খিচুড়ি তৈরি রেসিপি।
আজ - ৩রা ভাদ্র |১৪৩১ বঙ্গাব্দ, | শরৎকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
কেমন আছেন সকলে? আশা করছি ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। শরৎতের নীল তুলোর মতো মেঘে যুক্ত আকাশে যেন এখন কালো অন্ধকার ছায়া নেমেছে। আকাশে সারাক্ষণই মেঘের ছুটা ছুটি চলেছে। সূর্যের দেখা নেই ক'দিন ধরে। সারাটা ক্ষণ বৃষ্টি পড়েই চলছে,কখনো বা মুষলধারে আবার কখনো বা ঝিরিঝির করে। শরৎকাল এলো সবে মাত্র কিছুদিন হলো আর এতে আবহাওয়ার বেশ খানিকটা পরিবর্তন হয়ে উঠেছে। আর আবহাওয়ার এই পরিবর্তনে চারপাশের রোগবালাইয়া দেখা দিচ্ছে প্রচুর। সকলে একটু সাবধানে থাকবে। যাইহোক, আজকে মূলত একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। এ বৃষ্টির সময় সকলের প্রিয় খাবার খিচুড়ি। আর এই রেসিপি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- পেঁয়াজ কুচি।
- মরিচের গুঁড়া।
- লবণ।
- তেল।
- জিরা বাটা।
- আদা বাটা।
- রসুন বাটা।
- চাল।
- আলু।
- মুগের ডাল।
- শুকনা মরিচ।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
ধাপ-১ঃ
- প্রথমে চার গুলোকে ভালোভাবে ধুয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে এরপর পানি ঝরিয়ে নিব।
ধাপ-২ঃ
এরপর পেঁয়াজ কুচি,শুকনো মরিচ, মরিচের গুঁড়া আদা বাটা, রসুন বাটা, জিরা বাটা ও আলু কেটে নেব।
ধাপ-৩ঃ
এরপর একটি পাত্রের তেল গরম করতে দিবো। তেল গরম হয়ে গেলে এর মধ্যে গরম মসলা অর্থাৎ এলাচি, দারচিনি, তেজপাতা ও পেঁয়াজকুচি দিয়ে দিব।
ধাপ-৪ঃ
পেঁয়াজগুলো কিছুটা নরম হয়ে আসলে এরপর হলুদের গুড়া, মরিচের গুড়া ও আলু দিয়ে দিব।
ধাপ-৫ঃ
এরপর ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখা চাল গুলো দিয়ে দিব।
ধাপ-৬ঃ
এরপর এরমধ্যে মুগ ডাল গুলো দিয়ে দিবে এবং সবকিছু একসাথে খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিব।
ধাপ-৭ঃ
এরপর এর মধ্যে গরম পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিব।
ধাপ-৮ঃ
মাঝে মাঝে ঢাকনা উঠিয়ে চাল গুলোকে নেড়েচেড়ে দিব।
ধাপ-৯ঃ
পানি শুকিয়ে ভাতগুলো হয়ে গেলে তখন এটিকে নামিয়ে নিব।
সকলকে ধন্যবাদ।
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বাহ্! বেশ লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাই। খিচুড়ি আমার ভীষণ পছন্দ। বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনার রেসিপিটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু লেগেছিল। তাছাড়া রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়াটাও দারুণ লেগেছে। এই পদ্ধতিতে একদিন খিচুড়ি রান্না করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। যাইহোক এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ বাহ ভাইয়া এতো লোভনীয় সুস্বাদু ভাবে তৈরি করেছেন। দেখে লোভ সামলাতে কষ্ট হচ্ছে। ডাইট করছি এমন খাবার সামনে পড়লে ফেলে রাখা যেতও না😋।আমার কাছে ইউনিক লেগেছে মুগের ডাল দিয়ে খিচুড়ি। কখনো মুগের ডাল দিয়ে রান্না করা হয়নি তার জন্য। তবে দেখেই মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছে।অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিকই বলেছেন এখনকার যে আবহাওয়া এই বৃষ্টি এই গরম এরকম আবহাওয়াতে রোগবালাইও চারিদিকে ছড়ায় যেরকম আবার সেরকম মজার মজার খাবার খেতেও কিন্তু ভালো লাগে । বিশেষ করে এই বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খেতে খুব ভালো লাগে । আমার সারাদিন খুব খিচুড়ি খেতে ইচ্ছা করছিল কিন্তু আলসেমি করে রান্না করছিলাম না কিন্তু আপনার এ খিচুড়ি দেখে তো আর লোভ সামলাতে পারলাম না সাথে সাথে চলে গেলাম রান্না ঘরে আর বসিয়ে দিলাম আমিও খিচুড়ি এখন আমিও খাব । আপনার খিচুড়ি দেখে অনেক বেশি পরিমাণে লোভ লাগলো ।
শরৎকালে প্রকৃতির মাঝে বেশ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। আর প্রকৃতির এই পরিবর্তন অনেক ভালো লাগে। ভাইয়া আপনার শেয়ার করা খিচুড়ি রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগলো। দেখেই মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছিল।
এই বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি আমার খুবই প্রিয় একটি খাবার। আর সেই খাবারটি যখন আপনি রেসিপি হিসেবে শেয়ার করেছেন তখন অবশ্যই এটিকে নিয়ে মন্তব্য করতে হয়। আপনার শেয়ার করা রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে বেশ সুস্বাদু একটি আমাদের মাঝে নিয়ে এসেছে। তার উপস্থাপনা টাকা হয়েছে চমৎকার। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই ভাই বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি রেসিপি সবাই পছন্দ করে। আমি ব্যক্তিগতভাবে শীত, গরম, বৃষ্টি সব সময় খিচুড়ি রেসিপি খুব পছন্দ করি। আপনার তৈরি খিচুড়ি রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। অনেক সুন্দর করে খিচুড়ি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন পড়ে অনেক ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
বৃষ্টির সময় খিচুড়ি খেতে কার কাছেই না ভালো লাগে। আমি তো অনেক বেশি ভালোবাসি খিচুড়ি খেতে। কয়েকদিন আগে আপনার খিচুড়ি খাওয়ার মুহূর্তের পোস্টটা পড়েছিলাম। আজকে আপনি রেসিপিটা তৈরি করার পদ্ধতি শেয়ার করেছেন এটা দেখে তো অনেক ভালো লাগলো। এখনো পর্যন্ত বাহিরে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে। এখন যদি এটা পেতাম তাহলে তো বেশ মজা করেই খেতে পারতাম। বৃষ্টির সময় গরম গরম খিচুড়ি পেলে আর কোনো কিছুরই প্রয়োজন হয় না। এই খিচুড়ি অনেকদিন দুর্দান্ত হয়েছিল এটা দেখেই বুঝতে পারছি।