লাল শাক ভাজির রেসিপি।
আজ - ২৭ই আশ্বিন | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | মঙ্গলবার | শরৎকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আজ আমি আপনাদের সাথে লাল শাক ভাজির রেসিপি শেয়ার করব।
লাল শাক মূলত একটি শীতকালীন শাক। তবে এখন এটি সারা বছরই পাওয়া যায় । আমাদের শহরে মোটামুটি কম দামে পাওয়া যায়, তবে সারাবছর যেগুলো পাওয়া যায় সেগুলো তেমন স্বাদের হয় না , কিন্তু শীতকালের অনেক স্বাদ পাওয়া যায়। লালশাক একটি পুষ্টি সমৃদ্ধ শাক। এই শাকটি আমার ভালোলাগার মূল আকর্ষণ হলো এটার রং, যখন সাদা ভাত দিয়ে মাখানো হয় তখন পুরা ভাত লাল রঙের হয়ে যায়। যেটি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।
ছবিঃ লাল শাক ভাজি।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- পেঁয়াজ কুচি।
- মরিচ কুচি।
- লবণ।
- তেল।
- লাল শাক।
- রসুন কুচি।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথম ধাপঃ
- প্রথমে শাককে কেটে ভালোভাবে ধুয়ে নেব।
দ্বিতীয় ধাপঃ
- কিছু রসুনের কোয়াকে শিলে থেঁতো করে নিয়েছি। এবার একটি পাত্রে তেল গরম করতে বসিয়ে দিয়েছি।
তৃতীয় ধাপঃ
- তেল গরম হয়ে গেলে এর মধ্যে থেঁতো করা রসুন গুলো ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিব।
চতুর্থ ধাপঃ
- এরপর কিছুক্ষণ এ পেঁয়াজগুলো কে তেলের মধ্যে নেড়েচেড়ে নরম করে নিব।
পঞ্চম ধাপঃ
- পেঁয়াজ নরম হইয়ে গেলে এর মধ্যে শাক গুলো দিয়ে দিব।
ষষ্ঠ ধাপঃ
- এর পর শাকগুলোকে ভালোভাবে নেড়ে ছেড়ে দিব।
সপ্তম ধাপঃ
- এরপর শাকগুলোকে সিদ্ধ করার জন্য ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিব।
অষ্টম ধাপঃ
- কিছুক্ষণ পর ঢাকনা উঠিয়ে আবারো নাড়াছাড়া করব।
নবম ধাপঃ
- 2 মিনিট পর আবার ও শাকগুলোকে নেড়ে নিয়ে দিব।
দশম ধাপঃ
- এরপর সবগুলোর মধ্যে লবন চেক করে নিব। লবণ কম হলে এ পর্যায়ে লবন দিয়ে দিব।
একাদশ ধাপঃ
- যখন দেখবেন শাকগুলো নরম হয়ে এসেছে। তখন শাকগুলোকে নামিয়ে নেব।
দ্বাদশ ধাপঃ
- এর পর শাকগুলোকে গরম গরম শুকনো মরিচের সাথে পরিবেশন করে নিব।
সকলকে ধন্যবাদ।
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
লাল শাক ভাজির রেসিপি অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই।খাইতে ইচ্ছে করছে।আমার প্রিয় শাক।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপি পোস্ট করার জন্য।
আমি তিন ধরনের শাক খাই। লালশাক হচ্ছে তার ভেতর একটি। লালশাক আমার অনেক আগে থেকেই ভালো লাগে। তবে শাকের ভেতর ছোট চিংড়ি দিলে এতে আরো মজা লাগে। এভাবে খেয়ে দেখবেন ভাই। শাক খাবার মজাটা অনেক বেড়ে যাবে। যদিও আপনার রান্নার চেহারা দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক মজা হয়েছে।
লালশাক খুবই পুষ্টিকর খাবার।তবে আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া, এই অসময়ের শাক অতিরিক্ত সার প্রয়োগে তেমন স্বাদ লাগে না বরং একটু জলসা লাগে খেতে।আমরা এটি চিংড়ি দিয়ে খাই।আপনার রেসিপিটি ও সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
কচু শাকের পরে এই লাল শাক হচ্ছে আমার সবচেয়স প্রিয় একটি শাক।
ছোট বেলায় আমি অনেক গর্ব করে বলতাম যে দেখো আমি রক্ত খাচ্ছি। যদিও ব্যাপারটা খুব হাস্যকর লাগে এখন। 😅
খুব ভালো হয়েছে রেসিপিটি।
লাল শাক ভাজির রেসিপিটা দেখতে সুন্দর লাগছে।লালশাক খুবই পুষ্টিকর খাবার আমাদের দেহের জন্য। তবে এখনকার সময়ে সারের পরিমানটা পরায় শাকের তেমন একটা স্বাদ পাওয়া যায় না। শুভেচ্ছা রইল ভাইয়া।
লাল শাক ভাজির প্রতিটি স্টেপ ও উপস্থাপনা বেশ ভালো ভাবে তুলে ধরেছেন। তা ছাড়াও এটি আমার খুব প্রিয় একটি খাবার।
আমি তো রান্না একেবারেই পারিনা তারপরও বাসায় যখন একলা থাকি মনে হয় আপনার এই রেসিপিটা অন্তত পারব। এটি খুব সহজ মনে হয়েছে একবার চেষ্টা করবো এবং আপনাকে জানাবো কেমন হলো।
লাল শাক শাকের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় শাক। এই শাক আগে শুধুমাত্র শীতকালে পাওয়া গেলেও বর্তমানে এটি সারাবছরই পাওয়া যায়। এর রঙ ও স্বাদের জন্য অন্যসব শাকের থেকে আলাদা। খেতে সুস্বাদু এই লাল শাক পুষ্টিগুণে ভরপুর।
আপনি খুব সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করেছেন ভাই। শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
বাহ! লাল শাক ভাজি আমার খুব প্রিয় ভাজি। লাল শাক ভাজি সাথে শুকনো মরিচ অসাধারণ একটি টেস্ট। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
লালশাক আমার কাছে খুব ভালো লাগে অনেক দিন হয়ে গেছে লাল শাক খায় না। আপনার শাক দেখে খাওয়ার ইচ্ছা জেগেছে। শাকের রংটা অসাধারণ লাগছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে উপকারী একটি খাবারের রেসিপি শেয়ার করার জন্য।