ইতিবাচক মনোভাব আমাদের মনবল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
আজ - ২১ই আশ্বিন | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ |বুধবার | শরৎকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আজ আমি আপনাদের সাথে ইতিবাচক মনোভাব এই শিরোনামে কিছু আলোচনা শেয়ার করব।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
ইতিবাচক মনোভাব, যেটিকে আমরা ইংলিশে পজিটিভ মাইন্ডে বলে থাকি। আমাদের মস্তিষ্কের সবসময় দুটি দিক কাজ করে, এর মধ্যে একটি হচ্ছে ইতিবাচক দিক আর অন্যটি হচ্ছে নেতিবাচক দিক অর্থাৎ পজেটিভ আর নেগেটিভ মাইন্ড। আমরা যেকোনো কাজের শুরুতে বা কোন একটি বিষয়ে নিয়ে আমাদের মধ্যে ইতিবাচক দিক এবং নেতিবাচক দিক এই দুইটি মনোভাব বিদ্যমান থাকে। আমরা যদি এই নেতিবাচক মনোভাবটিকে বাদ দিয়ে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করি তবে উল্লেখিত বিষয়টি বা কাজটি আমাদের জন্য সুবিধাজনক বা সহজ হবে। যদিও আমাদের মস্তিষ্ক বেশিরভাগ সময়ই এই নেতিবাচক দিকটিকে বারবার সামনে নিয়ে আসে। তবে এই নেতিবাচক দিক থেকে সরিয়ে আমাদেরকে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে হবে।
আমি মনে করি, যে কোন পজিটিভ চিন্তা পজিটিভলি আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করে। আমরা জীবনে অনেক সময় এমন সব পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় যখন পজিটিভ চিন্তা করাটা উচিত কেননা পজিটিভ চিন্তা আমাদের মনোবল বৃদ্ধিতে সাহায্য কর। কিন্তু তখন আমরা যদি পজেটিভ চিন্তার বদলে নেগেটিভ চিন্তা করে বসে থাকি। তবে সেটা হবে বোকামো। আর এইসব নেগেটিভ চিন্তার ফলে কোন সমস্যার তো সমাধান হয় না বরং সমস্যার তৈরি হয়। আসলে আমরা যদি নেতিবাচক সব চিন্তা থেকে নিজেকে দূরে রেখে ইতিবাচক চিন্তা করি তবে সেটিই আমাদের উপকারে আসবে। যেকোনো কাজের দুটি দিক থাকে একটি ইতিবাচক আর একটি নেতিবাচক আর এই দুইটি দিক থেকে আমরা যেদিকে আমরা আদের চিন্তা কে নিয়ে যাই, সেই দিকটিই আমাদের কে বেশি প্রভাবিত করবে। তবে আমি মনে করি যে, যেকোনো সময় ইতিবাচক চিন্তা আমাদের মনবল কে দ্বিগুণ বৃদ্ধি করে। আর নেতিবাচক চিন্তা আমাদের মনবল কে কমিয়ে দেই।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
আমার একবার সামান্য কোনো এক কারণে প্রচন্ড শরীর খারাপ হয়েছিল। আমি ভেবে বসে আছি যে হয়তো কোন এক কঠিন রোগ আমার উপর ভর করে বসেছে। মনের মধ্যে সব খারাপ চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছিল তখন। আর মনের মধ্যে এইসব চিন্তা শরীর ও মনকে যেন আরো খারাপ করে দিচ্ছিল তখন। কেননা একে তো শরীর খারাপ আর তার ওপর এইসব নেতিবাচক চিন্তা, যা মিলে যেন আরো ভয়ঙ্কর হয়ে পড়েছিল তখন। পরে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পর জানতে পারলাম সামান্য কারণে আমার শরীর খারাপ হয়েছিল। কিছুদিন রেস্ট নিলে সব ঠিক হয়ে যাবে। অথচ আমি আমার মনের মধ্যে এত সব নেতিবাচক চিন্তা করে বসে আছি। আমি তখন ভেবেছিলাম ইস আমি যদি ওই সময়টাই মনের মধ্যে এত সব নেতিবাচক চিন্তা না করতাম তবে হয়তো আমার এতটা শরীর খারাপ হত না।
