বিরক্তিকর এক শব্দ দূষণ।
আজ- ৯ই পৌষ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, শীতকাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
তো যা বলছিলাম। আমাদের বাসার সামনেই যে গলিটা আছে ওইটা অন্যান্য রাস্তা উঁচু করার ফলে এই রাস্তাটা অনেকটাই নিচু হয়ে গিয়েছিল যার কারণে বর্ষাকালে পানি জমে যেত। তাই প্রত্যেকটি বাড়িওয়ালা নিজ উদ্যোগে গলির সামনের এই রাস্তাটা অনেকটা উঁচু করে ফেলেছে। অনেকদিন ধরে এই রাস্তার কাজ চলছিল। আর এই রাস্তার কাজ চলার কারণে রাস্তার একেবারে খারাপ অবস্থা হয়েছিল। রাস্তার পাশে ইট, বালি ট্রাক সবকিছু নিয়ে পুরো রাস্তাটা একদম ব্লক হয়েছিল।
বাসার সামনে কোন গাড়ি আসতে পারতো না। বাসার অনেকটা দূরে গিয়ে গাড়ি থেকে নেমে যেতে হতো আর বাকি পথটা হেঁটে হেঁটে আসতে হত। অনেকটা ঝামেলা পোহাতে হয়েছিল আসলে ওই সময় গুলো। তবে সব কিছু ঠিকঠাক হয়েছিল বেশ ভালোই চলছিল কিন্তু এখন আবার শুরু হলো নতুন করে রাস্তা ভাঙ্গা ভাঙ্গির কাজ। সিটি কর্পোরেশন লোকেরা রাস্তার ভিতর কিছু পাইপ বসানোর জন্য শুরু করেছে রাস্তা খননের কাজ। পিচ ঢালাই এর সবে নতুন তৈরি করা ওই রাস্তাটাকে আবার খনন করে মাটির নিচে পাইপ বসানোর কাজ চলছে। ফলে আবার পুরো রাস্তাটা একেবারে হাটার অযোগ্য হয়ে উঠেছে। শুধুই কি তাই, সারাদিন চলছে ড্রিল মেশিনের শব্দ, মেশিনের শব্দ সবমিলিয়ে পুরো কানটা একেবারে ঝালাপালা হয়ে যাওয়ার অবস্থা।
রাত দিন সারাক্ষণ বিরতিহীন একইভাবে কাজ চলছে । কেউ ডে শিফটে আসছে আর কেউ নাইট শিফটে এসে কাজ করছে। গত রাতে একটুও ঘুম হয়নি ড্রিল মেশিন ও বিভিন্ন মেশিনপত্রের শব্দে। যেহেতু রাস্তার পাশে বাসা যেহেতু শব্দগুলো বেশি জোরালো শোনা যায়। আর রাতের দিকে চারপাশটা স্তব্ধ থেকে ফলে যেকোনো ছোটখাটো শব্দ ও আরো বেশি জোরালো মনে হয় আর এখানে তো পুরা একটি রাস্তা খননের কাজ তাহলে তো বুঝতেই পারছেন কতটা জোরালো হবে। কিছু করার নেই চলতেই থাকবে এভাবে কিছুদিন এবং সহ্য করে নিতে হবে সেটা। কিন্তু সব থেকে চিন্তা হয় ওই সকল মানুষগুলোর জন্য যারা অসুস্থ, বৃদ্ধ কিংবা ছোট বাচ্চারা যারা কিনা শব্দতে ঘুমাতে পায় না তাদের কতটুকু খারাপ অবস্থা সেটা ভেবেই খারাপ লাগছে।
আরেকটা জিনিস খুব ভাবায় আমাকে, আমরা একটু শব্দের কারণে ভালো করে ঘুমাতে পারছি না অথচ নাইট শিফটে ডিউটি করা ওই মানুষগুলো কিন্তু সারারাত ভোর কাজ করছে। আমরা তো একদিন রাতে শান্তিতে ঘুমাতে না পারলে আমাদের কত অভিযোগ কত কি কিন্তু তারা তো রাতের পর রাত না ঘুমিয়ে কাটাচ্ছে । আসলে মানুষের জীবনটা সত্যিই বৈচিত্র্যময়।
যাইহোক আজ এ পর্যন্তই। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী দিন ভিন্ন কোন আলোচনায় ভিন্ন কোনো বিষয়বস্তু নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভাইয়া আপনার অনুভূতি গুলো কিন্তু সত্যি আমায় মুগ্ধ করেছে। আসলে আমরা কিন্তু কেউ এমন করে কখনও ভেবে দেখিনি। ।ভেবে দেখিনি এমন মানুষ গুলোর কষ্টের কারন। আমরা একটু আওয়াজ পেলেই কত যে চিৎকার করি। আর এসব মানুষ দিনের পর দিন রাতের পর রাত কতই না পরিশ্রম করে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি অনুভূতির কথা শেয়ার করার জন্য।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
