অলস মস্তিষ্ক।
আজ - ২৩শে আশ্বিন |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | শরৎকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
![mechanical-2033446_1280.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmcyLc3cA9KH35x4s2pqGaKrmLM2AAbjyw8MUSR5sApydd/mechanical-2033446_1280.jpg)
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
যে কোন কিছু খুব সহজে ভুলে যাওয়া এগুলো তো নিতান্তই বৃদ্ধ বয়সের লক্ষণ তবে আমাদের মতো ইয়াং জেনারেশনের যদি এই ভুলে যাওয়ার সমস্যাটা হয় তাহলে কি করা যায় বলুন তো। আসলে এই সকল বিষয়গুলোর জন্য কিন্তু আমরা নিজেরাই নয় বরং আমাদের অলস মস্তিষ্ক দায়ী।
যেকোনো লোহার জিনিসকে আমরা যতই ব্যবহার করব ততই ওই জিনিসটি ধারালো থাকবে কিন্তু ওই জিনিসটিকে যদি আমরা ফেলে রাখি ব্যবহার না করে। তাহলে ওই জিনিসটিতে মরীচিকা ধরে নষ্ট হয়ে যাবে। আমাদের মস্তিষ্ক টা অনেকটা ওরকমই। আমাদের ওই মস্তিষ্কটাকে যত আমার সচল রাখবো ব্যবহার করব ততোই সেটি ধারালো থাকবে। কিন্তু সত্যি কথা হল এটাই যে, আমরা আমাদের মস্তিষ্কটাকে ঠিকমতো পরিচালনা করি না। আমরা আমাদের মস্তিষ্কটাকে দিন দিন অচল বানিয়ে ফেলছি। যার ফলস্বরূপ আমাদের এত এত ভুলে যাওয়ার স্বভাব তৈরি হচ্ছে। আর ছোটখাটো বিষয় আমার গুলিয়ে ফেলছি।
আমরা আমাদের মস্তিষ্কটাকে আজেবাজে জিনিস দিয়ে পরিপূর্ণ করে রেখেছি যার কারণে কাজের জিনিস গুলো আসলে সঠিকভাবে কাজ করছে না। মস্তিষ্কটা অনেকটাই আমাদের মোবাইলের মেমোরির মত। যেখানে আমরা অনেক বেশি লোড নিতে পারি না। অতিরিক্ত লোড যখন থাকে তখন আমাদের মেমোরি হ্যাং করে ঠিক তেমনি আমাদের মস্তিষ্ক ও অতিরিক্ত লোড নিলে অনেক সময় হ্যাং করে। আমাদের উচিত মস্তিষ্কটাকে সচল রাখতে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো রেখে অপ্রয়োজনে জিনিসগুলো ডিলিট করে দেওয়ার।
আগেরকার মানুষদের দেখা যেত অনেক বৃদ্ধ বয়সেও স্মরণ শক্তি , চিন্তা ধারা বিচক্ষণতা ছিল অনেকটাই প্রখর। কিন্তু এখন দিন দিন মানুষ বৃদ্ধ হতে না হতেই তাদের স্মরণশক্তি বিচক্ষণতা কমতে শুরু করেছে। আসলে এসব কিছু হয়েছে শুধুমাত্র আমাদের অলস মস্তিষ্কের কারণে। আমরা আমাদের মস্তিষ্কটাকে যত বেশি ব্যবহার করবো, যত বেশি চালু থাকবে তত বেশি মস্তিষ্কটা সচল থাকবে এবং যেকোনো কিছু সহজে আয়ত্ত করে নিতে পারবে।
আমাদের এই জেনারেশনে কিন্তু এমন সমস্যা অনেকেই ভোগে, যে তারা যেখানে কিছু খুব তাড়াতাড়ি ভুলে যায়। অন্য সকলের কথা বাদ দিলাম আমার নিজের কাছে ও মনে হয় যেন যে কোন কিছু আমি সহজেই ভুলে যাচ্ছি। আপনাদেরও এমনটা কি মনে হয় নাকি ?
