আত্মীয়তার সম্পর্ক।
আজ - ১৪ই আষাঢ় |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | বর্ষা-কাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
গতকাল পোস্টে আপনাদের বলেছিলাম আমি কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম তবে বর্তমানে অনেকটা সুস্থ। যার কারণে বেশ ভালোই লাগছে। আসলে সুস্থ হলেই বোঝা যায় অসুস্থ থাকার যন্ত্রণা কতটুকু ছিল। এখন যেহেতু অনেকটা সুস্থ হয়েছি তাই বুঝতে পারছি এ সুস্থতার মূল্য কত বিশাল। শরীর সুস্থ থাকলে যেন সবকিছু ভালো লাগে। এ কয়েকদিন কিছুটা অসুস্থ থাকার কারণে প্রত্যেকটা কাজে একেবারে বিরক্ত লাগতো এবং কোন কাজই সঠিকভাবে করা হতো না। এখন সুস্থ হয়ে উঠেছি ঈদের আগে আর এইটাই এই মুহূর্তে সবথেকে বড় প্রাপ্তি।
যাই হোক আমাদের যেহেতু আগামীকাল কোরবান সেহেতু কোরবানির পূর্ব প্রস্তুতির কারণে ব্যস্ততা বেড়ে গেছে অনেকটাই। যদিও আমাদের ব্যস্ততার চেয়ে আমাদের মাদের ব্যস্ততা সবথেকে বেশি। কাল থেকেই আম্মাকে দেখছি এই কাজে সেই কাজে সারাক্ষণই ছুটাছুটি করছে। আসলে এ সময়টাতে ঘরের কাজ অনেকটাই বেশি থাকে এবং আম্মা নিজে হতে কোরবান উপলক্ষে বাসায় প্রচুর নাস্তা বানাচ্ছে আর সেই সাথে তো পারাটা চালের রুটিতো আছেই। সব মিলিয়ে আসলে ব্যস্ততা অনেক বেশি।
আমাদের কখনোই কোরবান উপলক্ষে পরোটা কিংবা নাস্তা বাহির থেকে কিনা আনা হয়না প্রত্যেকটা রাস্তায় আম্মা সব সময় নিজের হাতে খুব যত্ন নিয়ে বানায়। আর মাদের হাতে নাস্তার তো কোন কিছুর সাথে তুলনায় হয় না। মূলত এত নাস্তা গুলো শুধুমাত্র আমাদের জন্য নয় বরং আত্মীয়-স্বজন কিংবা পাড়া-প্রতিবেশী সকলকে দেওয়ার জন্যই বেশি করে তৈরি করা। আসলে আমার কাছে এই জিনিসটা সব থেকে বেশি ভালো লাগে, কুরবানীর সময় আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নাস্তা দিয়ে আসার । দেখবেন সব সময় নিজে খাওয়ার থেকেও অন্যদের খাওয়ানোর মধ্যে আলাদা এক মজা রয়েছে। খাওয়া এবং খাওয়ানোর মধ্যে মজাটা হচ্ছে অন্যরকম। কোরবানির সময় যখন আত্মীয়দের বাড়িতে গিয়ে নাস্তা দিয়ে আসা হয় আর ওই বিষয়টা আসলে অন্যরকম এক ভালোলাগা কাজ করে। এবং আত্মীয়-স্বজনদের এত এত নাস্তা এসে হাজির হয় বাসাই।
আসলে এসব কিছুই হয়েছে আত্মীয়তা। মানুষ চাইলে কখনো একা থাকতে পারে না পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশি সবাইকে নিয়েই একত্রে মানুষ ভালো থাকতে পারে। একা একা মানুষ কখনো চাইলেও ভালো থাকতে পারবেনা অন্তত আমাদের বাঙালি পক্ষে তো সেটা সম্ভব নয় কেননা আমরা বাঙালিরা তো কথা বলতে আড্ডা দিতে সব থেকে বেশি পছন্দ করি। এছাড়াও আমরা বাঙালিরা খেতে যেমন পছন্দ করি তেমন খাওয়াতে ও পছন্দ করি।
প্রত্যেক কোরবানি ঈদে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে নাস্তা দিয়ে আসার এই দায়িত্ব থাকে আমার উপরেই। যদিও এ বিষয়টা একটু বিরক্ত লাগে কাজ করে তারপরও দিন শেষে কিন্তু বেশ ভালোই লাগে কেননা এই সুযোগে অন্তত বছরের এই একটি দিনেই আত্মীয় স্বজনদের বাড়ি থেকে ঘুরে আসা হয় ।
যাই হোক আজ আর বেশি কিছু লিখছি না সকালে ভালো থাকবে সুস্থ থাকবেন। সকলকে আবারো ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হচ্ছে পরবর্তী দিন ঈদে ব্লগ নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলে ভাইয়া কোরবানির ঈদ উপলক্ষে মায়েদের ব্যস্ততা সকলের উর্ধ্বে থাকে। আর ঈদের মতো আনন্দের দিনে মায়ের হাতের নাস্তা খাওয়ার মজাই আলাদা। আর সব থেকে বেশি মজা হয় আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে নাস্তা দিয়ে আসা এবং তাদের বাড়িতে থেকে যখন সুস্বাদু নাস্তা আসে ঠিক ওই মুহূর্তটা। আসলে এভাবে নাস্তা লেনদেনের মধ্যেই রয়েছে ঈদের প্রকৃত আনন্দ। আর এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য প্রিয় ভাইয়া আপনাকে জানাই ঈদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন, ঈদ মোবারক।