ঈদ মোবারক।steemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আজ - ১৫ই আষাঢ় |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | বর্ষা-কাল |


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।




eid-al-adha-g04e73a604_640.jpg
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।

ঈদ মোবারক সকলকে। সকলের কেমন কাটছে আজকের এই ঈদের দিনটা? নিশ্চয়ই ভালো কাটছে। পরিবার আত্মীয়-স্বজন সকলকে নিয়ে ঈদ আনন্দের সাথে ঈদ কাটুক এটাই কাম্য। কেননা সময় খুবই দ্রুত চলে যায় পরবর্তী ঈদটাও যে আমরা আমাদের পরিবারের সাথে উদযাপন করতে পারব তার তো কোন গ্যারান্টি নেই। তাই আমরা সব সময় চেষ্টা করব এই সময় গুলোকে আনন্দের সাথে উদযাপন করতে। আর যারা গ্রামে পৌঁছে গিয়েছেন ঈদ উদযাপন করতে তাদের ঈদটা তো নিশ্চয়ই ভালো কাটবে। কিন্তু যারা এই সময়টা পরিবার-পরিজনের থেকে দূরে ঈদ কাটাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে আনন্দটা থেকে দুঃখটাই সব থেকে বেশি।

যাইহোক, এই নিয়ে "আমার বাংলা ব্লগের " পরিবারের সাথে আমার তৃতীয়বারের মতো কোরবানির ঈদ পালন করা হচ্ছে। সামনে আরো ঈদ বাংলা ব্লগের সাথে কাটাবো ইনশাআল্লাহ।

ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা এই দুটি হচ্ছে আমাদের মুসলিম ধর্মের সব থেকে বড় দুটি উৎসব। কিন্তু ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা দুইটি ভিন্ন একটি থেকে অপরটা । ঈদুল আযহা হচ্ছে ত্যাগের মহিমা।

যাইহোক আজকের ঈদের দিন টা কেটেছে অনেকটাই ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে। সকাল সাড়ে ছয়টা দিকে ঘুম থেকে উঠেছি। যদিও আরো আগে ঘুম থেকে ওঠার কথা ছিল তবে পুরনো সে বদ অভ্যাস ত্যাগ করতে পারিনি বলে ঘুম থেকে উঠতে দেরি করে ফেলি । প্রতিবার কোরবানির সময় দেখা যায় সকাল সকাল উঠে গরুকে গোসল করানো হতো। তবে এবার আমি যাইনি গরুকে গোসল করাতে। অন্যরাই তা করে নিয়েছে।

যাই হোক, আমাদের ঈদের জামাত হচ্ছে সকাল সাতটা । তাই গোসলটা ছেড়ে রেডি হয়ে মসজিদের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। ঈদুল ফিতরের সময় যেমন মসজিদে যাওয়ার আগে একটা সাজগোজের ব্যাপার থাকে কিন্তু এই ঈদুল আযহা কিংবা কোরবানির এই ঈদের সময় দেখা যায় তেমন একটা সাজগোজের প্রয়োজন হয় না। কেননা এই সময়টা প্রচুর কাজ করতে হয়। এছাড়া নতুন জামা কাপড় পড়লে দেখা যায় রক্তের দাগ কিংবা নোংরা লেগে পাঞ্জাবি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেকটাই। তাই আমি মোটামুটি একটু পুরনো দুই একবার পরেছি এমন গাঢ় রঙের একটি পাঞ্জাবি গায়ে দিয়ে চলে গেলেন মসজিদে।

যাইহোক মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে এসে আর বাসায় ঢুকা হয়নি একেবারেই গরুর ওখানেই চলে গিয়েছি। একে একে মসজিদ থেকে সকালে বের হতে লাগল এমন হুজুররা এসে গেল অন্যদিকে কাসাইরা ও দেখলাম এসে হাজির। চলতে থাকলাম মাংসের কাটাকুটির ব্যাপার। মাংস নিয়ে দুই একবার পাঁচতলা উঠা নামা হয়েছে। বেশ ধকল গিয়েছে মাংস উঠানামা করার এই বিষয়টি নিয়ে।

এখন খেয়ে দেয়ে বসেছি পোষ্ট লিখতে। আর এই পোস্টে লেখা হলেই আজকের দিনের মত এখানে আমার কাজের সমাপ্তি। হাত পা খুব ব্যথা করছে এবং প্রচন্ড ক্লান্ত লাগছে। আর এখন একটি ঘুম দিতে পারলে দেখা যাবে সকল ক্লান্তির অবসান ঘটবে। আজ আর কোথাও বের হবো না। আত্মীয় স্বজনদের বাসায় কাল যাব নাস্তা নিয়ে। আজ আর সম্ভব হবে না আমার দ্বারা বাইরে কোথাও যাওয়ার।

যাইহোক আজ এ পর্যন্তই। ভালো থাকবে সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী দিন অন্য কোন বিষয় নিয়ে আল্লাহ হাফেজ।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 last year 

ঈদের এই বিশেষ দিনে পরিবার-পরিজনের থেকে দূরে থাকার কষ্ট সত্যি অনেক বেশি। অন্তরে কষ্ট নিয়েও হাসি মুখে নিজেকে উপস্থাপন করার নামই জীবন। যাইহোক ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ঈদ মোবারক ভাইয়া।

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 55971.81
ETH 2362.70
USDT 1.00
SBD 2.32