যাই হোক আমি এখন সবসময় চেষ্টা করি, যে কোনো খারাপ বা কঠিন পরিস্থিতির নিজের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখার। কেননা আমি আগেই বলেছিলাম ইতিবাচক মনোভাব মনের মধ্যে মনোবল তৈরি করে। ইতিবাচক মনোভাব মনের মধ্যে একটি শক্ত মনোবল গঠন করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ইতিবাচক মনোভাব যে কোন কঠিন পরিস্থিতির সময় মনের মধ্যে একটি প্রশান্তির জন্ম দেয় এবং ভালো কিছু চিন্তা করতে সাহায্য করে।
যাই হোক আমি এখন সবসময় চেষ্টা করি, যে কোনো খারাপ বা কঠিন পরিস্থিতির নিজের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখার। কেননা আমি আগেই বলেছিলাম ইতিবাচক মনোভাব মনের মধ্যে মনোবল তৈরি করে। ইতিবাচক মনোভাব মনের মধ্যে একটি শক্ত মনোবল গঠন করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ইতিবাচক মনোভাব যে কোন কঠিন পরিস্থিতির সময় মনের মধ্যে একটি প্রশান্তির জন্ম দেয় এবং ভালো কিছু চিন্তা করতে সাহায্য করে।
যাইহোক, সব কথার শেষ কথা হচ্ছে নিজের মধ্যে সবসময় ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করা।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ভাই আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ইতিবাচক মনোভাব সব সময় আমাদের জীবনে ভালো কিছু বয়ে আনবে।পুরো বিষয়টি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার ও মাঝে একই অবস্থা হয়েছিলো।
কিছু ছোট ছোট ব্যাপারকে অনেক বেশি ভয়ংকর ভেবে ফেলেছিলাম। আর তখন ই কেনো যেনো কাজগুলো আরো কঠিন হয়ে উঠতে লাগলো।
তবে পরে পজিটিভ ভাবে ভাবাতে কাজগুলোও সহজ হয়ে গেলো।
খুব সুন্দর ভাবে লিখেছেন ভাইয়া।
আপনার লেখা গুলো একদম বইয়ের মতো। খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে কথা গুলো শেয়ার করেন। পড়লে পড়তেই ইচ্ছা করে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার পোস্টটি পড়তে আমার খুব ভালো লেগেছে। আপনার লেখা গুলো খুব গুছানো হয়েছে। শুভ কামনা রইল ভাইয়া আপনার জন্য।
আপনার লেখাগুলো আমার খুব ভালো লাগে। বাস্তব সম্মত লেখেন আপনি। ইতিবাচক দৃষ্টি আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কথায় আছে দৃষ্টিভঙ্গি বদলাও জীবন বদলে যাবে। লেখাটি অনেক ভালো লাগছে।
একদম বাস্তব কথা তুলে ধরেছেন ভাইয়া।সেইম এক কাজটি আমিও একবার করেছিলাম আমার যখন টাইফয়েড জ্বর হয়েছিলো।
আপনার লেখায় মনোবল বৃদ্ধি পেলো অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।🤩
একদম বাস্তব কথা তুলে ধরেছেন ভাইয়া।খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে কথা গুলো শেয়ার করেন। শুভেচ্ছা রইল ভাইয়া আপনার জন্য।
খুবই সুন্দর একটি পোস্ট করছেন। শুভকামনা রইলো।
ইতিবাচক দৃষ্টি আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কথায় আছে দৃষ্টিভঙ্গি বদলাও জীবন বদলে যাবে
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।