আমার জীবনে প্রথম ফ্রেন্ডদের সাথে ট্যুরে যাওয়ার অভিজ্ঞতা ।

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

আজ - ৭ই অগ্রাহায়ণ ১৪২৮ , বঙ্গাব্দ | সোমবার | হেমন্ত-কাল |


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।

আজ আমি আপনাদের সাথে আমার জীবনে প্রথম ট্যুরে যাওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করব।




waterfall-gefe0fd2c8_1920.jpg
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।

আমি মনে করি, জীবনের সবথেকে সুমধুর সময় গুলো কাটে ছাত্র জীবনে। ওই সময়টা মানুষের জীবনে এমন একটি সময়, যে সময়টাতে মানুষ জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করে। জীবনে এত গুরুত্বপূর্ণ সময় হওয়া সত্বেও প্রত্যেকে এই জীবনটাকে খুবই উপভোগ করে। আমিও এর ব্যতিক্রম নয়। আমি আমার ছাত্র জীবনের সময়টাকে অনেক উপভোগ করেছি। আমার ছাত্র জীবনের অর্ধেকেরও কম সময় কেটেছে গ্রামে আর বেশির ভাগ সময় কেটেছে শহরে। আর তাই গ্রাম এবং শহরের দুইটারই মজা আমি উপভোগ করেছি। অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে আমার ছাত্র জীবনকে ঘিরে।

আর তেমনই একটি মজার স্মৃতি আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আসলে এটি শুধু স্মৃতি নয় বরং আমার জীবনের একটি অভিজ্ঞতা। আমি তখন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ করেছি মাত্র। অনেক ব্যস্ততার পর পরীক্ষা শেষে বেশ লম্বা ছুটি পেয়েছে হাতে। তাই বন্ধুরা সকলে মিলে ঠিক করলাম কোথায় একটা ঘুরতে যাব। কিন্তু কোথায় যাব কিভাবে যাব কিছুই ঠিক করতে পারছিলাম না। অনেক চিন্তা ভাবনা কল্পনা জল্পনার পর ঠিক করলাম সকলে মিলে বান্দরবনে যাব। তাই সকলে যে যার মতো করে বাসায় বলল। কিন্তু এই কথাটি বাসায় বলার মতো সাহস আমার ছিল না। আমি বুঝতে পারছিলাম না যে কথাটি বাসায় কিভাবে বলবো। কেননা আমি জানতাম আমার ঘুরতে যাওয়া ব্যাপারটি নিয়ে আব্বু কখনই রাজি হবে না। এদিকে আমার জন্য কোন প্ল্যানই এগোনো যাচ্ছে না। যাই হোক মনে সাহস নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার কথাটি প্রথমে আম্মু কে বললাম। যদিও মনে অনেক ভয় ছিল। তবুও বললাম। আম্মু প্রথম দিকে রাজি হতে চাইনি। পারে কোনমতে বুঝিয়ে-শুনিয়ে আম্মুকে রাজি করাতে পারলেও আব্বুকে রাজি করানোর দায়িত্বটা আম্মুর উপরে দিয়ে দিলাম। প্রথমদিকে আব্বু রাজি না থাকলেও আম্মুর সুপারিশে পরে রাজি হয়ে যায়।




hawaii-g7d24b88ce_1920.jpg
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।

যাই হোক সবকিছু ঠিক করা হয়ে গেল, কোন দিন, কিভাবে, কোথা থেকে যা হবে। আমরা ঠিক করলাম বান্দরবানে যাব। আমি মনে করি বাংলাদেশের সব দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে বান্দরবান অন্যতম। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের একটি অঞ্চল হচ্ছে এই বান্দরবান। আপনারা যারা বান্দরবান গিয়েছেন তারা তো নিশ্চয়ই জানেন। যাইহোক আমারা যে সময়টাতে বান্দরবান গিয়েছিলাম ওই সময়টা শীতের কিছুটা শেষের দিকে। আমাদের এখানে তেমন কোনো ঠান্ডা ছিল না। কিন্তু ওখানে গিয়ে দেখছি প্রচন্ড ঠান্ডা। যেহেতু এটি একটি পাহাড়ি অঞ্চল তাই ঠান্ডা হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই ব্যাপারটি আমাদের একদমই মাথায় ছিল না । আমরা বাসা থেকে যাওয়ার সময় শীতের কোন গরম জামা কাপড়ই নিয়ে যায়নি। যার কারণে অনেক বড় একটি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে আমাদেরকে। আমরা ভেবেছিলাম যে আমরা তো ওখানে রাতে থাকবো না তাই এত জামা-কাপড় নিয়ে কি হবে। কিন্তু পরে বুঝতে পারছি যে গরম জামা কাপড় নেওয়াটা কতটা জরুরী ছিল। বান্দরবান হচ্ছে একটি পাহাড়ি অঞ্চল। তাই ওখানে যেতে হলে পাহাড়ের ভিতর ছোটখাটো আঁকাবাঁকা রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। আর পাহাড়ের আঁকাবাঁকা রাস্তাগুলোতে গাড়ি চালানোটা খুবই বিপদজনক হয়ে পড়েছে। কেননা ঘন কুয়াশায় সামনের কোন কিছুই দেখা যা ছিল না।




peru-gf2bfd6845_1920.jpg
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।

তাই কিছুদূর যাওয়ার পর সকল যাত্রীদেরকে জানিয়ে দেওয়া হয় বাস কুয়াশার জন্য আর সামনে যেতে পারবে না তাই এখানে যে যার মতো করে নেমে যেতে হবে। তাই ওখানে আমরা নেমে পড়লাম। আমরা যখন বাস থেকে নামলাম তখন সম্ভবত সকাল ৮টা বাজে। বাস থেকে নেমে কিছুদূর হাঁটতে চোখে পড়ল একটি টং এর দোকান। ওখানে গিয়ে এক কাপ চা হাতে নিয়ে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে লাগলাম। অসম্ভব সুন্দর একটি জায়গা। যতদূর চোখ যায় শুধু পাহাড় আর পাহাড়। যদিও কুয়াশার কারণে বেশিদূর দেখা যাচ্ছিল না। কিন্তু যতটুকু দেখতে পাচ্ছি ততটুকুই যেন চোখ কেড়ে নিচ্ছে। কিন্তু দক্ষিণা বাতাসে শীতল হাওয়া আমরা সকলেই ঠাণ্ডায় কাঁপতে লাগলাম। কেননা আমি আগেই বলেছিলাম বাসা থেকে যাওয়ার সময় কোন শীতের জামা কাপড় নিয়ে যায়নি। আশেপাশে কিছু জায়গায় কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করলাম। এরপর যখন বেলা বাড়লো রোদ উঠলো কুয়াশা গুলো কিছুটা পরিষ্কার তখন একটি গাড়ি নিয়ে কিছু দর্শনীয় স্থানে গেলাম । বেশি জায়গায় ঘুরতে পারিনি। কেননা সন্ধ্যার আগে আমরা বাস ধরতে হবে। তাই ঘুরাফিরা শেষ করেই বিকেল চারটার দিকে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দিলাম। যদিও এই বান্দরবান ট্যুর টা নিয়ে আমাদের সবারই অনেক প্ল্যান ছিলো। কিন্তু সকল প্ল্যান বাস্তবায়ন হয়নি। যেহেতু আমরা সকলেই প্রথমবারের মতো বান্দরবান গিয়েছিলাম। তাই অনেকে স্থানের নামেই আমাদের অজানা। অথচ ওই সব স্থানগুলোতে আমরা গিয়েছিলাম।

এটাই ছিল আমার জীবনের প্রথম ফ্রেন্ডের সাথে ট্যুর এ যাওয়ার অভিজ্ঞতা। এই ট্যুরটা নিয়ে আমি খুবই সংক্ষিপ্ত ভাবে আলোচনা করেছি। অনেক ঘটনা এখানে বাদ পড়ে গেছে। আর আপনাদের সাথে শেয়ার করার মত ওইকম কোন ছবি আমার কাছে নেই। কেননা তখন আমাদের কাছে স্মার্টফোনে এভেলেবেল ছিল না। তাই অনেক মজার মুহূর্তগুলো ও ক্যামেরাবন্দি করে রাখতে পারিনি।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 3 years ago 

