ফ্রাইডে মানে কি ফ্রী ডে?
আজ- ২১শে আষাঢ়, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, বর্ষাকাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
যাইহোক, শুক্রবারে ছুটির দিনটা কিভাবে কাটানো হবে তা ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। ক্যালেন্ডারের দাগ দিয়ে দিয়ে রাখতাম কখন আবার শুক্রবার আসবে। সারাটা সপ্তাহ একটা রুটিন এর মধ্যে দিয়ে কাটানোর পর এই শুক্রবারটা আসলেই যেন খুব খুশি কাজ করতে মনের মধ্যে । বেশ বেলা করে ঘুম থেকে উঠা, ভালো-মন্দ খাওয়া দাওয়া, এরপর আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া, কিংবা বাড়িতে মেহমান আসা এসব কিছুই ছিল তখন শুক্রবারে রুটিন। কিন্তু জীবন থেকে এখন যেন ওই সময়টা অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছে। লাইফে এখন কত শুক্রবার আসে যায় তার কোন খবরই নাই। শুক্রবারের আশায় আর আগের মত বসে থাকা হয় না। ক্যালেন্ডারের দাগ দেওয়া হয় না, দিন গনা হয় না, সপ্তাহে অন্য দিনগুলো মতে শুক্রবারটা এখন হয়ে উঠেছে ব্যস্তময়। বরং এখন অন্যান্য দিনের তুলনায় শুক্রবারে ব্যস্ততা যেন সব থেকে বেশি। এখন শুক্রবারেও ক্লাস থাকে কাজ থাকে।
আসলে সময়ের সাথে সাথে সবকিছুই পরিবর্তন হয় তাই আমাদের জীবনের প্রতিটি শুক্রবারে যেন পরিবর্তন হয়ে উঠেছে। তবে দিনশেষে যাই হোক না কেন, শুক্রবার মানে অন্যরকম একটি গন্ধ ভেসে আসে, চারিদিকে মজার মজার খানার গন্ধ, জুমার নামাজ শেষে আতরের গন্ধ, মসজিদে খুতবা এসব কিছুই যেন ছোটবেলার সেই শুক্রবারটাকে মনে করিয়ে দেয়। শুক্রবার মানে হচ্ছে আমাদের মুসলিম সমাজে একটি বিশেষ দিন। আর এই দিনটিকে সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন ও বলা চলে।
প্রতিদিনই আমারা দৈনন্দিন কাজ নিয়ে কোনো না কোনোভাবে ব্যস্ত থাকা হয় তবে শুক্রবার ব্যস্ততাটা যেন আরো ভিন্নমাত্রা যোগ করে। শুক্রবারে আমার সকালে ক্লাস থাকে তবে এ বৃষ্টি বাদলের দিনে ঠান্ডা ওয়েদারে সকাল সকাল শুক্রবারে ক্লাস করাটা অনেকটাই বিরক্তিকর। তবে আজকের ক্লাসটা স্যার অনলাইনেই নিয়ে নিয়েছে যার কারনে, আজ সকাল সকাল সুন্দর একটি বৃষ্টি ভেজা ওয়েদারে ঘুমটা আর নষ্ট হয়নি। ঠান্ডায় বৃষ্টি ভেজা ওয়েদারে যেন অন্যান্য দিনের তুলনায় ঘুম খুব বেশি পাই। কোনভাবেই যেন ঘুম ভাঙতে চাই না। আর ইদানিং বেশ শান্তিময় একটি ওয়েদার বিরাজ করছে। ঝিরিঝিরি বৃষ্টির সাথে হালকা বাতাস বেশ রোমান্টিক ওয়েদার। যারা আমার মত ঘুম আর বৃষ্টি ভালবাসে তাদের জন্য খুবই প্রিয় একটি সময় বলা চলে এটিকে। কানে হেডফোন দিয়ে সফট গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়া আহ! তখন যেন জীবনটা আনন্দময় হয়ে যায়। তবে বর্ষাকাল যে সবার প্রিয় তা নয়, অনেকে আছে বৃষ্টি পছন্দ করে না। তাদের আবার এই সময় গুলো অনেকটাই বিরক্তিকর কিভাবে কাটে ।
আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, প্রতিটা জিনিসেরই ভালো এবং মন্দ দিক রয়েছে । এই বর্ষার যেমন সৌন্দর্য রয়েছে তেমনি বিরক্তিকর বিষয়গুলোও রয়েছে। এই কয়েকদিন টানা বৃষ্টির ফলে ওয়েদারটা অনেকটা শীতের রয়েছে ঠিক তবে চারপাশটা কেমন যেন ভিজে ভিজে স্যাঁতসেতে হয়ে রয়েছে। রাস্তাঘাট এর পরিস্থিতি তেমন খুব একটা ভালো নেই। যাতায়াতে অনেকটা অসুবিধা হয়। তবে দিনশেষে ভালো খারাপ মিলেমিশে যাদের কাছে বর্ষাকালটা প্রিয় তাদের যতই অসুবিধা হোক না কেন সব সময় প্রিয় হয়ে থাকবে। আয়রে ছুটির দিন যেটা সবাই একটু ইনজয় করুন। আর তা না হলে কাঁথা মুড়ি দিয়ে এ বৃষ্টি ভেজা ওয়েদার বেশ শান্তির এক ঘুমদিন। আজ তাহলে এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
