পারিবারিক শিক্ষা।

কেমন আছেন সকলে? আশা করছি ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে বেশ ভালোই বৃষ্টি পড়ছে। সকাল থেকে আকাশটা অন্ধকার মেঘ ঢেকে আছে, তবে মাঝে মাঝে বৃষ্টি পড়ছে আবার কিছুক্ষণের জন্য বৃষ্টি থামছে। এমন ভাবেই চলছে। তবে আজকের বৃষ্টিটা মনে কেন যেন বিষন্নতার সৃষ্টি করেছে। যদিও মেঘলা আবহাওয়া, ঝুম বৃষ্টি আমার ভারী পছন্দ তবে আজকের বৃষ্টি বিষন্নতা তৈরি করেছে । হয়তো পারিপার্শ্বিক দৈনন্দিন যে সকল ঘটনাগুলো ঘটছে সেগুলোরই মনের মধ্যে প্রভাবিত করছে এবং এই থেকেই পছন্দের বৃষ্টি আজ বিষন্নতা হয়ে উঠেছে।

আমরা যেহেতু মানুষ আমাদের ভালো লাগা খারাপ লাগা অনুভূতি থাকবেই আর এটিই স্বাভাবিক। তবে দিনশেষে এই সকল অনুভূতিগুলো নিয়ে তো আর জীবন চলে না। বাস্তবতা ভারী কঠিন। এই জীবন চালাতে হলে অনুভূতি নামক বিষয়গুলোকে সময়ের সময়ে চাপা দিয়ে রাখতে হয়।

যাই হোক, দাদাদের পরিবারের অবস্থার কথা ভাবলে এখনো বেশ খারাপ লাগে। কয়েকদিনে কি থেকে কি হয়ে গেল। তবে এত বড় শোক এত সহজে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। আর তাছাড়া সারা জীবনে এই অপূর্ণতা কখনোই পূর্ণ হওয়ার ও নয়। তবে কিছুই করার নেই এভাবে হাজারো অপূর্ণতা নিয়ে আমারা প্রত্যেকটা মানুষ প্রতিনিয়ত চলছি। আমরা প্রত্যেকেই বুঝি যে হঠাৎ করে পরিবারের একটা মানুষ এভাবে চলে যাওয়াটা কতখানি কষ্টের। আসলে জীবনে পরিবার মানেই হচ্ছে অন্যরকম। যাই হোক না কেন, মানুষের জীবনে পরিবারটাই হচ্ছে সবার প্রথমে যাইহোক, আজকে পারিবারিক শিক্ষার বিষয়ে কিছু কথা বলবো।

মানুষকে কখনো জন্মগতভাবে শিখে আসে না। ধীরে ধীরে জীবনের কর্মকাণ্ডের সাথে প্রাতিষ্ঠানিক এবং পারিবারিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয় মানুষ। তবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে সব থেকে বড় শিক্ষা হচ্ছে পারিবারিক শিক্ষা। যেটি পরিবার থেকেই আসে। আর সেই শিক্ষার সমাজে আজ বড়ই অভাব। পারিবারিক শিক্ষা একটি শিশু বিকাশে অনেকটা সহায়তা করে। মানুষ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে যা অর্জন করতে পারেনা পারিবারিক শিক্ষার মাঝে তার থেকে বেশি কিছু অর্জন করতে পারে। কিন্তু আজকাল সমাজে পারিবারিক শিক্ষা নেই বলেই চলে । পরিবারের প্রত্যেকটা মানুষ যে যার মত করে জীবনযাপনে ব্যস্ত। ফলে নতুন প্রজন্মের মানুষগুলো এই সকল শিক্ষার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

আজকাল অধিকাংশ সংসারে দেখা যায় মা-বাবা দুজনেই কাজে থাকছে ফলে সন্তানরা বেড়ে উঠছে তৃতীয় ব্যক্তির কাছে। ফলে ওই সকল সন্তানরা যারা দিনের বেশিরভাগ সময় কাজের লোকের কাছে থাকছে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই কাজের লোকের চরিত্র গুলোই তার মধ্যে ফুটে উঠবে। কারণ একজন শিশু যাকে দেখছে তার মতোই তো হয়ে উঠবে। তাছাড়া এখনকার পরিবারগুলো হচ্ছে যে একক পরিবার। এই পরিবারের ক্ষেত্র মা- বাবা, ভাই বোন ছাড়া কোন লোকই থাকছে না। ফলে সন্তানরা একা একাই বেড়ে উঠছে বলতে গেলে। তারা সবসময় নিজেদের মতো করে সময় কাটাচ্ছে এবং পারিবারিক ঐ সকল শিক্ষাগুলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আগেরকার সময় দেখা যেতে যৌথ পরিবারের মানুষ থাকতো ফলে অনেক মানুষের ভিড়ে বেড়ে ওঠা এবং নানা শিষ্টাচার, নিয়ম কানুন এবং পারিবারিক শিক্ষা শিক্ষিত হওয়া সে সুযোগটা তৈরি হতো।

তাছাড়া এখন বেশিরভাগ পরিবারই দেখা যায় মা বাবার দ্বন্দ্ব, কোলাহল এবং উশৃঙ্খ এক জীবন। আর এই সকল পরিস্থিতিতে পারিবারিক শিক্ষা গ্রহণ করা কতটুকুই বা সম্ভব? একজন মানুষের শিষ্টাচার, ভদ্রতা এসব কিছু প্রকাশ করে পারিবারিক শিক্ষার মাধ্যমে। একজন মানুষকে প্রকৃত রূপে মানুষ হওয়ার জন্য পারিবারিক শিক্ষা গ্রহণের অবশ্যই প্রয়োজন। আর এই পারিবারিক শিক্ষাটা মানুষ পরিবার থেকেই শিখে তাই প্রত্যেকটা পরিবারের উচিত তার সন্তানকে একটি ভালো পারিবারিক শিক্ষা শিক্ষিত করা। যাতে ভবিষ্যতে শিশুটি একজন আদর্শ মানুষ হয়ে উঠতে পারে।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy