সময়ই হলো সম্পদ ।

সময় হচ্ছে আমাদের জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সময়ের কাজ সময়ে করার মাধ্যমে অনেক বড় একটি সফলতা লুকিয়ে রয়েছে। দেখবেন যে কাজটি সময়মতো করা হয় ওই কাজটিতে খুব ভালো একটি ফলাফল পাওয়া যাবে। আর যদি কাজটি সময়মতো না করে পরবর্তীতে করার জন্য রেখে দেয়া হয় তাহলে সে কাজটির ফলাফল আশা স্বরূপ হবেনা। তাইতো কথায় আছে সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড় এর সমান।

পৃথিবীতে আমরা অর্থ ধন-সম্পদ এই সবকিছুকে দামি মনে করলেও প্রকৃতপক্ষে এগুলো মূল্যহীন। কেননা এসকল কিছু অর্জন করা সম্ভব কিন্তু সময় কখনও আর্জন সম্ভব নয়। আমরা যেকোন কিছুর বিনিময় এসব ধন সম্পদ অর্থ পেতে পারে কিন্তু কোন কিছুর বিনিময়ে আমরা সময় কখনো সময় কিনতে পারব না । তাই বলাই যেতে পারে সময়ই হচ্ছে সম্পদ।

আমাদের সকলের জন্য সময় সীমিত এবং সমান অর্থাৎ ২৪ ঘন্টা। এই সীমিত এবং সমান সময়ের মধ্যে অনেকেই তার দৈনন্দিক কর্মকাণ্ড গুলো খুব সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারে আর অনেকে অন্যান্য কাজ তো দূরের কথা নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো শেষ করতে হিমশিম খেয়ে যায়। আর এই সবকিছু হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে সময়ের সঠিক ব্যবহার। সময়ের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে যেকোনো কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা যায়। আর সময়ের অপব্যবহারের মাধ্যমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ অসমাপ্ত থেকে যায়। তাই আমাদের উচিত সময়ের প্রতি একটু যত্নশীল হওয়া।

যাইহোক, এতক্ষন আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন আমরা আজকে আলোচনা বিষয় বস্তু কি হতে চলেছে। ঠিকই ধরেছেন আজ আমি আপনাদের সাথে সময়ের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করব।

কথাগুলো শুনে আপনাদের মনে হতে পারে আমি সময় সম্পর্কে লেকচার দিতে এসেছি কিন্তু ব্যাপারটা এমনটা না। আসলে বিষয়গুলো নিয়ে একটু গভীরভাবে চিন্তা করলেই তা আমরা উপলব্ধি করতে পারব যে সময় আমাদের জীবনের জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আর এ বিষয়টি আমি কয়েকদিন ধরে আমার কর্মকাণ্ডের মধ্যে দিয়ে আরো বেশ ভালোভাবেই উপলব্ধি করতে পারছি।

ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।

অনেকদিন ধরে ভাবছিলাম একটি কাজ শুরু করবো। কিন্তু সময়ের অভাবে কাজ টি আর করা হচ্ছিল না। আজ করবো কাল করব এমন করতে করতে অনেকটা দিন এভাবে পার হয়ে গেল। তাই চিন্তা করলাম এভাবে চলতে থাকলে কাজটি আমার আর করে ওঠা হবে না। তাই এবার দৃঢ় পরিকল্পনা করলাম কিভাবে আমি আমার এই ব্যস্ত সময়ের মধ্যে দিয়ে অন্য আরেকটি কাজটি সম্পাদন করতে পারব। আর এই পরিকল্পনার মধ্যে দিয়ে আমি ঠিক করলাম আমার দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডে একটি রুটিন এর প্রয়োজন। যাতে করে আমার কাজগুলো সুশৃংখলভাবে সম্পাদন করতে পারি।

আমি আমার রুটিনটি এমনভাবে তৈরী করেছি যে আগের কাজগুলো আগের জায়গায় আছে শুধুমাত্র অপ্রয়োজনীয় সময়গুলোকে বাদ দিয়ে নতুন কাজটি যোগ করেছি।

প্রথমদিকে মনে হতো রুটির মধ্যে দিয়ে চললে হয়তো খুব চাপ হয়ে যাবে আমার জন্য। কিন্তু পরবর্তীতে দেখলাম বিষয়টি এমনটা নয় বরং খুব সহজভাবে কাজটি সম্পন্ন হচ্ছে । এবং অপ্রয়োজনের সময় গুলো সুন্দর ভাবে কাজে লাগছে। এখানে আর প্রয়োজনীয় সময় বলতে facebook-youtube কিংবা শুয়ে-বসে থাকার সময় গুলোর কথা বলছি।

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সময়ের স্বল্পতা আছে এটা ঠিক কিন্তু এই স্বল্প সময়ের মধ্যেও আমরা চাইলে আমাদের সকল কর্মকাণ্ড শেষ করে আবার অবসর সময় কাটাতে পারি। এক্ষেত্রে আমাদের সময়ের সঠিক ব্যবহার এবং সুষম বন্টন করতে জানতে হবে।

আপনারা চাইলে আমার মত দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের একটি রুটিন তৈরি করতে পারেন যাতে সময়ের সদ্ব্যবহার করতে পারেন এবং আপনাদের কাজ গুলো সঠিক ভাবে সম্পাদন করতে পারেন। আশা করা যায় এর মাধ্যমে আপনারাও আমার মত উপকৃত হবেন ।

ছোটবেলায় আমিও এই কাজগুলো করতাম। পরীক্ষার কয়েক মাস আগে থেকে একটি রুটিন তৈরি করতাম, কখন কোন সাবজেক্ট পড়বো, কখন কি করব না করব এসব বিষয়। আর এর ফলে আমার পরীক্ষার জন্য বেশ ভালো একটি প্রস্তুতি হয়ে যেত। এবং ভালো একটি রেজাল্ট করার সম্ভাবনা তৈরি হতো।

আমাদের মত এমন অনেক ব্যক্তি আছে যারা 8 ঘন্টা বাহিরে চাকরি করে এসে পরিবার এবং নিজেদেরকে সময় দিচ্ছি। কিন্তু আমরা যারা এই পেশায় আছি তাদের যতই বেশি কাজ থাকুক না কেন সব মিলে হয়তো কয়েক ঘণ্টার মতো কাজ হবে। অথচ এই কয়েক ঘন্টার মধ্যে দিয়েও আমরা নিজেদেরকে খুব ব্যস্ত বলে প্রমাণ করছি। অথচ এই সময়ের মধ্যে চাইলে অনেক কিছু করা সম্ভব।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।

|| Join the Discord Server for more Details ||

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy