একটি দুর্ঘটনার মূলেই হচ্ছে অসতর্কতা।
আজ- ১৭ই ভাদ্র , | ১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | শরৎকাল ||
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
যাই হোক, ঘন্টা দেড়েক পরে আমি আমার কাজগুলো শেষ করে উঠতেই যাব এমন সময় হঠাৎ অনুভব করলাম কোথার থেকে যেন একটা পোড়া গন্ধ আসছে। বিষয়টিকে প্রথমে তেমন একটি গুরুত্ব সহকারে দেখিনি, ভাবলাম এই পোড়া গন্ধটা হয়তো বাহিরে কোথাও থেকে আসছে। কেননা মাঝেমধ্যেই আমাদের এখানে মশার উৎপাত এর কারণে বিভিন্ন প্লাস্টিক এবং আবর্জনা পোড়ানো হয়। যাই হোক, পরে খেয়াল করলাম গন্ধটা আরো তীব্র হতে শুরু করেছে। আর এই বিষয়টি যখন খেয়াল করলাম, তখন আমার কারেন্ট এর লাইনের বিষয়টি মাথায় আসলো। আমি ভেবেছিলাম কারেন্টের কোন লাইন ফিউজ হয়ে গিয়েছে তাই পোড়া গন্ধ টি আসছে। তাই আমি তাড়াতাড়ি গিয়ে কোনো কিছু না ভেবেই বাসার মেইন সার্কিটটি বন্ধ করে দিই। এবং প্রত্যেকটা রুমে গিয়েই দেখতে থাকি কোথায় কিছু সমস্যা হয়েছে নাকি।দেখলাম সব কিছু ঠিকই আছে। কিন্তু তারপরও কোনো কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না গন্ধটি তখনো আসছিল এবং সেটি আগের তুলনায় আরো তীব্র।
বাসায় যেহেতু কোনো সমস্যা খুঁজে পায়নি তাই আমরা ভেবে নিয়েছে গন্ধটি হয়তো বাহিরের থেকে আসছে। কিন্তু হঠাৎ করে আমার মনে পড়ল কিচেন রুমের কথা। এতসব ঘটনার মধ্যেও আমরা একবারের জন্য কিচেন রুমে গিয়ে দেখে আসিনি এই ওখানে কোন সমস্যা হয়েছে কিনা। তাই আমি দ্রুত কিচেনে চলে যাই। কিন্তু কিচেনে গিয়ে আমি রীতিমতো আঁতকে উঠি।
পাতিলের মধ্যে দাবানলের মত করে আগুন জ্বলছে। এবং চুলার চাবির যে প্লাস্টিকের অংশটি রয়েছে সেটি রীতিমতো গলে কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে। এবং চুলার স্টিল পুরো গরম হয়ে আছে হাত দিয়ে ধরা যাচ্ছিলোনা। আর তখনও গ্যাসের আগুন জ্বলছিল। যার কারণে বিষয়টি একটু হলেও স্বস্তিকর ছিল। কেননা চুলা যদি বন্ধ থাকতো এবং গ্যাস লিকেজ হতো তখন বিষয়টি আরও মারাত্মক আকার ধারণ করতো।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
যাইহোক, এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে শান্ত রেখে ধীর-স্থিরভাবে আগুন নিভাই এবং চুলের মেইন সুইচ থেকে গ্যাসের লাইন বন্ধ করে দিই। যদি ও এই লাইনটি বন্ধ করতে কিছুটা সময় লেগে যায় কেননা তখন হাতের কাছে কোনো প্লাস ছিল না। তাই প্লাস আনতে কিছুটা দেরি হয়ে যায়। আর এই ঘটনার পর থেকে আমি মনে করি আমাদের প্রত্যেকেরই হাতের কাছে টুল বক্স এর জিনিসপত্র রাখা অত্যন্ত জরুরী। কারন কখন কিভাবে আমরা এই সকল দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারি তা আমরা কেউ বলতে পারিনা । তাই আগে থেকে আমাদের বাড়তি সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত।
যাইহোক গ্যাসের লাইন বন্ধ করার 5 থেকে 10 মিনিট পর সব কিছু ভাল ভাবে চেক করে সকল দরজা জানালা খুলে দিয়ে ম্যাচের কাঠি তে আগুন জ্বালিয়ে গ্যাসের লাইনের চারপাশে পরীক্ষা করে নিই যে কোন লিকেজ আসছে কিনা। বেশ ভালোভাবে সবকিছু পরীক্ষা করার পর বুঝতে পারলাম যে কোন লিকেজ নেই।
ভাতের ঘন মাড় চুলার বিভিন্ন জায়গায় পড়ে এবং জানালা দিয়ে প্রচন্ড বাতাসের কারণে সেখানে আগুন লেগে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়।
আসলে ঘটনাগুলো যত সহজ ভাবে বর্ণনা করছি বিষয়টি ততটা সহজ ছিল না। ওদিন অনেক বড় একটি দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। তবে সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে বিষয়টি খুব ছোট ভাবেই মিটে গেছে।
আমরা মাঝেমধ্যেই খবর কাগজ কিংবা টেলিভিশনের পর্দায় গ্যাসের আগুনে দগ্ধ হওয়ার খবর দেখতে পাই। এসব ঘটনাগুলোর বেশিরভাগ ঘটে অসতর্কতা বা অসাবধানতার কারনে। আর আমাদের এসব ঘটনা গুলো থেকে রক্ষা পেতে হলে অবশ্যই বাড়তি সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। যাইহোক আমার এই দুর্ঘটনাটি আপনাদের সাথে শেয়ার করার অন্যতম একটি কারণ হলো আপনাদের মাঝেও এ বিষয়টি সম্পর্কে একটু সচেতনতা তৈরি করা।
আমি এবং আমার পরিবার তো এই ছোট্ট একটি দুর্ঘটনা এটাকে একটি শিক্ষা হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছে কেননা এই ঘটনাটির মাধ্যমে আমরা আরও অধিক সচেতন হয়ে উঠব।
