এই শীতের রাতে কষ্ট করা ওই সকল মানুষগুলো।
আজ - ১৩ই, পৌষ |১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | শীতকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
যাইহোক, আজ সকাল থেকে ওয়েদারটা একেবারে মেঘলা হয়ে আছে। কেননা ভোর রাতে প্রচন্ড বৃষ্টি হয়েছিল। আর এই বৃষ্টির কারণে শীতটা ও নেমেছে প্রচুর। এখনকার এই সব ওয়েদার থেকে বোঝাই যাচ্ছে সামনে আরো দুর্দিন অপেক্ষা করছে। সামনে শৈত্যপ্রবাহ কিংবা ঠান্ডা আরো বাড়তে পারে।
আমাদের মত সবলম্বী মানুষগুলো এই শীতের সময়টাতে উষ্ণ থাকতে পারলেও এমন অনেক দরিদ্র এবং পথচারী মানুষ আছে যারা এই শীতের সময়টাতে নিজেকে উষ্ণ রাখার মতো কোন কিছুই নেই। ট্রেন স্টেশনে কিংবা বাসস্টপে এমন অনেক মানুষ দেখতে পাওয়া যায়, যারা গৃহহীন বলে এসব জায়গাগুলোতেই রাতে আশ্রয় নেয়। আর এ সকল শীতের রাতে তাদের কথা ভাবলে সত্যি বলতে খুবই কষ্ট হয়। এই হার কাঁপানো শীতের মধ্যে খোলা আকাশের নিচে রাত্রি যাপন করে তারা। আর আমরা কম্বল গায়ে দিয়ে নরম বিছানায় শুয়ে কতইনা আরামেই না রাত কাটায়। কিন্তু এই সকল গৃহীন এবং পথচারী মানুষগুলোর শীতের রাত কাটাই অত্যন্ত বেদনা এমন কষ্টের সাথে।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া গ্রাম গঞ্জের শীতের এই সময়গুলোতে প্রচন্ড ঠান্ডা পড়ে এবং তাদের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডের ব্যাঘাত ঘটে। ঘর থেকে বের হতে পারে না কুয়াশা এবং ঠান্ডার কারণে । টিনের চালের দিয়ে ফিনফিন করে বাতাস ঢুকে। তবে যদিও বর্তমানে গ্রাম এখন অনেকটাই উন্নত হয়েছে টিনের, চালের বদলে তৈরি হয়েছে পাকা বাড়ি ঘর বিল্ডিং। তারপরেও গ্রামে শতকরা ৬০ ভাগ মানুষের এখনো টিনের বাড়িঘরে বসবাস করে। তাদের জন্য এই সকল শীতকালটা সত্যি বেদনাদায়ক।
যাইহোক, এই শীতের সময়টা দুর্দশা এবং কষ্ট হোক না কেন অনেকেরই প্রিয় ঋতু হিসেবে শীতকালটা রয়েছে। আমার ও ব্যক্তিগতভাবে পছন্দের ঋতু গুলোর মধ্যে দ্বিতীয় হচ্ছে শীতকাল। তবে শীতকাল একটি উপভোগ্য মাস। কেননা এই শীতকালকে কেন্দ্র করেই বিভিন্ন আয়োজন করা হয়। শীতকাল আসলে কেমন যেন অন্যরকম একটা আমেজ তৈরি হয় চারিদিকে।
আমি সবসময় বলি শীতকালটা উপভোগের জন্য গ্রামই শ্রেষ্ঠ। কেননা এই সময়ে গ্রামের পুরো পরিবেশটাই যেন পাল্টে যায়। মাঠে ঘাটে ফলে বিভিন্ন ধরনের টাটকা শাকসবজি। পুকুর গুলো পানি টেনে আসে তাই মাছ ধরা হয়। এছাড়া খেজুরের গুড় এবং নতুন চাল দিয়ে নানা ধরনের পিঠা তো আছেই। আর এই শীতকালটাকে উপভোগ করতে শহরগুলো খালি করে, গ্রামেতে ভিড় করে মানুষ জন। এখন গ্রাম গুলোতে দেখা যাবে প্রত্যেকটা ঘরের মধ্যে অতিথিদের আগমন। কানা কানায় ভরে ওঠে গ্রাম গুলো মানুষের ভিড়ে।
যাইহোক, যারা গ্রামে থাকেন আমি মনে করে তারা ভাগ্যবান। কেননা তার এই সুন্দর এই মুহূর্তগুলো খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারছেন।
যাই হোক সামনেই আছে আসছে নতুন বছর। নিশ্চয়ই সবার মাঝে নতুন বছরটিকে উদযাপন নিয়ে অনেক পরিকল্পনা আছে। সকালের এই পরিকল্পনা গুলো যেন সঠিকভাবে পূরণ হয় সেটি কামনা করছি।
যাইহোক, সর্বশেষ একটা কথাই বলতে চাই। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী দরিদ্র মানুষগুলোর প্রতি এই শীতের দুর্দিনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
