স্বস্তি নার্সারিতে একদিন।

গত কয়েকদিন ধরে বেশ ভালই বৃষ্টি পরলো। বৃষ্টিতে বাসার মধ্যে বেশ একঘেয়ে জীবন কাটালাম। অবশেষে গত পরশুদিন রোদের দেখা পেলাম। সাধারণত প্রতিদিন কোন না কোন কাজের চাপ থাক কিন্তু শুক্রবারের দিনটি সব কাজ ফেলে নিজের মতো করে কাটানোর চেষ্টা করি। তাই শুক্রবার বিকেলে বের হলাম ঘুরাঘুরি করতে। চিন্তা করলাম বাসা থেকে একটু দূরে কোথাও ঘুরাঘুরি করে আসি। এর মাঝেই ছোটবেলার স্কুল ফ্রেন্ড কল দিলো। ওদের ওখানে নাকি নতুন একটি নার্সারি হয়েছে সাথে রেস্টুরেন্ট ও। চিন্তা করলাম বন্ধুটির সাথে অনেকদিন ধরে দেখা সাক্ষাৎ হয় না তাই দেখা করে আসি। সাথে নতুন নার্সারি টিও দেখে আসি। নার্সারি আমার খুব পছন্দের একটি জায়গা। নার্সারিতে হরেক রকমের গাছ থাকে যা দেখলে যে কারো মন এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে। যা হোক অবশেষে রওনা দিলাম ওই বন্ধুটির লোকেশন এ।

বন্ধুটি মূলত থাকে টেকনিকেল মোজাফফর গল্লির আবাসিক এলাকাই। ওদের নিজেদের বাড়ি, ছোটবেলা থেকে ওখানেই বড় হয়েছে ওরা। আমার বাসা থেকে ওখানে পৌছাতে পৌছাতে প্রায় ৫০ মিনিট থেকে ঘন্টা খানেকের মতো লাগলো। এরপর বন্ধুদের সাথে, যে নার্সারি কথা বলছিলাম ওখানে রওনা দিলাম। নার্সারি টি ওর বাড়ির পাশেই ছিল।

নার্সারিটির নাম হল স্বস্তি নার্সারি। আর ওই নার্সারির ভিতর যে রেস্টুরেন্টে আছে তার নাম হলো ফুড ফ্যাক্টরি চিটাগং । আর নার্সারির লোকেশন টি হল জাওতলা রেলগেটের একটু সামনে। মোটামুটি অনেক বড় নার্সারি।

নার্সারিতে ঢুকতেই অবাক হলাম। কারণ নার্সারির মুখে ছিল একটি বড় একুরিয়াম। ওখানে কয়েক প্রজাতির একুরিয়াম ফিশ রয়েছে। এরপর ভিতরে ঢুকতেই প্রথমে একটি ছোট গেট আকৃতির নকশা চোখে পরলো। এরপর আরো একটু ভিতরে ঢুকতেই মোটামুটি দেখতে পেলাম বেশ পরিপাটি সুন্দর ভাবে সাজিয়েছে। নার্সারিতে ছোট ছোট গাছের ফাঁকে কয়েকটি টেবিল এর মাধ্যমে খাবারগুলো সার্ভ করা হচ্ছে। দেখতে বেশ ভালো লাগলো। এই নার্সারিটির একটি বড় সুবিধা হচ্ছে পাশে রয়েছে রেললাইন যেটা দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল চলাচল করে। তো ওখানে বসে মাঝে মাঝে ট্রেনের যাওয়া আসা দেখা যায়। মোটামুটি নার্সারিতে সব ধরনের গাছ রয়েছে যা দেখতে পেলাম। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো এখানে ক্যাকটাস নিয়ে পুরো একটি স্ট্যান্ড রয়েছে। যেখানে হরেক রকমের ক্যাকটাস গাছ রাখা আছে। এছাড়া একটি রিকশা আছে যার মাধ্যমে বসে অনেকে ছবি তুলছে। একটি স্কুটি ও আছে ছবি তোলার জন্য।

আসলে যখন গিয়েছিলাম তখন একবারে সন্ধ্যার আগ মুহূর্ত। পাশের রেললাইন রেল যাচ্ছে আসছে সাথে নার্সারি এর ভিতর রেস্টুরেন্ট সাথে অনেকগুলা তালগাছ আছে রেললাইনের পাশে আসলে পরিবেশটা অনেক সুন্দর লাগছিল। যাহোক আমরা কিছুক্ষণ থাকলাম এরপর ওখানে রেষ্টুরেন্টে দুই বন্ধু বসে চিকেন টিক্কা অর্ডার দিলাম সাথে পরোটা। এবার খেয়ে দেয়ে ওখান থেকে বেরোতে বেরোতে মাগরিবের আজান দিয়ে দিল।

এরপর পাশের একটি মসজিদে মাগরিবের নামাজ সেরে বের হলাম চা খাওয়ার জন্য। ওখানে একটি অতি পরিচিত চায়ের দোকান আছে। যেখানে খাঁটি গরুর দুধের মালাই চা বিক্রি করা হয়। তারপর এখানে চা খেতে খেতে কিছুটা আড্ডা দিলাম। দেখতে দেখতে রাত নটা বেজে গেল। এরপর হঠাৎ মনে পড়ল যদি ও শুক্রবার কিন্তু আমাদের কমিউনিটির কিছু কাজ তো বাকি থেকে গেল তাই বাসায় তড়িঘড়ি করে আসলাম পোস্ট কিউরেশন এবং রিপোর্ট তৈরি করার জন্য । যাহোক বাসায় আসতে আসতে রাত দশটা বেজে গেল।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||