"জুস এক্সপ্রেস "এ একদিন জুস খেতে যাওয়া।
আজ - ২২ই, কার্তিক |১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
যাই হোক, আমাদের এলাকার বেশ কাছেই একটি জুস বার এবং ক্যাফে খোলা হয়েছে তাও আবার বেশ কয়েক মাস আগে। তবে আমার তা জানা ছিলনা। কিন্তু কিছুদিন ধরে ফেসবুকের কয়েকটি ফুড রিভিউ পোস্ট এ এই দোকানটির সম্পর্কে রিভিউ দেখেছি। আর ওখান থেকে আমি এই ক্যাফেটি সম্পর্কে জানতে পারি। যদিও এই দোকানে আশেপাশে কয়েকবার আমরা আসা যাওয়া হয়েছে তবে তখনো তা খেয়াল করে দেখি নিই। যাই হোক, এলাকার এত কাছেই যেহেতু দোকানটি তাই ঠিক করে নিয়েছি কোন এক সময় যাবো এখানে। তো যেমন ভাবা তেমন কাজ। একদিন হঠাৎ ভরদুপুরে ঠান্ডা জুস খেতে চলে গেলাম 'জুস এক্সপ্রেসে'।
যদিও দোকানটি খুবই ছোট এবং মেইনরোড এর একদম পাশেই । এই দোকানটিতে মূলত ডেজার্ট, জুস ও কোলড্রিংস জাতীয় পানীয় পাওয়া যায়। আর অনেক ধরনের কানেকশন রয়েছে জুসের। দোকানের সামনে বেশ বড় একটি মেনু কার্ড এর ব্যানার রয়েছে। যার কারণে দাম এবং পছন্দের আইটেমটি নির্বাচন করতে সুবিধা হয়।
যাই হোক আমি একটি অরেঞ্জ জুস এবং কার্বনের ড্রিংকস এর মধ্যে - লিচি এবং লেমন স্পেশাল ড্রিংকস দুইটি অর্ডার করি। আর তার সাথে একটি জার কেক ও অর্ডার করেছিলাম । তবে তারা জানায় আপাতত অরেঞ্জ জুসটি তাদের কাছে এভেলেবেল নেই। তাই কি আর করার লেমন এবং লিচির অর্ডার দুটো নেয় তারা। জুসের দুই ধরনের সাইজ রয়েছে একটি ছোট এবং আর একটি বড়। তবে আমি ছোটটাই অর্ডার দিয়েছি। কেননা যেহেতু প্রথম বার ট্রাই করছি তাই ভাবলাম বড় সাইজটা না নিয়ে ছোট সাইজটাই নেওয়ায় ভালো হবে। কেননা এটি খেতে কেমন হবে এবং এর টেস্ট সম্পর্কে আমার পূর্ব কোন ধারণা ছিল না। যাইহোক দুপুরের ওই সময়টাতে মানুষের কিছুটা ভিড় থাকার কারণে এবং কর্মচারী না থাকার কারনে কিছুটা দেরি হচ্ছিল তাদের জুস গুলো দিতে। আর আমি যেহেতু রেপিং করতে বলেছিলাম তাই আরো কিছুটা সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল ওখানে।
এটি হচ্ছে ওদের কার্বনেটেড ড্রিঙ্কস এর কালেকশন এখানে ওদের প্রায় ১০ ধরনের ডিফরেন্ট ডিফরেন্ট ফ্লেভারের ড্রিংস রয়েছে। তবে আমি শুধুমাত্র দুইটি ফ্লেভারের নিয়েছি। তবে পরবর্তীতে কোন এক সময় আবার গেলে বাকিগুলো ও টেস্ট করা হবে নিশ্চয়।
জার কেকটির দাম ১৩০ এবং ড্রিংকস দিইটির ৪০ টাকা। তার মধ্যে নতুন কাস্টমার হওয়ায় কিছু ডিসকাউন্ট দিয়েছেন।
দোকানের ডেকোরেশনটা খুব দারুণ এবং আকর্ষণীয়। যদি ও ওখানে ভিতরে বসার কোন জায়গা নেই। তবে বাহিরে কয়েকটি টুল দেওয়া আছে। তাই চাইলে ওখানে বসে আড্ডা দিতে দিতে খেতে পারে।
এটি হচ্ছে দোকানের সামনের দৃশ্যটি। যদি ও দোকানের সামনে অনেক মানুষট থাকার কারনে খুব একটা ভালো ভাবে ছবি তোলা যাচ্ছিল না।
জার কেকটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে এবং পরিমাণে ও অনেক বেশি ছিল। এবং কেকটি ফ্রেশ এবং খুব সফট ছিল। এছাড়াও ঠান্ডা ঠান্ডা ড্রিংস এর সাথে বেশ ভালো লাগছিল খেতে। এর আগে ও অনেক জায়গায় জার কেক খাওয়া হয়েছে তবে আমার কাছে মনে হয় এই দোকানের জার কেকটা কোয়ালিটি এবং কোয়ান্টিটি বেশ ভালো।
যাই হোক সর্বশেষ একটি জুস হাতে আর একটি খেতেখেতে হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফেরা। প্রচন্ড রোদে ওই মুহূর্তে ঠান্ডা ঠান্ডা ড্রিংকস গুলা খেতে আসলেই এক প্রশান্তি কাজ করছিল।