শৈশব কালে যখন আমি স্কুলে পড়েছিলাম, তখন আমার কাছে শুক্রবার একটি ঈদের দিনের মতোই ছিল। কেননা পুরো সপ্তাহ জুড়ে স্কুলের চাপে ছিলাম, আর শুক্রবার শুধুমাত্র একটু আরাম আয়েশ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। তবে, শৈশবের শুক্রবারের থেকে বর্তমানের শুক্রবারের অনেক পার্থক্য রয়েছে। তবুও আমার কাছে শুক্রবারের দিন একটি বিশেষ দিন মনে হয়।
আমি মনে করি ফ্রাইডে মানে ফ্রী ডে নয়। যেটা আমার ধারণা মতে আমার ব্যক্তিগত আইডিয়া থেকে বলতেছি। শুক্রবার আসলে আমার জন্য খুবই ব্যস্ততম। আমি মনে করি এরকম অনেকেরই হয় শুক্রবারে জমে থাকা কাজগুলো করার চেষ্টা করি। বিশেষ করে দেখা যায় যে শুক্রবারে অনেক অনুষ্ঠান থাকে যেগুলো সামাজিক অনুষ্ঠান। আমাদের এই বাড়তি কাজগুলো করে নিয়ে আবার সেই অনুষ্ঠানে আমাদেরকে এটেন্ড করতে হয়। সবকিছু মিলিয়ে আমি বলবো ফ্রাইডে মানে ফ্রী ডে না ব্যস্ততম একটি দিন।
আমাদের সময় একদিন ই ছুটির দিন ছিল।আর বৃহস্পতিবার ছিল হাফ ডে।তখন সত্যি ই ছুটি কাটানো হতো কিন্তু এখন ফ্রাই ডে মানেই কিন্তু ফ্রি ডে নয়।এখন শুক্রবারে অনেক বেশি ব্যস্ততায় কেটে যায়।সময়ের সাথে সাথে সবকিছুই পাল্টে যায়।বৃষ্টির দিন আলসেমী লাগে ভীষণ। আর কাজ থাকলে বাইরে বের হওয়াটা সত্যি ই ভীষণ খারাপ লাগে।স্যাঁতস্যাঁতে ওয়েদার খুব একটা ভালো লাগে না আমার।ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আমার কাছে মনে হয়, ফ্রাই ডে হচ্ছে সবচেয়ে ব্যস্ততম দিন। কারণ ফ্রাই ডে তে নানান ধরনের শিডিউল থাকে। এটা সেটা করতে করতে সময় যে কিভাবে কেটে যায়, সেটা টেরই পাওয়া যায় না। তাই সেভাবে রেস্ট নেওয়ার ও সময় পাওয়া যায় না। তবে ছোটবেলায় তো ফ্রাই ডে তে ঈদের দিনের মতো আনন্দ লাগতো। যাইহোক বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আমার জীবনে যেমন এখন কোন শুক্রবার নেই ভাই। সপ্তাহের ঐ একটা দিন ও সারাদিন ক্যাম্পাসে থাকতে হয়। আগে শুক্রবার মানে ছিল আনন্দের দিন বিশেষ করে এই আনন্দ পরিলক্ষিত হতো বৃহস্পতিবার রাতে। সেই পরিস্থিতি এখন পাল্টে গিয়েছে হা হা। বেশ চমৎকার ছিল আপনার পোস্ট টা ভাই। দারুণ লিখেছেন। বর্ষা নিয়ে আপনার কথাটা ঠিক ছিল। বর্ষা আমার প্রিয় ঋতু হলেও এই সমস্যা টা আমিও সম্মুখীন করেছি।
ছোটবেলা থেকেই শুক্রবার মানে একটি মজার দিন। শুক্রবারে স্কুল বন্ধ থাকতো বৃহস্পতিবার থেকেই সেই আনন্দটা অনুভব হতো। শুক্রবারে বন্ধু-বান্ধব মিলে চারদিকে ঘুরে বেড়াতাম। বর্তমানে শুক্রবার মানে বন্ধুদের অফিস বন্ধ, গ্রামে একটু আড্ডা দেওয়া, খুবই সুন্দর সময় কাটে। সবাই মিলে জুমার নামাজ পড়ার মজাটাই আলাদা। খুবই সুন্দর একটি পোস্ট আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, যার কারণে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ছুটির দিন সত্যিই এক ভালো লাগার দিন। সারা সপ্তাহ কাজের পর আমরা অপেক্ষা করি একটা ছুটির দিনের জন্য। আমাদের ভারতে সেই দিনটি হল রবিবার। রবিবার মানেই আনন্দের বন্যা। ছেলেবেলায় প্রতি রবিবার সারাদিন বেড়ানোর প্ল্যান হত। কোথায় যাব, কি কি খাব, কলকাতা শহর ঘুরবো এমন আরো কত প্ল্যান। আমার মনে আছে রবিবার হলেই দাদুর হাত ধরে নয় ডবল ডেকার বাসে চড়ে অথবা ট্রামে চড়ে সারা কলকাতা ঘুরতাম। আজও ছুটির দিন আসে। ঘরে বিশ্রামের মধ্যে দিয়ে কাটে সেই ছুটিগুলো। কিন্তু ছেলেবেলার হারিয়ে যাওয়া রবিবার আর ফিরে আসেনা। আপনার পোস্টটি খুব ভালো লাগলো।