বিজয় মেলায় ঘোরাঘুরির শেষ পর্ব।
আজ - ৭ই, পৌষ |১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | শীতকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
মেলায় সব থেকে আকর্ষণীয় স্টল হচ্ছে মাটির তৈরি জিনিসপ এই স্টলটি। এই এখানে অসম্ভব সুন্দর সুন্দর মাটির বিভিন্ন জিনিস রয়েছে। প্রত্যেকটা জিনিস খুবই আকর্ষণীয় এবং বিভিন্ন রঙে সজ্জিত। ঘরের বিভিন্ন ডেকোরেশনের জিনিস এবং নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক মাটির জিনিস রয়েছে এখানে। আমি এই স্টলটি থেকে খোলা জালি পিঠা বানানোর জন্য একটি খোলা ( মাটির পাত্র) নিয়েছি। মেলার মধ্যে অন্যান্য স্টল এর তুলনায় এই স্টল এর আকর্ষণ সবথেকে বেশি এবং মানুষেরা বেশ ভিড় রয়েছে এখানে। এই স্টলটিতে ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষেধ। তবে আমি বেশ লুকিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করি।
এটি হচ্ছে কার্পেটের একটি স্টল। মেলায় খুব কমসংখ্যক এরকম স্টল রয়েছে। এখানে ছোট বড় অনেক ধরনের কার্পেট ও পাপোশ রয়েছে। আমার মতে মার্কেটের তুলনায় এখানে এই সকল কার্পেট মূল্য অনেকটাই বেশি। এই স্টাইলটি অনেকটাই ফাঁকা থাকে এখানে মানুষের আনাগোনা খুব কম।
পুরো মেলা সব থেকে বেশি জিনিস উঠেছে প্লাস্টিকের। এখানে যে প্লাস্টিকের পানির বোতল গুলো দেখছেন এগুলা প্রত্যেকটির মূল্য ১২০ টাকা। ছোট বড় মাঝারি যে সাইজের হোক না কেন প্রত্যেকটির মূল্য সমান। যাই হোক, আমার কাছে মনে হয়েছে অন্যান্য যে কোন জিনিসের তুলনায় প্লাস্টিকের এই সকল ছোটখাট জিনিসের মূল্য কিছুটা কম। তাই এখান থেকে একটি ওয়াটার বোতল নিয়েছি।
এটি হচ্ছে রোলার আইসক্রিমের একটি স্টল। এর আগে আমার কখনো এই আইসক্রিমটা ট্রাই করা হয়নি। এই ধরনের আইসক্রিম নতুন এসেছে বাজারে। তবে সাম্প্রতিক কালে ফেসবুক কিংবা ইউটিউবে এই আইসক্রিম এর অনেক রিভিউ দেখেছি। এ আইসক্রিম টি বিশেষত্ব হচ্ছে একটি বড় লোহার পাতের উপরে বিভিন্ন ফল এবং ক্রিম এর মিশ্রণে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে একটার পর একটা লেয়ার তৈরি করা হয়। চট্টগ্রামে এর আগে কখনো এই আইসক্রিম টি চোখে পড়েনি। যাইহোক এখন যেহেতু শীতকাল তা এই আইসক্রিম আর ট্রাই করা হয়নি তবে অন্য কোন সময় হলে অবশ্যই এটা ট্রাই করে দেখা হতো ।
এটি একটি জুতার স্টল। এখানে জুতার অনেক কালেকশন ছিল। দামের দিক দিয়ে জুতো গুলো অনেকটা সস্তা। তবে কোয়ালিটির দিক দিয়ে খুব একটা ভালো নয়।
মেলায় ঘুরাঘুরি করতে করতে অনেকটাই খিদা লেগেছিল আর প্রায় সন্ধানে নেমে এসেছে তাই ভাবলাম কিছু একটা খাওয়া প্রয়োজন। তবে কি খাব এমন চিন্তায় হঠাৎ এই সুন্দর ও লোভনীয় খাবারের স্টল টি চোখে পড়লো। দূর থেকে এই সুন্দর চানাচুরের উপর মরিচ ও সালাত সাজিয়ে রাখার এই ডেকোরেশনটি দেখে যে কারো দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।যাই হোক, এই চানাচুর মাখাতে এক প্লেট ৩০ টাকা। আমি ঝাল খুব একটা খেতে পারি না তাই মামাকে বললাম ঝাল একটু কম দিয়ে আমাকে এক প্লেট দিতে। চানাচুর মিক্সারটা আসলে বেশ মজা ছিল। আমরা সাধারণত সচরাচর যে চানাচুর মিক্সার গুলো খায় তার থেকে কিছুটা ভিন্ন ধরনের।
যাইহোক মেলা থেকে আমার টুকটাক কেনাকাটা। খুব বেশি জিনিস কেনা হয়নি কেননা পরবর্তীতে আবার মেলায় যাওয়ার পরিকল্পনা আছে তখন কেনা হবে। এছাড়াও মেলায় প্রত্যেকটা জিনিসের মূল্য অনেক বেশি এবং প্রত্যেকটা জিনিস মার্কেটে পাওয়া যায় আরও স্বল্প মূল্যে।
এ পর্যন্তই এখানেই শেষ করছি মেলা ঘোরাঘুরি পর্বটি। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হচ্ছে পরবর্তী দিন অন্য কোন বিষয় নিয়ে আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
দামে কম হলে কি হবে! যদি মানে ভালো না থাকে 😁। জুতাগুলো দেখে ভালোই দেখাচ্ছে। একসাথে কয়েকজোড়া কিনে পরা যাবে। যায়হোক, মেলায় মাটির জিনিসপত্র দেখলে ভালোই লাগে। মনে হয়, এখনও মাটির তৈরি জিনিসের যে ঐতিহ্য আছে সেটা ঠিকে আছে। রোলার আইসক্রিম ঢাকায় একবার খেয়েছিলাম।
বিজয় দিবস উপলক্ষে আপনি মেলায় ঘুরতে গিয়ে সেখানে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আপনার সুন্দর মুহূর্তগুলো আগের পর্ব দেখেছিলাম। আমি মনে করি যে মেলায় সবথেকে সুন্দর জায়গাটি হচ্ছে যেখানে মাটির হাঁড়ি বা তেল বিক্রি করা হয় আপনিও সেখানে গিয়ে খুবই চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, যদিও ফটোগ্রাফি করা সম্পূর্ণ নিষেধ ছিল তারপরও আপনি লুকিয়ে ফটোগ্রাফি করেছেন এটা ভেবেই ভালো লাগছে। আসলে আমাদের যে কাজগুলো করা নিষেধ থাকে সেই কাজের প্রতি আমাদের আগ্রহ আরও দ্বিগুণ বেড়ে যায় হাহাহা। সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।