যে কোন জিনিস উপর থেকে যাচাই না করে গভীর থেকে যাচাই করা উচিত।
আজ - ২৭ই মাঘ ১৪২৮ , বঙ্গাব্দ |বৃহস্পতিবার | শীতকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
যাই হোক কথা না বাড়িয়ে চলুন আমার আজকের আলোচনার মূল যে বিষয়বস্তু আপনাদের সাথে শেয়ার করি। আমার আজকের আলোচনার মূল যে বিষয়বস্তু সেটি হচ্ছ,
- চখে দেখা জিনিস সবসময় সত্য নাও হতে পারে। যে কোন জিনিস উপর থেকে যাচাই না করে গভীর থেকে যাচাই করা উচিত।
সিটি গোল্ড এবং স্বর্ণ এই দুইটি জিনিস উপর থেকে দেখতে এক হলেও জিনিস কিন্তু এক নই। যদি আমরা স্বর্ণ এবং সিটি গোল্ডের তফাৎ না বুঝি তাহলে দুটাই আমাদের কাছে একই মনে হবে। অথচ এই দুইটির মূল্য কিন্তু আকাশ-পাতাল ব্যবধান। স্বর্ণ এবং সিটি গোল্ডের তফাতটা যেমন উপর থেকে দেখে যাচাই করলে বুঝা যায় না। এর তফাৎ বুঝতে হলে গভীর থেকে যাচাই করতে হয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করে নিতে হয়। সেরকম আমাদের জীবনে অনেক জিনিস উপর থেকে দেখে যাচাই এর মাধ্যমে ভুল জিনিসটিকে বেছে নিয়।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
ঠিক তেমনি আমরা একজন মানুষকে উপর থেকে যাচাই করে খুব সহজে বলে ফেলি মানুষটি কেমন হবে। সে ভালো হবে নাকি মন্দ। প্রথম দেখাতেই তার বাহ্যিক আচার-আচরণ দেখেই খুব সহজে ধারণা করে ফেলে। কিন্তু এ ধারণা আমাদের সবসময় সঠিক নাও হতে পারে। একজন মানুষকে না জেনে না বুঝে শুধুমাত্র বাহ্যিক দিক নির্বাচন করে মানুষটির সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা পাওয়া কখনোই সম্ভব নয়। আবার আমি এটা বলছি না যে মানুষের বাহ্যিক চলাচরিত্রের আচার আচরণ দেখে অভ্যন্তরীণ বিষয় গুলোর প্রতিফলিত হয় না। অবশ্যই প্রতিফলিত হয় তবে সেটি খুবই সামান্য। অনেকের ক্ষেত্রে এর প্রতিফলন নাও হতে পারে।
তো চলুন উপর থেকে দেখে মানুষ যাচাই করার বিষয়টি নিয়ে একটি মজার ঘটনা বলি -
আরো কয়েকদিন আগে আমার শরীরটা একটু খারাপ লাগছিল তাই ডাক্তারের সিরিয়াল নিয়েছে ডাক্তারের দেখাব বলে। সকাল সকাল সিরিয়াল দেওয়ার কারনে আমার সিরিয়ালটি অনেক আগে ছিল। আমার সিরিয়াল ছিল তিন নাম্বারে। যে লোকটির কাছে সিরিয়াল নিয়েছি ওই লোকটি জানাই ডাক্তার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বসবে। আপনি সাতটার কিছুটা আগে আসলেই হবে। ডাক্তারের চেম্বার বাসা থেকে কিছুটা দূরে হওয়ায় আমি তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়লাম। আমি যখন বাসা থেকে বের হয়েছি তখন প্রায় সাড়ে ছয়টা বাজেছে।যদিও ডাক্তারের চেম্বারে যেতে যেতে প্রায় সাতটা বেজে গিয়েছিলো। আর তখন কোনো রোগী ও আসেনি আমিই প্রথম ছিলাম। আমি ওখানে গিয়ে দেখলাম ডাক্তার বসে আছে। তাই ওনাকে ডাক্তার মনে করে আমি সব সমস্যার কথা বললাম। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে ওই লোকটি ডাক্তার না। ডাক্তার এখনো আসে নি। আর যে লোকটা কে আমি এতক্ষন ডাক্তার মনে করেছিলাম ওই ভদ্রলোক হয়েছে ডাক্তারের এসিস্ট্যান্ট। আর লোকটা যেহেতু ডাক্তারের চেয়ারে বসে আছে এছাড়াও প্রেসার এর মেশিন ছিল গলায়। তাই শুধু আমি না যে কেউ লোকটিকে ডাক্তার মনে করবে।