যাই হোক, সকলে ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সচেতন থাকবেন। আমার পরিবারের জন্য সকলে দোয়া করবেন আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ভাই একটি দূর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না ৷যাই হোক ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা কোনো বড় ধরনের দূর্ঘটনা হয় নি ৷ বাসার মধ্যে সবচেয়ে দূর্ঘটনা হলো রান্না ঘরে বিশেষ গ্যাসের চুলার আগুনে ৷প্রায় খবরের পাতায় এসব ঘটনার খবর দেখে থাকি ৷তাই আমাদের সবার উচিত চিকেন ঘরে কারেন্ট চুলা গ্যাস চুলা খুবই সাবধানের সাথে ব্যবহার করা ৷
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
সত্যি ভাইয়া সৃষ্টিকর্তা আপনাদেরকে বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করেছেন। যদি গ্যাস লাইনে আগুন লেগে যেত তাহলে একেবারে কন্ট্রোলের বাইরে চলে যেত। আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত আরও সতর্কভাবে চলা এবং নিজেদের হাতের কাছে টুলস বক্স রাখা। সৃষ্টিকর্তা আপনার পরিবারকে এই বিপদের হাত থেকে রক্ষা করেছেন এজন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে অনেক অনেক শুকরিয়া জানাচ্ছি ভাইয়া।
ভাইয়া আপনার লেখাগুলো যখন পড়ছিলাম তখন ভয়ে আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছিল। সত্যি কথা বলতে আমরা যখন আর্মি কোয়াটারে ছিলাম তখন আমার পাশের বাসার এক আন্টির গ্যাস লাইন ব্রাস্ট হয়ে সম্পূর্ণ শরীর পুড়ে গিয়েছিল। তখন থেকে আগুন দেখলেই আমার ভয় লাগে। যাইহোক ভাইয়া আপনি উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে এনেছেন জেনে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো। আল্লাহ আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে বিপদ থেকে মুক্ত করেছেন এটাই অনেক শুকরিয়া।
বড় ধরনের একটা দুর্ঘটনার হাত থেকে আপনি রক্ষা পেয়ে গিয়েছেন দেখছি ভাইয়া। আসলে সামান্য অসতর্কবশত এই এই সকল দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়ে থাকে। এজন্য গ্যাস ব্যবহার এবং অন্যান্য যে কোন কাজের জন্যই আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরী। এই জন্যই বলা হয় সামান্য ভুল সারা জীবনের কান্না।
আমি যাব বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অসংখ্য দেশে যে সকল অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটেছে তার প্রায় সবগুলোই অসতর্কতার কারণে। আসলেই অগ্নি দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে হলে আমাদের সকলেরই উচিত পারিবারিকভাবে সচ্ছলতা ও সতর্কতা অবলম্বন করা। যাইহোক ভাই বাসায় আপনি না থাকলে একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটে ধরতে পারতো। সবাই ঈশ্বর এর ইচ্ছা। আপনার পরিবারের জন্য সর্বদা মঙ্গল কামনা করি।
রান্নাঘরে গ্যাস বিষ্মোরণের খবর মাঝে মাঝেই পাওয়া যায়। যাক কোনো দূর্ঘটনা যে ঘটে নাই শুনে ভালো লাগল। এমন অসাবধানতার জন্য অনেক বড় দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে যার ফলে প্রাণহানী পযর্ন্ত হয়ে থাকে। যাইহোক ভাই এরপর থেকে সাবধান থাকবেন।।।
আসলে অসতর্কতার কারণে অনেক বড় বড় দুর্ঘটনা হয়। আমরা যদি একটু সতর্কতার সাথে চলি তাহলে আমাদের এইসব দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। গ্যাস সিলিন্ডার অনেক বড় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটায়। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আপনি একটুর জন্য অনেক বড় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেছে। আসলে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত সতর্কতার সাথে জীবন পরিচালনা করা। তাহলে অনেকটাই নিরাপদ বসবাস করা যাবে।
ভাইয়া এরকম অসতর্কতার কারণেই বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। তবে ভাইয়া আপনার ভাগ্যটা খুবই ভালো কারণ গ্যাসের কোন লিকেজ ছিল না। গ্যাসের লিকেজ থাকলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারতো। যাহোক অত্যন্ত ধীর মস্তিষ্কে এরকম একটি বিপদজনক পরিস্থিতি মোকাবেলা করার সাহসিকতা জানতে পেরে সত্যি ভাইয়া মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ভাইয়া এরপর থেকে আরও সতর্ক হবেন।
এধরনের দূর্ঘটনা মারাত্মক হতে পারে।
আপনি খেয়াল না করলে দূর্ঘটনাটা সত্যিই ভয়াবহ হতে পারতো। আল্লাহ হেফাজত করেছেন। তবে সবার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি হাতের কাছে রাখা উচিত। আমার বাসায় সবসময়ই যন্ত্রপাতি একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখার চেষ্টা করি। সবার এই বিষয়টি নিয়ে সচেতন থাকা উচিত।