ঝিংগা ভাজি রেসিপি।
আজ - ৯ই ভাদ্র | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | মঙ্গলবার | শরৎকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আজ আমি আপনাদের সাথে ঝিংগা ভাজি রেসিপি শেয়ার করব।
বর্ষাকালের সবজি গুলোর মধ্যে অন্যতম সবজি হয়েছে ঝিংগা। আমরা সাধারণত এই সবজিটিকে চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করি। কিন্তু অনেক মানুষ এলার্জির কিনবা বিভিন্ন সমস্যা থাকার কারণে চিংড়ি মাছ খেতে পারেন না। তারা চাইলে ঝিংগা কে এভাবে ভাজি করে খেতে পারেন। চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করা ঝিংগা থেকে ভাজি করা ঝিংগার স্বাদ কিছুটা ভিন্ন রকম।
ছবিঃ ঝিংগা ভাজি।
ব্যাস তৈরি হয়ে গেল মজাদার ঝিংগা ভাজি।
||Community Page|Discord Group||
আমার কাছে এই ঝিংগা ভাজি টা অনেক ভালো লাগে। এ সবজিটি কিছুটা নরম প্রকৃতির হাওয়াই খুব সহজে হজম হয়ে যায়। যারা ডায়াবেটিস ও প্রেসারের রোগী আছেন তাদের জন্য এই ভাজিটি খুবই উপকারী। ভাজিটিতে কোন প্রকারের মসলা ব্যবহার করা হয়নি। আর ভাজি রান্না করার পদ্ধতিটাও খুব সহজ।
ছবিঃ ঝিংগা ভাজি।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- ঝিংগা– ১ কেজি।
- পেঁয়াজ কুচি– ১/৩ কাপ।
- কাঁচামরিচ– ৪ টা।
- সরিষার তেল– ৩ টেবিল চামচ।
- লবণ– স্বাদমতো।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথম ধাপঃ
- প্রথমে ঝিংগা গুলোকে খোসা ছাড়িয়ে নেব।
দ্বিতীয় ধাপঃ
- ঝিংগাগুলোকে খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট করে টুকরো করে নেব। কাটার সময় চেক করে নিব কোন ঝিংগা তিতা আছে কিনা। তা না হলে তিতা ঝিঙে থাকার ফলে পুরা তরকারিটায় তিতা হয়ে যাবে।
তৃতীয় ধাপঃ
- একটি পাত্রে তেল গরম করে দিবো। তেল গরম হয়ে গেলে এরমধ্যে পেঁয়াজ কুচি, মরিচ, লবণ ও দিয়ে দিব। কিছুক্ষণ পেঁয়াজগুলো তেলের মধ্যে ভেজে নরম করে নিব।
চতুর্থ ধাপঃ
- পেঁয়াজ নরম হয়ে গেলে এর মধ্যে কেটে রাখা ঝিংগা গুলো দিয়ে দিব। এবং এগুলোকে তেলের মধ্যে উল্টে পাল্টে দেবো।
শেষ ধাপঃ
- কিছুক্ষণ পর দেখবে ঝিংগা গুলোর থেকে পানি বেরিয়ে এসেছে। এরপর ঝিংগা গুলোকে কিছু সময়ের জন্য রান্না করবো। যখন দেখবে ঝিংগা পানিগুলো টেনে এসেছে এবং ঝিংগা এগুলো নরম হয়ে গিয়েছে তখন বুঝতে হবে তরকারি রান্না হয়ে গেছে।
সকলকে ধন্যবাদ।
100 SP | 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP |
আমি আগে ঝিঙ্গা খেতাম না। কিন্তু এখন একটু একটু খাই। সবজি টা ভালোই লাগে। আপনার ভাজিটার চেহারা কিছুটা ভর্তার মত হয়েছে। দেখতে ভালোই লাগছে। ধন্যবাদ রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
ঝিঙ্গে টা আমার অত প্রিয়া না তবে শশি যেটা আছে অর্থাৎ আমরা যেটাকে মোলান্দী বলি সেটা আমার অনেক প্রিয়। দেখতে অনেকটা একই রকমই হয় রান্না করলে। আর শশী প্রিয় হওয়ার কারণে প্রথম ছবিটি দেখে আমি মনে করেছিলাম এটি মনে হয় শশী। জিভে জল তো তখনই চলে এসেছে। তাহলে আপনার বাসায় দাওয়াত রইলো
সুন্দর রেসিপি ডিয়ার ভাই।
ডেলিশিয়াস রেসিপি ভাই। ঝিঙ্গা ভাজি আমার খুব পছন্দ। সবজির মধ্যে ঢেড়স এবং ঝিঙ্গা আমার খুব প্রিয়।
ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর করে সবকিছু তুলে ধরেছেন। দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজা হয়েছে।
ঝিঙে আমার পছন্দের সবজি ।আমাদের বাড়িতে এবছর ভালোই ঝিঙে হয়েছে।প্রায় খাওয়া পড়ে সবজিটি।সুন্দর রান্না হয়েছে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই ভাজিটা গরম ভাতের সঙ্গে ভালোই লাগে।একটা মিষ্টি মিষ্টি টাইপের ভাজি।
চিংড়ি মাছ দিয়ে জিঙ্গে রান্না করলে খুব সুস্বাদু লাগে😋 জিঙ্গের বিচ আমার কাছে একটু বিরক্তিকর লাগে। অনেক সুন্দর রেসিপি তৈরি করেছেন ভাই।শুভ কামনা আপনার জন্য।
ঝিঙ্গা ভাজি আমার পছন্দের এক রেসিপি ভাই । অনেক সুন্দর হয়েছে রান্নাটি।
এই ভাজিটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।খুব সহজ ও মজার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।আপনি প্রতিটি ধাপ সুন্দর ভাবে দেখিয়েছেন।