একটা কথা জেনে রাখা উচিত যে দান কখনো মানুষ অর্থ সম্পদ কমায় না বরং যা দান করা হয় তা তার বেশি করে ফিরে আসবে নিজের কাছে। তবে আমি মনে করি দান কখনো দেখিয়ে না বরং গোপনে করা উচিত। আমাদের মুসলিম সমাজের প্রচলিত আছে যে, ডান হাতের ডান করলে যেন বাম হাতেও না জানে। অর্থাৎ এতটা গোপনের সাথে দান করা উচিত আমাদের। তবে বর্তমানে দান করার এ বিষয়টি হয়ে উঠেছে প্রকাশ্যে এবং লোভ দেখানো। তবে আমরা ভুলে যায় মানুষ দরিদ্র হলেও আত্মসম্মানবোধ রয়েছে।
তো এই পর্যন্তই। সকলে থাকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হচ্ছে পরবর্তীতে অন্য কোন বিষয় নিয়ে অন্য কোন আলোচনা নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই শীতকালে আমরা যখন লেপের ভিতরে ঘুমায় তখন এক শ্রেণীর মানুষগুলো রাস্তায় ট্রেনের পাশে কিংবা কোন একটা জায়গায় সারারাত শীতে কাটায়। এটা খুবই একটি কষ্টের ব্যাপার।কিন্তু এই দুনিয়ায় কে কার জন্য করে ভাই আমরা সবাই নিজের চিন্তা-ভাবনা নিয়েই ব্যস্ত শীতকাল আসলে খাল বিল পুকুরগুলো শুকিয়ে যায় ঐ সময় মাছ ধরতে বেশ ভালো লাগে।ওই দান সর্বোত্তম যে দানে ডান হাতে দান করলে বাম হাত জানতে পারে না। অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই পড়ে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
আমারও পছন্দের ঋতুর মধ্যে শীতকাল রয়েছে! শীতকাল আসলেই পরিবেশ পুরো পাল্টে যায়। বিশেষ করে গ্রামের পরিবেশ। শীতকালে অনেকেই প্রয়োজনীয় পোশাক পায়না। আমাদের উচিত তাদেরকে সাহায্য করা
শীত যখন অনেক বেশি পড়ে তখন কিন্তু অনেক মানুষ মৃত্যুবরণও করে ভাইয়া। যাদের থাকার ঘর নেই, শীতের বস্ত্র নেই তারা এই সময়টা খুব কষ্টে পার করে ।গ্রামের বাড়ি এর কথা আর কি বলবো ভাইয়া,শহরের তুলনায় গ্রামে তো শীত অনেক বেশি পড়ে ।তাই তাদের কষ্ট অনেক গুন বেশি বেড়ে যায়।যারা কৃষক তাদের কথা আর কি বলবো!!😔।শীত কাল যেমন কারো কারো জন্য আনন্দের দিন,তেমন কারো কারো জন্য দুঃখের কষ্টের ও দিন ।
সব শেষের কথা গুলোই আমার সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে ,আমরা কম্বল দিয়ে নরম বিছানায় কতইনা আরামের মধ্যে রাত কাটাচ্ছি ,কিন্তু তাদের কথা ভাবলে সত্যি খারাপ লাগে ,আর এই শীতে আমরা অবশ্যই চেষ্টা করবো বস্রহীনদেড় বস্রদান করতে। তাদের দিকেসহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে।
আমাদের দেশের উত্তরাঞ্চলে শীতের প্রকোপ খুব বেশী মাত্রায় দেখা যায়। এছাড়া গ্রাম বা শহরে থাকা নিম্নবিত্তদের জন্য শীত সুখের নয়।এজন্য বলা হয়, "কারো পৌষ মাস, কারো আবার সর্বনাশ"। এই শীতের আমেজ আমাদের পাশের মানুষদের কে নিয়ে আমাদের করা উচিত।একা আনন্দে কোন সুখ নেই। খুব সুন্দর বিষয়, আর খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে। অনেক অভিনন্দন রইলো আপনার জন্য।
ভাইয়া সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। আমার মনে হয় গরম থেকে শীতের মধ্যে গরীব মানুষে কষ্ট বেশি হয়। কারন যারা রাস্তায় স্টেশনে ঘুমায় তারা শীতে কষ্ট করে বেশি। আর গ্রামের বয়স্ক লোকেরা শীতে কষ্ট করে। যাদের সামর্থ আছে তাদের উচিত এসব মানুষের পাশে দাড়ানো। ধন্যবাদ ভাইয়া।