"রঞ্জনা আমি আবার আসবো" নাটকের রিভিউ।
আজ - ৫ই আশ্বিন | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | সোমবার | শরৎকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবিঃ স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলীঃ
নাম | রঞ্জনা আমি আবার আসবো। |
---|---|
পরিচালক | মিজানুর রহমান আরিয়ান। |
অভিনয় | আফরান নিশো, মেহজাবিন চৌধুরী,সোলায়মান লিমন। |
দৈর্ঘ্য | ৪০ মিনিট। |
ধরন | রোমান্টিক । |
ভাষা | বাংলা। |
মুক্তির তারিখ | ১৫ ই আগস্ট ২০১৯ । |
নাটকের সারসংক্ষেপ
ছবিঃস্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
পরবর্তীতে আফরান নিশো বাসে উঠে কন্টক্টর সাথে কলে কৌশলে মহিলাটিকে মেহজাবিনের পাশের সিট থেকে উঠিয়ে দিয়ে সে ওই সিটে বসে পরে। কিন্তু এই কথা টি যেকোনোভাবে মেহজাবিনের বাবার কাছে চলে যায়। মেহজাবিনের বাবার জানতে পারে তার মেয়ের পাশের সিটে আরফান নিশো বসেছে। এখানে উল্লেখ্য যে আরফান নিশোকে আগে থেকেই মেহজাবিনের বাবার চেনেন। আর এই খবর টি পেয়ে মেহজাবিনের বাবা বাসের কন্টাকটারেকে কল দিয়ে তার সাথে খুবই রাগারাগি করে। তাই বাসের কন্টাকটার তাদের দুজনকে আলাদা সিটে বসতে বলে কিন্তু তারা আলাদা সিটে বসতে রাজি না হওয়ায় তাদেরকে বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এর পর মেহেজাবিনের বাবা তাকে কল দিয়ে জিজ্ঞেস করে সে এখন কোথায় আছে এবং তার সাথে কে আছে? মেহেজাবিন ভয়ে ভয়ে সব সত্য কথা বলে দেয়। এর পর দেখা যায় তারা দুজনে অন্য একটি বাসে উঠেছে ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্য। তারা বাসের পরবর্তী স্টেশনে নেমেই দেখে মেহেজাবিনের বাবা উপস্থিত। মেহেজাবিনের বাবা মেহেজাবিনকে একপ্রকার জোর করে বাড়িতে নিয়ে এসে রুমে আটকে রাখে।
মেহেজাবিনের বাবা চাই না যে তার মেয়ে কোন মাস্টারের ছেলের সাথে সম্পর্ক করুক। তাই মেহেজাবিনের বাবা নিশোর বাবাকে ফোন দিয়ে হুমকি দেয়। এবং আফরান নিশোকে মারধর করে। এই দিকে মেহেজাবিনের ভয় ছিল আফরান নিশো আবার তাকে ছেড়ে দিবে না তো সে আসবে তো তাকে নিয়ে যেতে।
মেহেজাবিন একদিন তার বাবার থেকে লুকিয়ে আফরান নিশোর সাথে দেখা করে আবার বাড়িতে চলে আসে।
অন্য দিকে মেহেজাবিনের বাবা তার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছ। বিয়ের সব আয়োজন শুরু হয়ে গেছে। এর পর আফরান নিশো আসে আর
মেহেজাবিনের বাবাকে বলে সে তার মেয়ে কে নয় বরং তার স্ত্রীকে নিয়ে যেতে এসেছে। এর পর একটি ফ্ল্যাশব্যাক এর দৃশ্য দেখানো হয় সে দৃশ্যে দেখে আমরা জানতে পারি যেদিন মেহেজাবিন তার বাবার থেকে লুকিয়ে নিশোর সাথে দেখা করেছিলো ওই দিন তারা বিয়ে করে পেলে। কিন্তু মেহেজাবিন বাড়িতে চলে আসে আর আফরান নিশো তাকে কথা দিয়েছিল সে এসে তার বাবার সামনে দিয়ে তাকে নিয়ে যাবে। সে তার কথা রেখেছে। আরএই ভাবে নাটকের একটি সুন্দর সমাপ্তি ঘটে।