বান্দরবান এই জায়গাটি নাম অনেক শুনেছি। নাম শুনে যেতে মন চায়। তবে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা।আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো।শুভকামনা রইলো ভাইয়া।

 3 years ago 

ভাইয়া আমি তো প্রথম ছবিটি থেকে মনে করেছি আপনি কোন দেশের বাহিরে ভ্রমণে গিয়েছেন । বাংলাদেশ তো এমন ঝরনা নেই।অসাধারণ একটি ছবি ছিল প্রথমটা পরে দেখলাম না ঘুরতে যান নি। আমিও ঘুরতে পছন্দ করি তবে কখনো কক্সবাজার বান্দরবান যাওয়া হয়নাই ।আশা করছি খুব শীঘ্রই যাওয়া হবে আমাদের ।ডিপার্টমেন্ট থেকে আমাদের অফিশিয়াল কিছু টুর থাকে ।যা করোনার কারণে হয় নাই আশা করছি জানুয়ারিতে আমাদের সেই কাঙ্খিত ভ্রমণ টি হবে। সম্ভবত কক্সবাজার ,সেন্টমার্টিন, বান্দরবান ,খাগড়াছড়ি ,রাঙামাটি সাতদিনের একটি বিশাল ট্যুর হবে ।আর আপনার জীবনে প্রথম বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা অনেক ভালো লেগেছে।

 3 years ago 

দেশের বাহিরে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সেই সৌভাগ্য এখনো আমার হয়ে ওঠেনি।
এখনো বাংলাদেশের অনেক দর্শনীয় স্থানেই ঘুরতে যাওয়ার বাকি রয়ে গেছে। আগে বাংলাদেশের সব দর্শনীয় স্থানে ঘুরে নিই তারপরে দেশের বাহিরের কথা চিন্তা করা যাবে। কেননা আমাদের বাংলাদেশ ও অনেক সুন্দর সুন্দর দর্শনীয় স্থান রয়েছে।

 3 years ago 

হ্যা একদম ।৬৪ জেলা ঘুরে দেখুন ভাইয়া ।আর আপনাদের ঐ দিকে অনেক জায়গা আছে ।

 3 years ago 

আমি মনে করি, জীবনের সবথেকে সুমধুর সময় গুলো কাটে ছাত্র জীবনে। ওই সময়টা মানুষের জীবনে এমন একটি সময়, যে সময়টাতে মানুষ জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করে। জীবনে এত গুরুত্বপূর্ণ সময় হওয়া সত্বেও প্রত্যেকে এই জীবনটাকে খুবই উপভোগ করে।
আমিও এর ব্যতিক্রম নয়।আমি আমার ছাত্র জীবনের সময়টাকে অনেক উপভোগ করেছি।

সত্যি ভাইয়া ছাত্র জীবনের মতো আর কোনো জীবন হয় না।
যদিও আমার কখনো কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি। আম্মু আব্বু দিতে চাইতো না মেয়ে বলে।মেয়েরা নাকি বাসায় থাকে। তাই তেমন কোথাও যাওয়া হয়নি বান্ধবীদের সাথে।

ভাইয়া আপনার জীবনের প্রথম ফ্রেন্ডদের সাথে
বান্দরবান ট্যুর দারুণ হয়েছে ভাইয়া।
সেই খানে কাটানো সময় গুলো অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার জীবনের প্রথম ফ্রেন্ডদের সাথে ট্যুরে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের শেয়ার করার জন্য।