মানুষের জীবনে আসলেই অনেক বেশি বৈচিত্র নয় যেখানে শব্দের কারণে হয়তো বা আপনাদের কিছুদিন ঘুম হচ্ছে না অপরদিকে সেই মানুষগুলো কিন্তু রাতের পর রাত না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিচ্ছে। আমি মনে করি এটা সম্পূর্ণ অভ্যাস। ঘুমানোর সময় যদি এরকম শব্দ হয় তাহলে রাতে ঘুম না হওয়াটাই স্বাভাবিক তারপরেও অনেক বৃদ্ধ এবং ছোট মানুষ রয়েছে তাদের কারণে রাত্রেবেলা আপাতত কাজটা বন্ধ রাখা উচিত বলে আমি মনে করি। যাই হোক কাজ শেষ হলে আবার রাত্রে ভালো ঘুম হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে সুন্দর একটা পোস্ট তুলে ধরার জন্য।
হায় আল্লাহ এটা যে কত বিরক্ত করে একটা জিনিস যার বাড়ির পাশে এরকম কাজ হয়েছে সেই বলতে পারে। শব্দ দূষণ আমার একদমই পছন্দ না, কিন্তু আমারও এরকম একটা অনুভূতি হয়েছে। এছাড়া বাড়ির কাজ চলার কারণে অনেক শব্দ হয় এটা আমার খুবই বিরক্ত লাগে।
হুমম, এটাই তো জীবন! আপনি যেখানে অস্বস্তি ফিল করছেন সেখানে কিছু শ্রমিক শব্দের মাঝেও কাজ করে যাচ্ছে! আসলে তারা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে সেটা। তবে বাসার পাশে রাস্তা হওয়ায় ঝামেলাটা বেশি হলো। শব্দটাও বেশি শুনা যাচ্ছে। যারা অসুস্থ রয়েছেন তাদের আবার কষ্ট হচ্ছে।
আসলে রাস্তর কাজ চললে এরকমটাই হয়ে থাকে। অনেক সময় বিভিন্ন শব্দে থাকা যায় না আবার অনেক সময় রাস্তার অবস্থা এমন হয় যে বাইরে বের হলেই দেখা যায় কয়েকদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে আছে। তবে উন্নতি করতে হলে তো এইটুকু সহ্য করতে হয়। যাই হোক এটা ঠিক বলেছেন মানুষের জীবন অনেক বৈচিত্র্যময়। আমরা তো আমাদের ঘুমের মধ্যে একটু ডিস্টার্ব হলেই রেগে যাই। কিন্তু যে যেসব ওয়ার্কাররা কাছ থেকেই শব্দগুলো সহ্য করে সারারাত ঘুমিয়ে জীবিকার তাগিদে কাজ করে যাচ্ছে, তাদের কথা একবার ভাবা উচিত। যাইহোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাই জীবন যেখানে যেমন। আমরা তো রাতে ঘুমিয়ে অভ্যস্ত,তাই এক রাত সজাগ থাকলেই খুব খারাপ লাগে। কিন্তু যারা রাতে কাজ করে, তাদের তো রাত জাগা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। যদিও রাত জাগা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তবুও তো কিছু করার থাকে না অনেকসময়। জীবন জীবিকার তাগিদে অনেক কিছুই মেনে নিতে হয়। যাইহোক রাস্তার পাশে বাসা হলে সুবিধা যেমন রয়েছে, তেমনি অসুবিধা ও অনেক। ড্রিলের এবং গ্রেন্ডিং মেশিনের শব্দ অনেক। এমন সাউন্ডে আসলেই ঘুমানো যায় না। যাইহোক কয়েকদিন ধৈর্য্য ধারণ করেন ভাই। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।