তিতা ছাড়া তিত করলা ভাজি রেসিপি।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আজ- ২০ই,ফাগুন | ১৪২৮ , বঙ্গাব্দ | বসন্তকাল | | শনিবার |


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।




1646399398598-01.jpeg


আমারা সকলেই কম বেশি তিত করলার পুষ্টি গুনাগুন সম্পর্কে অবগত। কিন্তু আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই তিতকরলা খেতে চাই না। আর এটির একমাত্র কারণ হচ্ছে তিতা ভাবটা। দেখুন একবার ভাবুন তো তিত করলা খেলেন কিন্তু খেতে তিতা লাগলো না। তখন ব্যাপারটা খুব ভালো হবে তাই না। যাই হোক আজ আমি আপনাদের সাথে এমন একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি যেখানে তিত করলা খাবেন কিন্তু তিতা লাগবেনা।

তো আমার আজকের রেসিপি মুল বিশেষত্ব হচ্ছে তিতা ছাড়া কিভাবে তিতকরলা ভাজি করা যায়।

আমার এই তিতা করলা ভাজি তিতা নালাগের কয়েকটি কারণ হচ্ছে-

  • করলা গুলোকে খুবই পাতলা পাতলা করে কেটে বেশ অনেকক্ষণ পানিতে ভিজে রাখার ফলে এর মধ্যে যে তিতা ভাবটা আছে ওইটা অনেকটা চলে যায়। এবং কারলা গুলোকে ধোয়ার সময় কিছু বিচি ফেলে দিয়েছি।

  • এরপর করলার সাথে আলু দাওয়াতে তিতা অনেকটা কমে যায়।

করলা হিমোগ্লোবিন তৈরি করে শরীরে রক্তের উপাদান বাড়ায়। করলার ভিটামিন সি ত্বক ও চুল ভালো রাখে এবং ম্যালেরিয়া জ্বরে স্বস্তি দেয়। মাথাব্যথারও উপশম করে করলা। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় এবং রক্ত পরিষ্কার করে।

উপরোক্ত তথ্যগুলো উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহীত।


যাই হোক কথা না বাড়িয়ে চলুন রেসিপি দিয়ে শুরু করি।

প্রয়োজনীয় উপকরণঃ


  • পেঁয়াজ কুচি।
  • মরিচ ।
  • লবণ।
  • তেল।
  • জিরা বাটা।
  • রসুন বাটা।
  • হলুদের গুঁড়ো।
  • তিতা করলা।
  • আলু।


প্রস্তুত প্রণালীঃ


ধাপ-১ঃ

  • প্রথমে করলাকে পাতলা করে কেটে পানিতে ভিজিয়ে রাখব কিছুক্ষণ।

IMG_20220303_201934__01.jpg

ধাপ-২ঃ


  • এরপর হাত দিয়ে কচলে কচলে ভালোভাবে করলা গুলোকে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিব। বেশ কয়েকবার ধৌত করতে হবে তা না হলে তিতা থেকে যাবে।

IMG_20220303_203241__01.jpg

ধাপ-৩ঃ


  • এরপর একটু মোটা করে আলু কুচি করে নিব।

IMG_20220303_201945__01.jpg

ধাপ-৪ঃ


  • এরপর একটি বাটিতে করলার সাথে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ, জিরা বাটা,রসুন বাটা দিয়ে মেখে নেব।

IMG_20220303_204737.jpg

ধাপ-৫ঃ


  • এরপর একটি পাত্রে তেল গরম করতে দিব।

ধাপ-৬ঃ


  • তেল গরম হয়ে গেলে এতে পূর্বের মেখে রাখা করলা ও কুচি করে রাখা আলুগুলো এর মধ্যে দিয়ে দিব।

IMG_20220303_204917.jpg

ধাপ-৭ঃ


  • এরপর এর মধ্যে পরিমাণমত লবন ও হলুদের গুড়া দিয়ে দিব। এরপরে সবগুলো উপকরণকে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে নিব।

IMG_20220303_210202.jpg

ধাপ-৮ঃ


  • এরপর বেশ অনেকক্ষণ ধরে মিডিয়াম আঁচে করোলা গুলোকে ভেজে নিব। যখন দেখব আলু ও করলা সিদ্ধ হয়ে গিয়েছে এবং ভাজি গুলো কিছুটা পোড়া পোড়া হয়েছে তখন নামিয়ে নিব।

IMG_20220303_212009.jpg

ধাপ-৯ঃ


  • ব্যাস এইভাবেই তৈরি হয়ে গেল তিতা ছাড়া করলা ভাজি।

IMG_20220303_212904.jpg

IMG_20220303_212900.jpg

সকলকে ধন্যবাদ।


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 2 years ago 
একটা মজার কথা শেয়ার করি, ছোট থাকতে করলা খেতে চাইতাম না। আম্মু খাওয়ানের জন্য বলতো যে জিনিস যতো তিতা তত ভিটামিন। করলা খেলে তারাতারি বড় হবো 😄😄
আপনার রেসিপি দেখে আজকে করলা থেকে তিতা ছাড়ানোর কৌশল শিখে নিলাম। এর পর থেকে অবশ্যই আগে করোলা অনেক সময় পানিতে ভিজিয়ে রাখব্ব তার পর ভজি করবো। আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ। কার্যকরী একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
 2 years ago 
করলা ভাজি সিয়ামের অনেক পছন্দ।ওকে তিনবেলা করলা ভাজি দিলে তিন বেলাই খুব শান্তি মতো খাবে।তৃপ্তি সহকারে।আপনার করলা তিতা সারানোর বিষয়টি আমার জানা ছিল আগে থেকেই।তবে আপনার করোলা ভাজি দেখে সিয়ামের কথা খুব মনে পড়ে গেল।এত চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি আপনার প্রতি♥♥
 2 years ago 

আপনি ঠিকই বলেছেন আমরা কমবেশি সবাই তিত করলা খেতে পছন্দ করি যদি তিতা না থাকে। তবে আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া এটি বেশ দারুন লেগেছে। আপনি অনেক সুন্দর টিপস দিয়ে দিয়েছেন যে কিভাবে রান্না করলে তিত করলা তিতা লাগবেনা। এত সুন্দর করে আমাদের সাথে তিত করোলা ভাজি রেসিপি ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।

 2 years ago 

করলা আলু দিয়ে ভাজি আমার কাছে বেশ ভালোই লাগে খেতে।আর গরম কালে এই তিতা খাওয়া শরীরের পক্ষে খুব উপকারী।তবে আমরা তিতা জিনিস রান্না করলে মরিচ দিই না।যাইহোক আপনার রেসিপিটা সুন্দর হয়েছে ভাইয়া👌, ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

হ্যাঁ এটা ঠিক যে করলার এই তিতা ভাব এর জন্য অনেকেই খেতে চায় না। বিশ্বাস করেন এই তিত ভাবটাই আবার আমার অনেক ভালো লাগে। আর আপনার রেসিপিটি সত্যিই অনেক ভাল ছিল ভাই।

 2 years ago 

করলার এই তিতা ভাবটার জন্যই অনেক সময় ইচ্ছে করেই খাইনা করলা ভাজি। মা বাবা অনেক বকাবকি করে এই নিয়ে। তবে আজ আপনি যে ভাবে বললেন তাহলে তো চোখ বুজে খাওয়া যাবে। কিন্তু কাটা সবজি জলে বেশি সময় নিয়ে ভিজিয়ে রাখলে তার ভিটামিন নষ্ট হয়ে যাবে না কি? আমার ব্যাপারটা সম্পর্কে আইডিয়া নেই।

 2 years ago 

আমার আম্মুও মাঝে মধ্যে একেবারে এভাবেই তিত করলা ভাজি করে।যা মজা হয় খেতে।একেবারেই তিতা থাকেনা।

বাহ ভাইয়া অসাধারন একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আজকে। করলা ভাজি, আসলেই ভাইয়া অনেক তিতা তবুও সেটা অনেক ভালো লাগে। প্রত্যেকটা ধাপ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে। শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো ভাইয়া আপনার জন্য অবিরাম।

এই করলা ভাজি খুব কমই খাওয়া ও হয়। কারণ সেগুলো অনেক তেতো হয়ে থাকে। তাছাড়া এটি খাওয়া শরীরের পক্ষে অনেক উপকারী খাবার। তাছাড়া আপনি অনেক সুন্দর করে এই রেসিপি তৈরি করেছেন। আর শুধু পিয়াজ দিয়ে করলা ভাজি করলে সেটাও খেতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

তিতা করলা ভাজি থেকে তিতা ভাব দূর করার জন্য আপনি অনেক সুন্দর ভাবে এই রেসিপি তৈরি করেছেন ভাইয়া। আপনি অনেক সুন্দর করে করলা ভাজির মজার রেসিপি তৈরি করেছেন। করলা ভাজি থেকে তিতা ভাব দূর করার জন্য আপনি আলু দিয়েছেন এটা দেখে আমার ভালো লাগলো। আলু দিয়ে করলা ভাজি করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। গরম ভাতের সাথে আলু দিয়ে করলা ভাজি খেতে খুবই ভালো লাগে। অনেক মজার একটি রেসিপি তৈরির প্রসেস উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে করলা ভাজির তিতা ভাব দূর করার কৌশল আমাদেরকে শেখানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 68125.63
ETH 3308.80
USDT 1.00
SBD 2.74