 3 years ago 

ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মতামতের জন্য।

 3 years ago 

স্কুল লাইফের বন্ধু আর স্কুল লাইফের স্মৃতি জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ আমাদের সবার কাছে। জীবনে বড় হয়ে যতই মজা করেন কিন্তু পুরোনো এই স্মৃতি গুলোকে আঁকড়ে ধরেই সব সময় বাঁচতে ইচ্ছে করবে। খুব ভালো লাগলো দাদা লেখাটা পড়ে। বান্দরবন জায়গাটার নাম আমিও অনেক বার শুনেছি। তাই যাওয়ার ইচ্ছেও খুব। একটা ভালো সুযোগের অপেক্ষায় আছি।

 3 years ago 

বান্দরবান বাংলাদেশর অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান। খুবই সুন্দর একটি জায়গা। যদি কখনো সুযোগ পান তাহলে নিশ্চয় একবার বান্দরবানে ঘুরতে যাবেন ।

 3 years ago 

দুঃখের বিষয় হচ্ছে চট্টগ্রামে থাকা সত্ত্বেও এখনো বান্দরবান যাওয়া হয়নি। আপনার গল্পটি পড়ে এখন আমার যেতে ইচ্ছে করছে । তবে ব্যাপারটা আমার কাছে মজা লাগলো যে আপনারা স্থানগুলোতে গিয়েছেন কিন্তু আপনারা জানেন না। অর্থাৎ নাম অজানা থাকার কারণে ব্যাপারটি হয়েছে। আমার ক্ষেত্রেও এটাই হয় আমি কোনো কিছুর ক্ষেত্রে আগে আম্মুকে রাজি করাই আর এরপর আম্মু আব্বুকে রাজী করায়। বিষয়টা আমার মনে পরে গেল হঠাৎ করে।

 3 years ago 

আমি জীবনে এই প্রথম বান্দরবান ঘুরতে গিয়েছিলাম তাই অনেক স্থানের নাম জানতাম না। আর অনেক জায়গায় ঘুরা হয়নি আমার কেননা দিনে গিয়ে দিনে আসতে হয়েছে। কিন্তু এখন গেলে হয়তো সব স্থানের নাম জানতাম।

ছাত্র জীবন আসলেই খুবই স্মৃতি জড়িত হয়। আমিও আমার প্রথম ট্যুরে বন্ধুদের সাথে গিয়েছিলাম কক্সবাজারে। আপনার ট্যুরের অভিজ্ঞতা শুনে ওদের কথা মনে পড়ে গেল। খুবই মিস করি বন্ধুগুলোকে। এক দিনের ট্যুরে আসলে বান্দরবান ভ্রমণ টা কমপ্লিট করা যায় না। আমারও প্ল্যান আছে একবার বান্দরবান ঘুরে আসার। একটু হাতে সময় নিয়ে গেলে বেশ উপভোগ করা যায় বাংলার এক অপরূপ সৌন্দর্যের প্রতীক বান্দরবান কে।

 3 years ago 

ছাত্রজীবনের স্মৃতি আসলেই ভুলার নয়। বান্দরবানের দৃশ্য গুলো আসলেই অনেক সুন্দর আপনার ছবির মাধ্যমে ফুটে উঠেছে। কিছুদিন আগে কক্সবাজার ঘুরতে গিয়েছিলাম সেখান থেকে বান্দরবান যাওয়ার কথা ছিল। হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত পাল্টে নেওয়াতে আর যাওয়া হয়নি। এখন মনে হচ্ছে অনেকটা মিস করে ফেলেছি। আশা রাখছি পরবর্তীতে বান্দরবান যাওয়ার। আপনার গল্পটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। বান্দরবান যাওয়ার ইচ্ছে আরো বেড়ে গেল।

 3 years ago 

আপনাদের ট্যুরটি ভালোই ছিল ভাইয়া।তবে সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ফিরে আসলে ভ্রমণের তেমন কোনো মজা পাওয়া যায় না বলে আমি মনে করি।কারণ যেহেতু স্থানটি অনেকটা বড়ো ,তাই সময় লাগাটা স্বাভাবিক।তাছাড়া ভ্রমণটা দিনের দিন হলে রাস্তার দৃশ্যগুলিই দেখতে দেখতে সময় কেটে যায় অনেকটা।ধন্যবাদ ভাইয়া।