যাইহোক, আজ এ পর্যন্তই এখানে বিদায় নিচ্ছি। সকলে ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন দেখা হবে আবার ও পরবর্তী দিন অন্য কোনো বিষয় নিয়ে।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmfRETShxA5EQdPmpF6ChkQd5MkXJPifATT3TZdvk5sEC1/standard_Discord_Zip.gif)
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ঠিক বলেছেন ভাই, আমাদের মস্তিষ্কটা অনেকটা মেমোরির মতোই। আমরা আজেবাজে কতো চিন্তা ভাবনা করে মস্তিষ্ককে একেবারে লোড করে ফেলি। পরবর্তীতে মস্তিষ্কের উপর অনেক চাপ পড়ে। সেজন্যই আমরা অনেক সময় অনেক কিছুই ভুলে যাই এই বয়সে। কিন্তু আগের দিনের মানুষেরা এতো সব আজেবাজে চিন্তা নিয়ে ঘুরতেন না। তাই উনাদের মস্তিষ্ক খুব ভালোভাবে কাজ করতো। যাইহোক অপ্রয়োজনীয় চিন্তা ভাবনা মাথা থেকে একেবারে ঝেড়ে ফেলে দিতে হবে। তাহলে মস্তিষ্ক আরো ভালো কাজ করবে। আপনি সবসময় বাস্তবসম্মত এবং গুরুত্বপূর্ণ টপিক নিয়ে পোস্ট করে থাকেন। এই ব্যাপারটা সত্যিই খুব ভালো লাগে। যাইহোক বরাবরের মতো আজকেও এতো চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই ভাইয়া, এরকম ছোটখাটো ভুলগুলো প্রতিনিয়তই হচ্ছে। আমাদের এই জেনারেশনে এই ভুলগুলো খুবই কমন। আমাদের জীবন ধারণ এখন সহজ হয়ে যাওয়ার কারণেই হয়তো আমরা আমাদের মস্তিষ্কটাকে কাজে লাগাতে চাই না। আমরা আমাদের মস্তিষ্ককে যত ব্যবহার করব ততই এটি ভালো থাকবে। আজেবাজে চিন্তা ঝেড়ে ফেলে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোই আমাদের মস্তিষ্কে রাখা উচিত। আপনার লেখাগুলো পড়ে বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া।
জী ভাই এটা আমারও হয়। অনেক জিনিসই এখন ভুলে যায়। এটা এই বয়সে একেবারেই অনাকাঙ্খিত। কিন্তু এই সমস্যা টা আমাদের জেনারেশনে বেশ প্রকট। একটা সময় শুধু বৃদ্ধদের এই সমস্যা থাকলেও এখন আমাদেরও হয়ে গিয়েছে। এটার সবচাইতে বড় কারণও আপনি বলেছেন যে আমরা আজেবাজে চিন্তা বেশি করি। আমরা মস্তিষ্ক কে খুব কম ব্যবহার করি কাজে।।
আমি এক জেনারেশন রা আগের দিনের বৃদ্ধদের থেকেও দুর্বল, আমরা আমাদের ব্রেন টাকে খুব বেশি ব্যবহার করি না, আমার কথায় যদি বলি আমাকে দিয়ে সব কাজ হয় কিন্তু বই পড়াটা একটা সময় নেশা ছিল যেটা এখন বিরক্তি লাগে, কেননা না পড়তে না পড়তে ব্রেইন টাকে জং ধরিয়ে ফেলেছি। আগে গল্পের বই পড়ে কিংবা উপন্যাস বইয়ের যে কল্পনার জগতে ডুবে যেতাম, এখন মুভি দেখেও সেই অনুভূতিটা পাইনা।
আপনি এটা একদম ঠিক বলেছেন যে,এই ভুলে যাওয়া রোগের জন্য অলস মস্তিষ্ক দায়ী ।ভুলে যাওয়া রোগ তো বৃদ্ধ বয়সে দেখা যায় কিন্তু আমাদের এখনি দেখা দিয়েছে।আমরা আমাদের মস্তিষ্কের সঠিক ব্যবহার না করায় দিনদিন ওই লোহার জিনিসের মতোই জং পড়ে যাচ্ছে।আর মেমোরির মতো মস্তিষ্কেও একই ঘটনা লোড বেশি হয়ে গেলে হ্যাং করে। এই সকল ভুলে যাওয়া সমস্যা বর্তমান বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই দেখা যায়।লেখাটি ভালো লেগেছে ।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।