কনটেস্ট অংশগ্রহণ- মজাদার ফলের জুস বা শরবত || প্রতিযোগিতা-১৫ (কলা এবং খেজুরের মিল্কশেক )
আজ- ২৮ই, চৈত্র | ১৪২৮ , বঙ্গাব্দ | বসন্তকাল | | সোমবার |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
একদিকে রোজা, অন্যদিকে গরম। ইফতারের আগ মুহূর্তে মনে হয় ৩-৪ গ্লাস পানি খেয়ে ফেলতে পারব। কিন্তু ইফতারের পর পরেই পানি তৃষ্ণা কেমন যেন মিটে যায়। যাহোক এবার আসি মূল কথায়, আমার মনে হয় বাংলাদেশে এমন কোন পরিবার খুঁজে পাওয়া যাবে না , যেখানে ইফতারিতে শরবত বানায় না। কারণ রোজা রেখে সারাদিন পানি শূন্যতা পূরণে ইফতারিতে শরবত অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তাই আমরা এবার আমাদের কনটেস্টের বিষয় নির্ধারণ করেছিঃ মজাদার ফলের জুস বা শরবত তৈরীর রেসিপি। আর সকলের কনটেস্টে সকলের অংশগ্রহণ দেখে ভাবলাম যে আমি ও আপনাদের সাথে আংশগ্রহন করি। এমনিতে ও রমজান উপলক্ষে প্রতিদিনই আমাদের কোন না কোন শরবত তৈরি করা হয়। কিন্তু আমি চেয়েছি এই কনটেন্টে অংশগ্রহণের জন্য একটি ভিন্ন ধরনের শরবত তৈরি করার। তাই যেমন ভাবনা তেমন কাজ আমার নিজস্ব ভাবনা থেকেই তৈরী করে নিলাম আজকেরে এই শরবতটি। সত্যি বলতে প্রথম দিকে একটু ভয়ে ছিলাম যে খেতে কেমন হবে। যখন এটি বানালাম তখন সত্যিই খেতে অসম্ভব মজা লেগেছে আমার কাছে। আর আমি এই শরবতটি ইফতারের পরে বানিয়েছি যাতে সঙ্গে সঙ্গে টেস্ট করতে পারি।
আর এই শরবতটিতে আইসক্রিম দেওয়াই খেতে অসম্ভব মজা লাগেছে। আর সাথে কলা এবং খেজুরে একটা আলাদা ফ্লেভার আছে যার কারনে এই শরবতের স্বাদ অতুলনীয় হয়ে উঠেছে। আর এই শরবত টি শুধু স্বাদে নই পুষ্টিগুণেও সেরা। আমি এখন থেকে ভাবছি এই শরবতটি প্রতিদিন ইফতারের বানিয়ে খাবো। আর আপনারাও এটি খেয়ে দেখবেন আর জানাবে কেমন খেতে।
তো চলুন কথা না বাড়িয়ে রেসিপিটি শুরু করি -
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- আইসক্রিম।
- কলা।
- চিনি।
- খেজুর।
- বুষ্ট / হরলিক্স ।
- বরফের টুকরো ।
- গুড়া দুধ ।
- পানি।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
ধাপ-১ঃ
- প্রথমে সবগুলো উপকরণ সাজিয়ে নিয়েছি। কলা গুলোকে খোসা ছাড়িয়ে কেটে নিয়েছি এবং খেজুরের বিচি ফেলে দিয়েছি।
ধাপ-২ঃ
- এরপর একটি ব্র্যান্ডের নিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৩ঃ
- এরপর ব্লেন্ডারে মধ্যে বিচি ফেলে দাওয়া খেজুর এবং কেটে রাখা কলাগুলো দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৪ঃ
- এরপর এতে একে একে আইসক্রিম, গুড়া দুধ, বরফকুচি, চিনি, বুষ্ট আপনাদের কাছে বুষ্ট না থাকলে হরলিক্স ব্যবহার করতে পারেন এরপর পরিমাণমতো পানি দিয়ে দিয়েছি। আমি এখানে গুঁড়াদুধ ব্যবহার করার কারনে পানি দিয়েছি আপনারা যদি তরল দুধ ব্যবহার করেন তাহলে এখানে পানি দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
ধাপ-৫ঃ
- এরপর সবগুলো উপকরণ একসাথে ভালোভাবে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিয়েছি।
ধাপ-৬ঃ
- ভালোভাবে ব্লেন্ড করা শেষে এই রকম দেখতে হয়েছে। এই মিল্কশেক একটু ঘন খেতে মজা। তাই ঘন রেখেছি বেশি পানি ব্যবহার করিনি।
ধাপ-৭ঃ
- এখন ব্যান্ডের ব্লেন্ড করা শেষে এই মিল্কশেক টিকে গ্লাসে ঢেলে নিচ্ছে। এবার এটিকে পরিবেশন করার পালা।
ধাপ-৮ঃ
- এটিকে পরিবেশনের জন্য আমি প্রথমে গ্লাসের মধ্যে বরফের টুকরো দিয়ে দিয়েছি এরপর আইসক্রিম এবং হরলিক্স এর গুড়া দিয়ে দিয়েছি। এরপর সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য কলার একটি স্লাইস গ্লাসের উপর দিয়ে দিয়েছি।