 3 years ago 

ঠিকই বলেছেন দিদি, দিনে দিনে বাড়ি ফিরে আসলে ভ্রমণের তেমন মজা পাওয়া যায় না। কিন্তু আমাদের পক্ষে ওখানে থাকাটা সম্ভব ছিল না কেননা জীবনে প্রথমবারের মতো পরিবারের কাউকে ছাড়া একা ঘুরতে যাওয়া তাই পরিবারের কেউ ওখানে থাকাটা তে রাজি হচ্ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে দিনে দিনেই বাড়ি ফিরে যেতে হয়েছে।

 3 years ago 

বুঝতে পেরেছি ভাইয়া, আমাকে ও আমার বাড়ি থেকে বাইরে ঘুরতে দিতে কেউ রাজি হয়না।শুধু পরিবারের সাথেই যাওয়া হয়।

 3 years ago 

আপনি আপনার ছাত্র জীবনে কাটানো দারুন একটি মুহূর্তের কথা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন এটা জেনে অনেক ভালো লাগলো। তবে মাঝে মাঝে প্রকৃতির কাছাকাছি বা পাহাড়ি অঞ্চলে ঘুরে আসতে অনেক ভালো লাগে। পাহাড় আমার অনেক পছন্দের। তবে মন চাইলেই ঘুরতে যাওয়া হয়না এটাই হচ্ছে বাস্তব কথা। মাঝে মাঝে কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যাই। আপনার লেখাগুলো যখন পড়ছিলাম তখন কল্পনায় সেই রাজ্যে হারিয়ে গিয়েছিলাম। তবে আমার মনে হচ্ছে আপনার ছাত্র জীবনে বন্ধুদের সাথে প্রথম ট্যুরের অভিজ্ঞতাটি ভালোই ছিল। শুধুমাত্র শীতের জামা নিয়ে গেলে আর একটু ভালো হতো। যাইহোক বিভিন্ন অঞ্চলের আবহাওয়া বিভিন্ন রকম হওয়ার কারণে হয়তো একটুখানি ভুল হয়ে গেছে। একটু ভুল হয়েছে বলেই আজও সেই ঘটনাটি মনে রয়েছে। আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো মনে রেখেছেন এবং আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন এটাই অনেক বেশি। ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago 

আমি যখন আপনার পোস্টটি পড়ছিলাম তখন আমার ছোট বেলার কথা গুলো মনে পড়ে গেল। আমার বাবার কর্মসূত্রে আমি বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় থাকার সুযোগ পেয়েছি। পাহাড়ের কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা বসতির মধ্যে ছিল আমার বসবাস। সেই সময় গুলোর কথা মনে হলে এখনো মন চায় ছুটে চলে যেতে। আপনার পোস্টটি পড়ে সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল। সত্যি কথা বলতে পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য অন্য কিছুর সাথে তুলনা করা যায় না। সৃষ্টিকর্তার অপরূপ সৌন্দর্য ঘিরে রেখেছে এই পাহাড়ি অঞ্চল গুলো। যেদিকে তাকাই শুধু মাত্র বিস্তৃত পাহাড় সেই মুহূর্তগুলো সত্যিই অনেক স্মরণীয়। হয়তো আমার বাবার কর্মসূত্রে বিভিন্ন জায়গায় থাকার সুযোগ হয়েছে বলেই এই যায়গা গুলোতে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। এখন আর মন চাইলেও হয়তো কোনদিন যাওয়া হবেনা। আপনি অনেক সুন্দর করে আপনার বন্ধুদের সাথে প্রথম ট্যুরের গল্পগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন এটা জেনে অনেক হলাম লাগলো। জীবনে প্রথম অভিজ্ঞতাগুলো সবসময়ই আমাদের কাছে স্মরনীয় হয়ে থাকে। আমি এই কামনাই করি সব সময় আপনার সেই সুন্দর স্মৃতিগুলো আজীবন আপনার মনে এভাবেই সজীব হয়ে থাকুক।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.13
JST 0.026
BTC 57372.40
ETH 2456.19
USDT 1.00
SBD 2.41