বিকেলে ঘুরতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত সাথে কিছু ফটোগ্রাফি পর্ব- ১ ।
আজ - ২৩ই পৌষ ১৪২৮ , বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | হেমন্ত-কাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
প্রথম পর্ব
বাসা থেকে বিকেল পাঁচটার দিকে বেরিয়েছি আর সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে বাসায় ফিরে এসেছি। আর এখন যেহেতু শীতকাল তাই খুব তাড়াতাড়ি সন্ধ্যা হয়ে যায়। তবে পার্কে চাইলে আরো কিছুক্ষণ থাকা যেত কিন্তু আমি তাড়াতাড়ি বাসায় চলে এসেছি কেননা রাতে হ্যাংআউট আছে। যাইহোক অন্য কোন দিন হাতে সময় নিয়ে পার্কটিতে আবার যাবো ভাবছি। বিকালে হাঁটাহাঁটি জন্য এই পার্কটি একদম উপযুক্ত একটি জায়গা বলে আমি মনে করি।
তো চলুন পার্কটির সম্পর্কে কিছু তথ্য আপনাদের কে জানিয়ে দিয়-
পার্কের মোট আয়তন ৮.৫৫ একর। আর পার্কটি বর্তমানে উন্মুক্ত অবস্থানে আছে। অর্থাৎ এখানে ঢুকতে কোন টিকিট এর প্রয়োজন হয় না। আর পার্কটিতে প্রায় ৯০+ প্রজাতির গাছ আছে। আর এই পার্কটিতে প্রতিদিন প্রায় ১০০০+ পরিদর্শক আসে এখানে ঘুরতে। ২০১৮ সালে এই পার্কটিকে উদ্বোধন করা হয়।
আর এখানে আর একটি কথা বলে রাখি পার্কটিকে এখনো সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা হয়নি। পার্কের মধ্যে এখনো অনেক কাজ বাকি রয়ে গেছে। সময়ের সাথে সাথে এই পার্কে আরো অনেক পরিবর্তন আসবে বলে আশা করা যায়।
তো চলুন কথা না বাড়িয়ে পার্কের ভিতরে কিছু দৃশ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করি -
এটি হচ্ছে পার্কের ভিতর রাস্তা। পুরা পার্কে এরকম রাস্তায় বর্ধমান। রাস্তা গুলো দেখতে খুব সুন্দর এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।
সন্ধ্যায় সূর্য যখন ডুবতে চলেছে ওই সময়টাইতে ছবিটা তুলেছি। পুরা সূর্য তখন লাল হয়েছিল আর এটি দেখতে খুব সুন্দর লাগছিল।
হাঁটতে হাঁটতে যখন সন্ধ্যা নেমে আসলো তখন রাস্তার সব লাইট গুলো জ্বলে উঠেছে।
এই পার্কের অন্যতম ও মূল আকর্ষণ হচ্ছে এই ফোয়ারাটি।
রাতে ফোয়ারাটি রং বদল এর সময় দেখতে খুব সুন্দর লাগে। ফোয়ারাটির মধ্যে মোট ৭টা রং দেখা যায়।
রাতে খোলা আকাশের নিচে চাঁদ দেখে ছবি না তুলে আর পারলাম না। এই চাঁদের আলোয় পুরো আকাশটা যেন ঝলমল হয়ে উঠছে।
ডিভাইস - oneplus 9R
সকলকে ধন্যবাদ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ভাই প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এইজন্য যে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বলে। আপনি ঠিক বলেছেন করোনাকালীন সময়ে আমরা কোথাও ঘুরতে যেতে পারি নাই আপনি তাও ঘুরতে গেছেন আমার কপালে সেটা হয়ে উঠেনি ।এখনো ঘর বন্দি হয়ে আছি। আরেকটা কথা ভাইয়া করোনার প্রকোপ এখন অনেকটাই মারাত্মক আকার ধারণ করছে ভাইয়া । আমাদের অবশ্যই সাবধানে এবং জনবহুল জায়গায় এড়িয়ে চলা উচিত। আপনি খুব সুন্দর ভাবে পার্ক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন কবে কতটুকু জায়গা এবং কী পরিমান নিদর্শন এখানে আছে তার সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এছাড়াও আপনার সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আবারও।