এই ছিল আমার আজকের আলোচনা। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ। পরবর্তীতে দেখা হবে অন্য কোনো বিষয়ে অন্য কোনো আলোচনাই।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
শরীর ও মন ভালো রাখার জন্য দুপুর বেলায় জুসের কোন তুলনা নেই।জুস এক্সপ্রেস নামটি অনেক সুন্দর। আপনি দুটো জুস খেয়েছেন।আবার কিছু ডিসকাউন্ট পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে ডিসকাউন্ট পেলে সবারই ভালো লাগে।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মূহুর্তটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
সত্যি ভাইয়া শরীর এবং মন একটি অন্যটির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আসলে শরীর যদি খারাপ থাকে তাহলে মন ভালো থাকে না। কিংবা কোন কারণে যদি আমাদের মন খারাপ হয়ে যায় তখন শরীর ভালো থাকলেও খুব একটা ভালো লাগে না। আসলে মনের সমস্যাগুলো হয়তো কাউকে দেখানো যায় না কিন্তু ভেতরে ভেতরে সত্যিই অনেক খারাপ লাগে। যাইহোক ভাইয়া জুস এক্সপ্রেস দোকানটি সত্যি অনেক সুন্দর। জুস এক্সপ্রেস দোকানটি ছোট হলেও একেবারে আইসক্রিম এবং বিভিন্ন রকমের লোভনীয় খাবার দিয়ে ভরপুর। দুপুর বেলায় এরকম আইসক্রিম খেতে বেশ ভালই লাগবে। যেহেতু নতুন কাস্টমারদের জন্য ডিসকাউন্ট আছে তাহলে তো আরো ভালো হয়েছে।
ইশ ভাইয়া আমার তো দেখেই খুব খেতে ইচ্ছে করছে। যেমন ড্রিঙ্কস তেমন কেক। ঠিক বলেছেন গরমের সাথে এমন ঠান্ডা ড্রিংকস বেশ জমে যায়। জার কেক টি দেখে খুবই লোভনীয় মনে হচ্ছে ভিতরে আইসক্রিম ব্যবহার করা হয়েছে। ঠিক বলেছেন ভাইয়া দোকানে ডেকোরেশন টা দেখতে বেশ ভালো লাগছে, তবে যদি ভিতরে বসে খাওয়ার সিস্টেম থাকতো তাহলে আরো বেশি ভালো লাগতো।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া সুস্থ থাকার জন্য শরীর এবং মন দুটোই সুস্থ থাকা খুবই জরুরী।তার জন্য চাই সুন্দর পরিবেশ এবং স্বাস্থ্যসম্মত ও দূষণমুক্ত খাবার।বাড়ির পাশেই এমন সুন্দর একটি জুসের দোকান থাকলে তো আর কোন কথাই নেই।আপনার জন্য অনেক সুবিধা হয়েছে। মাঝে মাঝে গিয়ে মজার মজার কেক আর জুস খেতে পারবেন।আমার কাছে জার কেক টা অনেক লোভনীয় মনে হচ্ছে।দেখে তো লোভ সামলাতে পারছিনা। মন চাচ্ছে এখন খেয়ে নিতে।
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
জার কেকটার ছবি দেখেই বেশ আর্কষনীয় লাগছে।আমার এই রকম চকলেট জার কেক খুব ভালো লাগে।আসলেই জুস বার টা দেখতে সুন্দর লাগছে।নামটা বেশ সুন্দর জুস এক্সপ্রেস। ভালো ছিলো।ধন্যবাদ
আমায় এই দোকানে নিয়ে গেলে আমি মনে হয় শোকেসে থাকা সব কিছু খেয়ে ফেলবো। কি দারৈ দারুণ সব কিছু। দেখেই মনে হচ্ছে ঝাপিয়ে পড়ি। আপনি কোল্ড ড্রিংক আর জার কেকেই থেমে গেলেন? আমি যা পেটুক,আমার এতে হতই না। 😋
একদম ঠিক ভাইয়া,শরীর ও মন দুটি একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িত।ভাইয়া, আপনার এলাকায় জুস বার অথচ আপনি খেয়াল করেন নি।দোকানটি ছোট হলেও মেনু কার্ড এর ব্যানার দেখে মনে হচ্ছে হরেক রকমের জুস পাওয়া যায়।জার কেক আমার কাছে ও বেশ ভালো লাগে।সুন্দর সময় পার করেছেন, ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া মন খুব ছোট একটা জিনিস অথচ দেখেন পুরো শরীরটাকে সে কন্ট্রোল করে। মন ভাল না থাকলে আসলে কিছুই ভাল লাগে না।আপনি ভাইয়া জুস এক্সপ্রেসে গেলেন,এখানে তো দেখছি অনেক কিছুই পাওয়া যায়। নতুন আর ছোট হলেও জিনিসের তো কমতি নেই।নতুন দোকান,তাই ডিসকাউন্ট। সব মিলিয়ে ভালোই লাগলো। অনেক শুভকামনা আপনার জন্য ভাইয়া।