প্রকৃতি যেমন তেমনি সুন্দর।
আজ- ৮ই মাঘ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, শীতকাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
ন্যাচারাল যে কোন বিষয়ের মধ্যে দেখবেন সবসময় একটি সুন্দর রয়েছে। একটি আর্টিফিশিয়াল ফুল যতই আকর্ষণীয়, যতই সুন্দর হোক না কেন ন্যাচারাল ফুলের সাথে কখনোই সেটি তুলনা করা চলে না। ন্যাচারাল ফুল ন্যাচারালি সুন্দর। ঠিক একই ভাবে প্রকৃতি প্রকৃতির মতই সুন্দর প্রকৃতিকে যদি আলাদাভাবে আমরা আর্টিফিশিয়াল করতে যাই তাহলে সে প্রকৃতিটা সুন্দর থাকবেনা।
বর্তমানে প্রায় দেখা যায় যে, পার্ক কিংবা অন্যান্য ন্যাচারাল জিনিসগুলোকে আর্টিফিশিয়াল জিনিসে রূপান্তর করে ফেলা হয় আকর্ষণীয় করার জন্য । বিষয়গুলো আমার একদমই পছন্দ না কারণ প্রকৃতি প্রকৃতির মতই সুন্দর।
গতকাল ফেসবুক চালাতে হঠাৎ করে একটি পিকচার চোখে সামনে পড়ল। পিকচারটাতে দেখানো হয়েছে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন সময়ের কয়েকটি পিকচার। যেখানে তুলনা করা হয়েছে একই স্থানের আগের চিত্র এবং বর্তমান চিত্র ।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের একদম শুরুর দিকে যখন কিনা কোন উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়নি তখনকার সময়ে এ সমুদ্র সৈকতের রাস্তা গুলো ছিল সবুজে ঘেরা, তখন গাছপালা দিয়ে অন্যরকম এক প্রকৃতির সৌন্দর্য সৌন্দর্য ছিল। এরপর এই জায়গাটিকে পর্যটকদের জন্য দুই পাশের গাছগুলো কেটে বেশ পরিপাটি করে সাজিয়ে নেয়। এরপর বর্তমানে এই জায়গাটাতে অনেকগুলো টঙের দোকান, এবং চারপাশের পরিবেশটা এতটাই নোংরা এবং ঘনবসিত হয়ে গিয়েছে যে প্রকৃতির ওই সৌন্দর্যটা একদমই নেই।
মানুষ পর্যটন এলাকাগুলোতে যায় প্রকৃতির কাছাকাছি থেকে প্রকৃতিটাকে উপভোগ করতে কিন্তু দিনশেষে যখন প্রকৃতির সে আসল রূপটি থাকে না সে ক্ষেত্রে আর সেটি উপভোগ করার কোন কিছুই থাকে না।
সাধারণত ওই সকল জায়গাগুলো পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয় যেসবগুলো প্রকৃতির প্রদত্ত। যেমন - পাহাড়, সমুদ্র সৈকত, নতুন কোন চর এসব কিন্তু কখনোই মানুষ তৈরি করতে পারে না এগুলো প্রকৃতিক ভাবেই তৈরি হয়। এমন সুন্দর স্থান গুলোই মানুষ প্রদর্শন করতে পর্যটন এলাকাতে রূপান্তরিত হয়। যখন ধীরে ধীরে সকলের কাছে ওই স্থানটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তখন সেটি মূলত পর্যটন কেন্দ্রতে পরিণত হয়। মানুষ ওই স্থানগুলোতে ঘুরতে যাই শুধুমাত্র প্রকৃতি টাকে দেখার জন্য কিন্তু দিনশেষে আসল জিনিসটাই যদি না থাকে তাহলে আর কিভাবে হলো।
আমাদের দেশে পর্যটন কেন্দ্র এখন অনেকটাই কমে গেছে। আর যে কয়েকটা আছেও সেগুলোর পরিবেশে আগের মত নেই। আমাদের উচিত আর্টিফিশিয়াল জিনিসগুলো থেকে দূরে সরে এসে প্রকৃতি ন্যাচারাল সৌন্দর্য টাকেই বর্ধন করার চেষ্টা করা। প্রাকৃতিক জিনিসটাকে প্রাকৃতিকভাবে রাখার।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সত্যিই কিন্তু ভাইয়া প্রকৃতি প্রকৃতির মতই সুন্দর। আর আর্টিফিসিয়াল জিনিস গুলো কখনও প্রশান্তি দিতে পারে না। আর আমাদের দেশে কেন জানি পর্যটন স্থান গুলো কমে গেছে। আমার মনে হয় আর্টিফিসিয়াল সব কিছু বাদ দিয়ে মানুষের মনোরঞ্জনের জন্য প্রাকৃতিক পর্যটন কেন্দ্র গুলো বৃদ্ধি করা উচিত।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাই প্রকৃতি দেখতে যেমন তেমনি অপরূপ সুন্দর। আমার কাছেও যে কোন জিনিসের ন্যাচারাল জিনিসটাই সবথেকে বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
প্রকৃতির সাথে আর্টিফিশিয়াল জিনিসের মিল খুজঁলে নেহাত বোকামি ছাড়া আর কিছুই না। তবে দিন দিন আমরা উদাসীন হয়ে যাচ্ছি প্রকৃতি উপভোগ করতে। প্রকৃতির রূপ-রস গন্ধ বরাবরই আমাকে দারুণভাবে আকৃষ্ট করে। বাস্তবমুখী চমৎকার কিছু কথা বলেছেন 🦋🌼
প্রাকৃতিক এবং কৃত্রিম জিনিসের মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য। কৃত্রিম জিনিস দেখতে আকর্ষণীয় লাগলেও,প্রাকৃতিক জিনিসের সৌন্দর্যের সাথে কোনো ভাবেই তুলনা করা যায় না। কারণ প্রাকৃতিক হচ্ছে রিয়েল এবং কৃত্রিম হচ্ছে ফেক। আসলে মানুষজন পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে যায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে। কিন্তু যাওয়ার পর যদি কৃত্রিম সৌন্দর্য দেখতে পায় চারিদিকে, তাহলে অবশ্যই হতাশ হয়ে যায়। তাই অবশ্যই সেটা মাথায় রেখে পর্যটন কেন্দ্র গুলো সাজানো দরকার। যাইহোক পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। এতো চমৎকার একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।