মিতব্যায়িতা মানেই কিন্তু কৃপণতা নয়।
আজ - ৮ই আষাঢ় |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | বর্ষা-কাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
আসলে সমাজে চলতে হলে সমাজ রক্ষা করার জন্য অনেক কিছুই করতে হয়। যেখানে যতটুকু যা প্রয়োজন অতটুকুও না করলেই নই। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি মানুষকে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে যেখানে মানুষ না চাইতে কৃপণতার তালিকায় নাম লেখা তো হচ্ছে।
আসলে মিতব্যায়িতা কখনোই কৃপণতা হতে পারে না। কৃপণতা এবং মিতব্যায়িতা দুইটি ভিন্ন জিনিস। একটি সাথে একটি মিনালে কখনোই হবে না। এক শ্রেণীর লোক যারা কিনা অতি প্রয়োজনিয় খরচ টাকেও বাদ দিতে চাই। এবং স্বভাবগতভাবে সবকিছুতেই তারা এমন কাজটা করে থাকে আর মিতব্যায়িতা হল প্রয়োজনের খরচ টাকে কিভাবে আরেকটু কমানো যায় সেই হিসাব কষা ।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
আসলে দিন দিন দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতির ফলে নিম্ন শ্রেণীর মানুষগুলোর সাথে সাথে নিম্ন মধ্যবিত্ত কিংবা মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষগুলোরও হিমশিম খেতে হচ্ছে খরচ পোষাতে গিয়ে। প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, যা আসলে হাতের নাগালের বাহিরে । বর্তমানে এমন কোন জিনিস নেই যে যার দাম বাড়েনি। প্রতিটা জিনিসের মূল্য ২-৩ গুণ করে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু মানুষের আয় রোজগার কিংবা কর্মক্ষেত্র সেই অনুযায়ী বাড়েনি। বর্তমানে এমনও মানুষ আছে যারা কিনা আনুষঙ্গিক খরচ গুলো বাদ দিয়ে শুধু মাত্র যে পেটে ভাতে থাকতেও তাদের কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শহরে থাকা মানুষগুলো তো সব থেকে বেশি করুন অবস্থা। তাই মানুষ কি করবে বাধ্য হয়ে কৃপণতার খাতায় নাম লেখাতে হচ্ছে তাদের। প্রত্যেকেই চাচ্ছে কিভাবে একটু খরচ কমানো যায় কিংবা স্বল্প প্রয়োজনীয় জিনিসটাকে বাদ দিয়ে চলা যায়।
আসলে আমি বাজার করতে খুবই পছন্দ করি আগে যখন ফ্রি ছিলাম তখন বাসায় কাঁচা বাজারটা আমি নিজ হাতেই করতাম। বাজারে গিয়ে ভালো-মন্দ যাচাই করে জিনিসপত্র কেনার ওই বিষয়টা আমার কাছে বেশ ভালই লাগতো। তবে এখন আর সেভাবে বাজারে যাওয়া হয়না। আসলে সময় হয়ে উঠে না বাজারে গিয়ে সে আগের মত নিজে পছন্দের বাজার গুলো কিনে আনার। তাই ইদানিং খুব একটা বাজারে যায় না। তবে ঐদিন মনে হল একটু বাজারে যায়। মোটামুটি যেহেতু অনেক দিন পরে বাজারে এসেছি অনেকদিন বলতে প্রায় ৪-৫ মাস পর বাজারে এসেছি বাজার করতে। তাই সাধারণভাবেই বর্তমানে বাজারের জিনিসপত্রের দাম সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না । কিন্তু প্রতিটি জিনিসের দাম শুনে আমি তো রীতিমতো হতভম্ব হয়ে গেলাম। কেননা যেখানে কিছুদিন আগেও পর্যন্ত প্রতিটি জিনিসের যে দাম ছিল বর্তমানে সে জিনিসগুলোর দাম দুই তিন ডাবল হয়ে গিয়েছে। আসলে কিছুই করার নেই পরিস্থিতির শিকার আমরা।
আসলে আমরা তো যাও খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকতে পারবো কিন্তু ওই সকল মানুষগুলোর কথা ভেবে আফসোস হচ্ছে যারা কিনা দিনে এনে দিন খায়। তাদের কত টাই না খারাপ অবস্থা। সত্যি আমার মাথায় ঢুকে না তারা কিভাবে এই পরিস্থিতিতে টিকে থাকবে।
আসলে বর্তমানে এই পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে হলে আমাদের প্রত্যেকেরই মিতব্যায়িতা হতে হবে। আর এই মিতব্যায়িতা মানেই কিন্তু কিপ্টেমি নয়।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন ভাইয়া। উপরের কথা গুলো একদমই ঠিক বলেছেন। বর্তমান পরিস্থিতি খুব খারাপ। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া চমৎকার একটি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য।
দ্রব্যমূল্যের দাম সত্যি অনেক বেড়ে গেছে। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনা সাধারণ মানুষের কাছে আরো বেশি কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসলে এই সময় হিসেব করে চলা অনেক দরকারী। হিসাব করে চললে ভবিষ্যতের জন্য যেমন সঞ্চয় করা যাবে তেমনি অপচয় হবে না। ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
মিতব্যয়িতা নিয়ে দারুন লিখেছেন ভাইয়া। আসলে বর্তমান সময়ে টিকে থাকতে হলে মিতব্যয়িতার প্রয়োজনীয়তা অনেক।সবকিছুর দাম যেভাবে হুর হুর করে বাড়ছে।আমাদের মতো সাধারন মানুষের জন্য খুবই কষ্টদায়ক।তাইতো আমাদের মিতব্যয়িতার অভ্যাস করে যেতে হবে ভালো থাকতে হলে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি বিষয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
বর্তমান সময়ে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুলোর মূল্য যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, সে ক্ষেত্রে আমরা যদি একটু হিসাব করে না চলি তাহলে আমাদের চূড়ান্তভাবে আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হতে হবে। তাই সার্বিক দিক বিবেচনা করে, অত্যন্ত হিসাব-নিকাশ করে অর্থ খরচ করার মধ্য দিয়ে পরিবারের আর্থিক ভারসাম্য বজায় রাখাকে কোনভাবেই কিপ্টেমী বলা যাবে না। যাহোক চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য প্রিয় ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।