আর এর থেকে আমি বুঝলাম উপর থেকে দেখে কোনকিছুকে যাচাই করা উচিত নয়।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
আমরা দৈনন্দিন জীবনে নানা ভাবে ধোকা খায় শুধুমাত্র উপর থেকে দেখে কোন জিনিস যাচাই করার কারণে। আর এই কথাটির অতি সাধারণ একটি উদাহরণ হিসেবে আমি বলতে চাই - বাজারে তাজা শাক সবজির মধ্যে বেশিরভাগ সময় ফরমালিন ব্যবহার করা হয়। আর এই তাজা শাক-সবজি সতেজতা দেখে মুগ্ধ হয়ে আমরা খুব সহজে সামগ্রীটি নিয়ে ফেলি কিন্তু এই সব্জির ভিতর ভেজাল আছে কিনা তা যাচাই করে দেখি না।
তাই বলছি উপর থেকে যেখানে জিনিস যাচাই না করে গভীরভাবে যাচাই করা উচিত ।
আর এখানে খুবই সংক্ষিপ্ত ভাবে আমার আজকের আলোচনা শেষ করছি। অতি সংক্ষিপ্ত আলোচনা আমি জানিনা আমার আজকের আলোচনার মুল বিষয়বস্তু টি আপনাদেরকে কতটুকু বুঝাতে পেরেছি। তবে আমি চেষ্টা করেছি মূল বিষয়টি আপনাদের কে বোঝানো। তো আজ এই পর্যন্তই সকলে ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। নিজের নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন। আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
এ ধরনের পোস্টগুলো আমার ভীষণ ভালো লাগে ভাইয়া কিন্তু আমরা সব সময় বাহ্যিকতাকে বেশি প্রাধান্য দেয়। একটা মানুষ যখন বাহ্যিকতাকে প্রাধান্য দিয়ে সামনে এগিয়ে চলে তার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কোন মানুষকে বা যেকোনো জিনিস কে আমাদের গুরুত্বসহকারে সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। বাহ্যিকতা সব সময় চাকচিক্যময় হয় কিন্তু এর পেছনে রয়েছে এক ভয়ানক অন্ধকার যা আপনি খালি চোখে দেখতে পারবেন না। ভিতরে সৌন্দর্য যদি আপনি না ধরতে পারেন তাহলে আপনি প্রতি পদে পদে ঠকে যাবেন। কেননা আপনার আশেপাশে মুখোশ পরিহিত লোকের অভাব নেই।
ভাই আজকে আপনার পোস্ট পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। কারণ আপনার পোস্টের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষানীয় বিষয় রয়েছে। আসলে আমরা উপরে সৌন্দর্য দেখে পাগল হয়ে যায় এবং ভেতরের আমরা গুণাগুণ দেখি না। যার কারণে আমরা প্রতিনিয়ত ঠোকে যাচ্ছি। এভাবে চলতে থাকলে আমরা জীবনে কখনো সফলতা অর্জন করব না। আসলে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত উপরে সৌন্দর্য না দেখে ভেতরের গুনাগুন দেখা,সকল কিছু নির্বাচন করা। আমার খুবই ভালো লেগেছে আপনি খুবই সুন্দরভাবে একটি উদাহরণ দিলেন। আসলে আমরা বাজারে টাটকা শাক-সবজি দেখতে পায় কিন্তু এর ভেতরে অনেক ফরমালিন রয়েছে। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত উপরে সৌন্দর্য না দেখে, ভেতরে গুনাগুন দেখে যাচাই করা। আপনার জন্য রইল শুভকামনা ভাইয়া।
