকাটা অনেক বড় নেয়ামত।অন্যর উপর নির্ভরশীল হয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভালো।আসলে উভয় পক্ষের কষ্ট যে বিছানায় পরে আসে,আর যারা যত্ন করছে উভয়েরই অনেক কষ্ট। বয়স্ক মানুষের অনেক কষ্ট। নিজের কাজ গুলো নিজে করতে পারে না।
ঠিক তাই যতদিন নিজের কাজ নিজে করার ক্ষমতা আছে ঠিক ততদিনই একজন মানুষ বেচে থাকা শ্রেয়। বিছান শুয়ে থেকে অন্যের বোঝা হয়ে না থাকাই ভাল। সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন ভাইয়া। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই সত্যি সুন্দর একটি টপিক তুলে ধরেছেন ৷ পৃথিবীর বুকে দীর্ঘদিন বেঁচে না থাকার চেয়ে ৷ যতদিন বাচিঁ সেটা সুন্দর জীবন যাপন হয় ৷
আর আমি মনে জীবনের সবচেয়ে কষ্ট হয় এই বৃদ্ধ বয়সে ৷ অনেক কষ্টের শিকার হতে হয় ৷
তাই সর্বোপরি সঠিক কথাই বলেছেন দীর্ঘায়ু না হওযার চেয়ে যতদিন বেঁচে থাকি যেন সুন্দর একটি জীবন অতিবাহিত করতে পারি এমনটাই প্রার্থনা কামনা ঈশ্বরের নিকট ৷
অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই ৷
ভাইয়া আপনি খুবই বাস্তবসম্মত এবং জ্ঞানমূলক একটি পোষ্ট করেছেন।জি ভাইয়া, আপনি ঠিকই বলেছেন বৃদ্ধ বয়সের মানুষেরা শিশুসুলভ হয়ে যায়। আর বৃদ্ধ বয়সের মানুষেরাই সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল করে তার পরিবার-পরিজনের উপর। তাই আমি আপনার সাথে একমত যে, সকলের আদরে ও সম্মানের সাথে পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়ার টাই উত্তম। কিন্তু জন্ম ও মৃত্যু আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহতালার হাতেই সীমাবদ্ধ। তাই তিনি যখন যাকে যে অবস্থায় রাখবেন সেটা মেনে নিয়েই আমাদের সন্তুষ্ট থাকা উচিত।
ঠিক বলেছে দাদা একজন মানুষের ততদিন পর্যন্ত মূল্য থাকে , যত দিন পর্যন্ত সে অন্যের প্রয়োজন মেটাতে পারে ৷ এরপর যখন সে বৃদ্ধ বয়সে পা রাখে , অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়, তখন সেই মানুষটি পরিবার সমাজের কাছে বোঝা ছাড়া আর কিছুই নয় ৷ এজন্য আমারও ইচ্ছে জানতে চাইলে আমিও আপনার মতোই বলবো ৷ যত দিন সুস্থ , আছি স্বাবলম্বী আছি , তত দিন-ই কেবল বাঁচতে চাই ৷