পার্কের প্রশংসা করতেই হবে, পরিবেশ দেখে মনটা জুড়িয়ে গেল। একটা জিনিস শুনে অবাক হলাম এখানে 90+ প্রজাতির গাছ রয়েছে। ঝরনার পানির আলোকসজ্জা আমার মন কেরেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে ধন্যবাদ এত সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
দারুন ছিল দাদা পার্ক টি। আমি নিজেও ঘোরাফেরা করতে পছন্দ করি। করোনার জন্য যদিও থমকে গেছে বেশ কিছুদিন হল। তবে আপনার দেখানো আজকের এই জায়গাটা বেশ পছন্দ হলো। খোলামেলা জায়গা সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে আমার। আর এত এত ধরনের গাছ থাকলে তো কথাই নেই। প্রকৃতির সজীবতায় নিজেকে কিছুক্ষণের জন্য মেলে ধরা যায়। রঙিন জলের ফোয়ারা গুলো নজর কেড়ে নিচ্ছিল বারবার । অনেক ভালো লাগলো সব কিছু।
হোটেল, রেস্টুরেন্ট এসব জায়গা থেকে খোলামেলা জায়গায় সময় কাটাতে আমারও বেশ ভালো লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য ।
পার্কটি অসাধারণ ভাইয়া। বিভিন্ন রংয়ের ফোয়ারা গুলো চমৎকার লাগছে। আপনার বিকেলটা অনেক সুন্দর কেটেছে। বিভিন্ন গাছপালা মন ভালো করে দেয়। আসলেই শীতের সময় ঘোরাঘুরি করতে অনেক মজা।
ওয়াও পার্টি তো খুব নান্দনিক আর মনোরম। তবে একটি জিনিস দেখে খুব ভালো লাগলো যে পার্কটিতে 90 প্রজাতির গাছ রয়েছে যেটা খুবই ভাল একটি ব্যাপার। আর আপনার ঘুরাঘুরির দৃশ্য গুলো খুব সুন্দর চমৎকার হয়েছে। আসলে সময় পেলে এরকম একটু ঘোরাঘুরি করা দরকার এতে মন ও শরীর দুটোই চাঙ্গা থাকে। যাইহোক অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পার্টিকে এত সুন্দর ভাবে আমাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য। 🖤
পার্কটা অনেক সুন্দর। ছবিগুলাও অনেক সুন্দর করে তুলেছেন। এক কথায় অসাধারণ। এরকম একটি সুন্দর পার্কে ঘুরতে গেলে এমনেই মন ভালো হয়ে যায়।
খুবই সুন্দর একটা জায়গা আমি প্রায় মাঝে মাঝে এখানে যাই এবং বিশেষ করে সন্ধ্যার পর গিয়ে কিছু টাইম বন্ধুরা মিলে আড্ডা দেই। খুবই ফেভারিট একটা জায়গা আমার। যখন জাম্বুরি পার্ক হয়নি এখানে,তখন আমরা বন্ধুরা মিলে বিকেলে এখানে নিয়ম করে ক্রিকেট খেলতাম আজকে ওই জায়গায় এত সুন্দর একটা জাম্বুরি পার্ক তৈরি করে দিয়েছে যা জনসাধারণের জন্য খুবই সুন্দর একটা জায়গা এবং সবাই আনন্দের সাথে এখানে বিকালবেলা হাঁটাহাঁটি করে। আপনার আজকের পোষ্টটি দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। এবং আমি খুবই আনন্দের সাথে আপনার এই পোস্টে কমেন্ট করতে পেরেছি কারণ এই জায়গাটা আমার খুব ফেভারিট। এবং খুবই সুন্দর একটা জায়গা।
এই নীল রঙের ফোয়ারা টি আমার অনেক ভালো লেগেছে। আপনার বিকেলটা অনেক সুন্দর কেটেছে ভাই। আসলেই শীতকালটা ঘোরাঘুরি করার উপযুক্ত সময়। ধন্যবাদ ভাই।
ফোয়ারাটি বাস্তবে অনেক সুন্দর লাগে দেখতে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।