শিক্ষা
ব্যক্তিগত মতামত
একটা গান আছে না, রঞ্জনা আমি আর আসবো না। কিন্তু এই নাটকের নাম "রঞ্জনা আমি আবার আসবো "যেটি আমার কাছে ইন্টারেস্টিং লেগেছে।
এবার নাটকের কথায় আসি,নাটকটি আমার কাছে ভালোই লেগেছে। নাটকটি একটি ছোটখাটো প্রেমের গল্প। আর পাঁচটা প্রেমের গল্প যেরকম হয় আরকি। নাটকের মিউজিক টা অনেক ভালো ছিল। আফরান নিশো আর মেহজাবিনের অভিনয়ের কথা আর নতুন করে কি বলবো। ওরা তো সবসময় সেরা।
অনেক সুন্দর একটি নাটক।আর আপনি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া।শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
নাটকের কাহিনীতে অনেক সুন্দর এবং অনেক সুন্দর ভাবে আপনি নাটকটি রিভিউ করেছেন খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া
বাংলাদেশি নাটকগুলো সবসময় শিক্ষনীয় এবং আনন্দের হয়ে থাকে।যা দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, নতুন নতুন নাটক রিভিউ দেওয়ার জন্য।
আরফান নিশু মানে বস তার প্রতিটির নাটক কমবেশি শিক্ষণীয় হয়ে থাকে, এই নাটকে মানুষ তার কথা দিয়ে কথা রাখার গুরুত্বটা বুঝানো হয়েছে, আর আমাদের প্রত্যেককেই মানুষ হিসেবে কথা দিয়ে কথা রাখার টা গুরুত্বপূর্ণ জীবনে কারণ কথা না রাখার ফলে বিশ্বাস উঠে যায় এজন্য আমাদের কথা দিয়ে কথা রাখে না অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নিশো মেহেজাবিন মানেই অন্যরকম এক জিনিস,আমার প্রিয় অভিনেতা নিশো🥰🥰
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, আপনি নাটকটা খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন, নাটকটির মূল রহস্যটি আপনি তুলে ধরেছেন। খুবই ভালো লাগলো নাটকের রিভিউটা পেয়ে।
ভাইয়া আমি আপনার পোস্টের টাইটেল দেখেই মনে মনে জাস্ট বলেছি " রঞ্জনা আমি আর আসবোনা "। মানে হয়না মনে মনে গুণগুণানো। ঠিক এমনটাই।
শিক্ষনীয় ব্যাপারটা ছোট হলেও ভালো ছিলো।আজকালকার নাটকে শিক্ষা খুজে পাওয়াই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আর কথা দিয়ে কথা না রাখাটা তো প্রায় ট্রেন্ড ই হয়ে যাচ্ছে যেনো।
নাটকটির সারসংক্ষেপ পড়ে ভালো লাগলো।আমার এভাবে গল্প আকারে পড়তে অনেক ভালো লাগে।
নাটকটি আমি দেখেছি অসাধারণ কাহিনীতে নাটকটি নির্মাণ করেছেন মিজানুর রহমান আরিয়ান। এখানে অনবদ্য এক প্রেমকাহিনী তুলে ধরেছে পরিচালক। ধধন্যবাদ আপনি সুন্দর করে গুছিয়ে রিভিও করেছেন।
নিশো মেহেজাবিন মানেই অন্যরকম এক জিনিস। নাটকটা এখনো দেখিনি। তবে রিভিউটা পড়ে চমকপ্রদ মনে হলো।
এবং নামটা আরও চমকপ্রদ রঞ্জনা আমি আবার আসব।
নাটকটির গল্প চমৎকার ছিল। রোমান্টিক গল্প হলেও ভালোবাসার কাছে সবকিছুতে হার মেনেছে। প্রতিটি মানুষের জীবনে প্রেম আসে কোন না কোন ভাবে কেউ সার্থক হয় কেউ ব্যর্থ।এভাবেই শেষ হয় জীবনে প্রেমের গল্প। নাটকটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনার উপস্থাপনা অনেক সুন্দর ছিল ভাই।