খাওয়ানোর মধ্যেও যেন আনন্দ লুকিয়ে রয়েছে।

in আমার বাংলা ব্লগlast month

আজ- ১০ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বর্ষাকাল


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।



কেমন আছেন সকলে? আশা করছি ভাল আছেন। দিনগুলো কেমন জানি ঈদের খুশি মত মনে হচ্ছে। কারণটা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। হ্যাঁ! ইন্টারনেটের কথাই বলছি। আজ কতগুলো দিন পর আমরা ইন্টারনেট আবারও হাতে পেয়েছি। ইন্টারনেটে আমাদের জীবনে কতটা গভীরভাবে মিশে আছে তা হয়তো আমরা সঠিকভাবে প্রলব্ধি করতে পারতাম না যদি না, এই ইন্টারনেট ছাড়া আমাদের এই কয়েকটা দিন কাটাতে হতো। ইন্টারনেট বিহীন এই কয়েকটা দিন জীবনে ভিন্ন এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলাম বলতে গেলে।

২০২০ সালের দিকে চারদিকে যখন মরণঘাত ভাইরাসে পুরো বিশ্ব অচল এবং দিনের পর দিন লকডাউনে বন্দী হয়ে জীবন কাটাতে হয়েছে তখনও যেন এতটা অস্বাভাবিক অবস্থায় পড়তে হয়নি ইন্টারনেট ছাড়া এ কয়েকদিন আমাদের যে অবস্থায় পড়তে হয়েছে। প্রতিটা মিনিট, প্রতিটা সেকেন্ড, যেন অনেকটা দীর্ঘ। সময় গুলো যেন কোন ভাবেই কাটতে চায় না। এক একটা দিন মনে হয় যেন এক একটা বছরের সমান।

আর প্রতিটা দিন মোবাইল হাতে নিয়ে বসে থাকা হয়তো এই বুঝি ইন্টারনেটে এলো এমন এক চিন্তায়। কিন্তু অবশেষে এই চিন্তার অবসান ঘটলো। তবে এখন অনেকটা আশঙ্কা রয়েছে ইন্টারনেট কতদিন থাকবে, কখন আবার সরকার হুট করে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়। এই কয়েকটা দিন ইন্টারনেট বিহীন " আমার বাংলা ব্লগে " প্রত্যেকটা মানুষকে খুব বেশি মিস করেছি।

আমাদের যেখানে সারাটা দিন এই "আমার বাংলা ব্লগ " এর মধ্যে দিয়েই কাটে সেখানে এতগুলো দিন এই কমিউনিটি ছাড়া কাটানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। যাইহোক পরিস্থিতি যেমনি হোক না কেন তার সাথে আমাদের কষ্ট হলেও মানিয়ে নিতে হবে। এছাড়া কিছুই আর করার নেই।

যাইহোক, আজকে আপনাদের সাথে বাসায় করা ছোট্ট একটা আয়োজন নিয়ে আলোচনা করব। অনেক আগে থেকে প্ল্যান কিছু মানুষ খাওয়ানোর তবে সময় এবং সুযোগ হয়ে উঠছিল না তাই আর সে আয়োজনটার করে হয়ে উঠছিল না। তাছাড়া এতগুলো মানুষের আয়োজন করাটাও সহজ কোন ব্যাপার নয়। অনেকটা ঝামেলার আর আম্মু কিছুদিন অসুস্থ ছিল। তাই সবকিছু আর হয়ে উঠছিল না। তবে ঐদিন সবকিছু ম্যানেজ করে কিছু মানুষ খাওয়ানোর আয়োজন করেছিলাম।

1000036661.jpg

1000036654.jpg

যেহেতু বাসা পাঁচতলা তাছাড়া চারিদিকে কারফিউ চলছে তাই ফকির মিসকিনদেরকে বাসায় এসে খাওয়ানোর সে আয়োজনটা বাদ দিয়ে পরিকল্পনা করেছিলাম যে প্যাকেট করে সকলকে হাতে হাতে দিয়ে আসবো। এতে খুব সুবিধা হবে। তো যে ভাবা সেই কাজ। সেদিন জোহরের একটু আগেই বেরিয়ে পড়েছি বিরিয়ানির প্যাকেট গুলো নিয়ে । কেননা নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হলে দেখা যায় তখন অনেক মানুষ থাকে আর অতগুলো মানুষের আয়োজন যেহেতু করা হয়নি তাই কেউ পাবে কেউ পাবে না জিনিসটি খারাপ দেখায় তাই চিন্তা করলাম মানুষ অল্প থাকতে তাদের মাঝে বন্টন করে দেওয়ার।

আসলে দেখবেন নিজে খাওয়ার থেকে খাওয়ানোর মধ্যে একটা আলাদা ভালোলাগার অনুভূতি কাজ করে। আপনি যখন মন থেকে কারো জন্য কিছু করবেন তখন আপনার মন এমনিতেই প্রশান্ত হয়ে উঠবে।

যাইহোক, এই ছিল আমার সেদিনকার ছোট্ট একটা আয়োজন। আজ তাহলে এখানেই বিদায় নিচ্ছি সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী দিন আবার ও ভিন্ন কোন আলোচনা নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  
 last month 

আপনি খুব সুন্দর বর্ণনা দিলেন আসলে এত বিপাকে কোনদিন পড়তে হয়নি নেটওয়ার্ক নিয়ে। যেহেতু সারাদিন আমরা কমিউনিটিতে সময় দেওয়ার চেষ্টা করি অন্যান্য কাজের ফাঁকে। সেই সুযোগটা যখন আমাদের থেকে ইন্টারনেট বন্ধ করে কেড়ে নিলো অস্থিরতায় ভুগছিলাম। যখন ইন্টারনেট হাতে পেলাম যেন বিশ্বজয় করে ফেলেছি এমন আনন্দ অনুভব করতে পেরেছি। যাক এই বন্ধের দিনে আপনি খুব সুন্দর একটি কাজ করে নিলেন। বিরিয়ানি রান্না করে সবাইকে প্যাকেট দিয়ে দিলেন বেশ ভালো একটি কাজ করে নিলেন।

 last month 

বিগত কয়েকদিন আমাদের কমিউনিটির সবাইকে সত্যিই খুব মিস করেছি। এককথায় বলতে গেলে ইন্টারনেট ছাড়া প্রতিটি মুহূর্ত বেশ কষ্টে কেটেছে। যাইহোক বাসায় বিরিয়ানি রান্না করে সবার মাঝে বিলিয়ে দিয়েছেন, এটা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। আসলেই কাউকে খাবার খাওয়ানোর মধ্যে অন্য রকম আনন্দ কাজ করে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 58020.27
ETH 2464.76
USDT 1.00
SBD 2.37