সকলকে ধন্যবাদ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
একদম ঠিক বলেছেন ভাই সারাদিন রোজা রাখার পর এক গ্লাস সরবত মনটাকে এবং শরীরকে তৃপ্তি দেয় অনেক। আর আপনার সরবতে আইস ক্রিম ব্যবহার করা কতটা মজাদার হয়েছে সেটা আমি দেখেই বুঝে ফেলেছি। অসাধারণ ছিল ভাই আপনার উপস্থাপনা টি, আশাকরছি প্রতিযোগিতায় কোন একটা ভালো অবস্থানে থাকবেন 😁
কলা এবং খেজুরের মিল্কশেক রেসিপি দারুন হয়েছে ভাইয়া। আপনার তৈরি করা এই রেসিপি আমার কাছে ভালো লেগেছে। শরবত খেতে অনেক ভালো লাগে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে সুস্বাদু হয়েছে। আপনার এই শরবত রেসিপি দেখে আমারও ইচ্ছে করছে এই শরবত তৈরি করে খাওয়ার জন্য। অনেক সুন্দরভাবে প্রসেস উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Please consider to approve our witness 👇
Come and visit Italy Community
ইফতারীতে এক গ্লাস এমন জুস হলে আর কিছুরই দরকার হয় না,আমারতো এখনি খাইতে ইচ্ছা করতেছে। জুস বানানোর প্রক্রিয়া অনেক ভালো ছিল এবং উপকরণে একটু ভিন্নতা আছে।ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কলা এবং খেজুরের মিশ্রণে লোভনীয় একটি জুস প্রস্তুত করেছেন। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে😋 যদিও এর আগে কখনো এভাবে জুস প্রস্তুত করে খাওয়া হয়নি🤔 ধাপগুলো সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য🌹🌹
ইফতারিতে এক গ্লাস জুস বা শরবত প্রাণ জুড়িয়ে যায়। আর তা যদি হয় বিভিন্ন ধরনের তাহলে তো আরও ভালো লাগে। অনেক মজার জুস বানিয়েছেন আপনি।একদম ইউনিক একটি জুস।আইসক্রিম, খেজুর, কলা আহ কি মজা।একদিকে মজা অন্য দিকে পুষ্টি কর।অনেক ভালো লেগেছে আপনার জুস তৈরি দেখে।ধন্যবাদ
এবারের কনটেস্টে এই প্রথম দেখলাম কলা দিয়ে জুস তৈরি করেছেন আপনি। আমারও ইচ্ছে ছিল কলা বেল দিয়ে জুস তৈরি করে দেখাবো। তবে এখনো কার্যক্রম শুরু করি নাই। অল্প কিছু ভেতরে শুরু করব।
ওয়াও ভাইয়া কলা আর খেজুর দিয়ে খুব সুন্দর করে মিল্কশেক তৈরি করেছেন। সারাদিন রোজা রাখার পর এইরকম এক গ্লাস মিল্কশেক খেতে পারলে তো ভালই লাগত। অসাধারণ ভাবে তৈরি করেছেন ভাইয়া দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। রোজা রেখে এই রকম লোভনীয় খাবার দেখলে কি ঠিক থাকা যায়। সত্যি ভাইয়া আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে আপনার এই সুস্বাদু মিল্কশেক। এভাবে কখনও তৈরি করে খেয়ে দেখিনি অবশ্যই বাসায় একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখতে হবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি মিল্কশেক তৈরি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
এত এত পুষ্টিকর উপাদান দিয়ে তৈরি মিল্ক শেক ভালো না হয়ে কি পারে। দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। নিঃসন্দেহে এটা যেমন উপকারী হবে তেমনি সুস্বাদু। ধন্যবাদ
এক কথায় অসাধারণ ভাই। আপনার মিল্ক শেক এর রেসিপি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। মনে হচ্ছিল কোন রেস্টুরেন্টের মিল্কশেক। কলা এবং খেজুর দিয়ে অসাধারণ একটি মিল্কশেক রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যা দেখে বোঝাই যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। এছাড়া আপনি খুব সুন্দর করে প্রতিটি ধাপের বর্ণনা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এরকম সুন্দর একটি মিল্কশেক রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।