গভীর থেকে তলিয়ে দেখার মত মানুষ আমাদের সমাজে খুব কমই আছে। আমরা সাধারণত বাহ্যিক চাকচিক্য দেখেই আকৃষ্ট হই। ভেতরটা তলিয়ে দেখার চেষ্টা করি না।যার ফলে বিভিন্ন সময় আমাদের ঠকতে হয়। বাস্তব জীবন থেকে উদাহরণ দেয়ায় আপনার লেখাটি বেশ আকর্ষণীয় হয়েছে। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আজকে। এই পোষ্টের মাধ্যমে সকলে অনেক বেশি সচেতন হবে। আসলে উপরের চাকচিক্য বা চেহারা দেখে কোন কিছুই নির্বাচন করা যায় না। কোন কিছু সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হলে অবশ্যই সময় নিয়ে এবং ধৈর্য সহকারে খুটিনাটি বিষয় দেখতে হবে। আমি আপনার সাথে সহমত পোষণ করছি, যে কোন কিছু উপর থেকে দেখে নয় গভীরভাবে দেখে তারপর নির্বাচন করা উচিত। অনেক সুন্দর কিছু কথা এবং আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
যেকোন কিছু উপর থেকে যাচাই না করে গভীর থেকে যাচাই করা উচিত এই কথাটির সাথে আমি একদম সহমত পোষণ করছি। কথায় আছে চক চক করলেই কখন সোনা হয় না। তেমনি এই কথাটি আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায়। তাই প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদেরকে সচেতনতার সাথে চলতে হবে এবং সবকিছু সঠিক ভাবে যাচাই করতে হবে। উপরের চাকচিক্য দেখে কখনো সোনা মনে করা যাবে না। খাঁটি সোনা যেমন পরখ করে নিতে হয় তেমনি সবকিছুই ভালোভাবে বুঝে শুনে পদক্ষেপ নিতে হবে। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।
ব্যাপারটি হচ্ছে চক চক করিলেই সোনা হয়না।
আমার ভাইয়া মাঝেমধ্যে মনে হয় পৃথিবীর অনেকাংশই একটা পর্দা।পর্দার নিচের পৃথিবীটা সম্পূর্ণ আলাদা।
শেক্সপিয়র তার দ্য মার্চেন্ট অব ভেনিসে এই কথাটি দেখিয়েছেন। আপনিও খুব সুন্দরভাবে আপনার জীবন থেকে উদাহরণ নিয়ে আমাদের আর একবার বোঝালেন। উন্নত জীবনবোধের এটা একটা দিক, তাই সবার উচিত এই কথাটি নিজের মধ্যে ধারণ করা। ধন্যবাদ ভাইয়া এত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে লিখার জন্য।
হুম ভাইয়া চোখে দেখা জিনিস সব সময় সত্য নাও হতে পারে। আবার যেটাকে মিথ্যা বলে অবহেলা করা হয় সেটিও যে সত্য হতে পারে তা আমাদের কল্পনায় ভাসতে পারে না। আর সত্য-মিথ্যার পার্থক্য আমরা সবাই দিশেহারা। কোনটাকে সত্য বলে গ্রহণ করব আর কোনটা কে মিথ্যা বলে অবহেলা করবো তা বিচার করতে আমরা নির্বোধ।
আপনার উদাহরণ গুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। অনেক অজানা বিষয় জানতে পারলাম আপনার এই পোস্টটি পড়ে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া খুবই সুন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আজকে আপনি লিখেছেন। না প্রত্যেকেই এই বিষয়গুলো জানি তবে সব সময় আমাদের এগুলো মনে থাকে না এটাই বাস্তবতা। ইংরেজিতে একটি কথা আছে ডোন্ট জাজ এ বুক বাই ইটস কভার। কথাটি যতটা না সত্যি ততটাই বাস্তবসম্মত এবং যথার্থ। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া আজকের এই সুন্দর বিষয়গুলো আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।
নিজেকে যতোই চালাক মনে করি, ততোটা চালাক আমরা না। উপরে দেখে সহজেই যাচাই করা যাইনা কাউকে সে কেমন হতে পারে। তাই বাহ্যিক চাকচিক্য দেখে না, সব কিছু যাচাই করেই প্রসংশা করা উচিত। ধন্যবাদ ভাইয়া।