শেষ পত্র নাটকের রিভিউ।
আজ- ২৫, মাঘ | ১৪২৮ , বঙ্গাব্দ | মঙ্গলবার | শীতকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবিঃস্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলীঃ
নাম | শেষ পত্র |
---|---|
পরিচালক | আবুল হায়াত । |
অভিনয় | দিলারা জামান, শারমিলি আহমেদ,ডলি জহুর, চিত্রালেখা গুহ । |
দৈর্ঘ্য | ৪৯ মিনিট। |
ধরন | মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক । |
ভাষা | বাংলা। |
মুক্তির তারিখ | ১৯.১২.২০২১ইং। |
নাটকের সারসংক্ষেপ
এর পর দেখা যায় তারা চারজন বান্ধবী একসাথে বসে চা খেতে খেতে সে ছেলেবেলার কথা অর্থাৎ তাদের স্কুল ও কলেজ জীবনে দুষ্টুমি করা সেই বিষয়গুলো নিয়ে মজা ঠাট্টা করছে। তাদের কথা বার্তার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি তারা চারজনের ছিল চারটি চতুর্ভুজ এর মত।সব কিছুতেই তারা একসাথে। দুষ্টামির বেলাতে ও তারা খুবই পটু ছিল। তার চারজনের মধ্যে সবিতা বয়সে সবচেয়ে ছোট ছিল। কিন্তু তার মেধার কারণে ডাবল প্রমোশন পেয়ে ২ ক্লাস উপরে উঠেছে। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা গান-বাজনাতে ও সে খুব পারদর্শী ছিল। সবিতা এতই বেশি দুষ্ট ছিল যে সে গাছ থেকে কাঠ পিঁপড়ে এনে মানুষকে ফুল ফোটাতো। আর এই কথা উঠেই সবিতা কাঠপিঁপড়ে আনার অভিনয় করে সকলকে ভয় দেখাতে থাকে।
এরপর দৃশ্য পরিবর্তিত হয়ে যায় সকলে বাড়ির চারপাশে হেঁটে-হেঁটে কথা বলছে। সেলিকে সকলেই বলতে থাকে তার স্বামী কোথায় তার সাথে কেন তাদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে না। সেলি তাদের জানায় সে এখন বিদেশে আছে ব্যবসার কাজে। এরপর বিভিন্ন কথাবার্তার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি সবিতা এখনো বিয়ে করেনি।
এবার দেখাযায় দুপুরের খাবার শেষে তারা রাতে ফিশ বারবিকিউ করছে আর সেই সময় সবিতা তার জীবনে ঘটে যাওয়া সব মর্মান্তিক ঘটনা এবং তার বিয়ে না করার কারণটি সকলকে বলে। সবিতার সকল কথা শুনে আমরা জানতে পারি যে, দেবিদ্বা নামে তার একজন গানের শিক্ষক ছিল যে চরিত্রগত দিক দিয়ে মোটেও ভাল ছিলনা। টাকা পয়সার লোভ দেখিয়ে সেবিতার বাবাকে রাজি করায় তার সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য। সবিতার শত বারণ সত্তেও সবিতার বাবা সবিতার কথা মেনে নেয় নি। সবিতার সাথে দেবীদের বিয়ে মোটামুটি ঠিক হয়ে গেল। এই সব করনে দেবীদার তাদের বাড়িতে যাতায়াত ও বেড়ে গেল। সবিতা সবসময় দেবিদ্বার থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলত। কিন্তু সাবতার মা দেবিদ্বা কে বেশ ভালই আদর যত্ন। সবিতার মা ছিল একজন মধ্যবিত্ত ব্রাহ্মণকন্যা। আর সবিতার বাবা হচ্ছেন অতিদরিদ্র মাঝবয়সী। সবিতার বাবা ও মায়ের মধ্যে সবসময় ঝগড়া হতো । সুবিতার মা কখনোই তার বাবাকে নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না। দেবিদ্বার আসার পর থেকে সবিতার মধ্যে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এরপর কোন এক সময় সবিতার মা পালিয়ে যায় দেবিদ্বার সাথে। আর এটি সহ্য করতে না পেরে সবিতার বাবা আত্মহত্যা করে। আর এই করনেই কোন পুরুষকে বিশ্বাস করে করতে পারেনি তাই তার আর বিয়ে করা হয়নি। আর এভাবে জীবন সংগ্রামের মাধ্যমে সে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন একজন সফল গায়িকা হিসেবে।
এরপর একটি ঘটনার মাধ্যমে তানি তার জীবনে কাঁচা চিংড়ি খাওয়ার অভিজ্ঞতা বলে। সে বলে তার স্বামী সংসার নিয়ে বেশ ভালোভাবে দিন কাটছিল। এরপর মুক্তিযুদ্ধ শেষ হলো। তাদের সম্পত্তি লুট হয়ে গেল। এই অভাবের মাঝে তার ধরা দিলো মরণব্যাধি রোগ। বহু ডাক্তার হেকিম কবিরাজ কোন কিছুতেই তার রোগ ঠিক হলো না। এরপর আগমন ঘটল এক ভন্ড সন্নাসীবাবার যে কিনা প্রথম দেখেই তানির রোগ চিহ্নিত করার অভিনয় করলো। এভাবে তানিকে দিয়ে ভন্ড কবিরাজের ব্যবসায় শুরু হল। কবিরাজ সকলকে জানাই তানিকে এক জিনে আছর করেছে। আর সেই জিন নাকি সকলের রোগের কথা বলতে পারে আর এভাবে কবিরাজ সকলকে ভুল বুঝিয়ে তানির উপর অত্যাচার করতে থাকে। আর অসুস্থতা তানিকে কবিরাজ কাঁচা চিংড়ি খাওয়াতেন কারণ জিনের খাবার হচ্ছে কাঁচা চিংড়ি। এরপর কোনো এক সময়ে তানি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়। পরবর্তীতে জানা যায় তার টাইফয়েড হয়েছিল।
এরপর দেখা যায় রাশেদা চিৎকার করছে। পরে সকলে গিয়ে দেখতে পারে রাশেদা তেলাপোকা দেখে ভয়ে চিৎকার করছে। এরপর রাশেদা জীবনের কাহিনী বলে সে জানায় কিভাবে এই তেলাপোকার কারণে তার জীবনে বিভিন্ন ঘটনা ঘটে গেছে। তারা সব কাহিনী শুনে আমরা জানতে পারি তার একজনের সাথে প্রেম ছিল। তার সাথে বিয়ে ঠিক হয়ে গেছিল। কিন্তু সে প্রেমিকের চরিত্রে ছিল খারাপ। একদিন সে তার প্রেমিককে অন্য মেয়েদের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে। এরপর সে প্রেমিক তাকে ভয় দেখানোর জন্য অনেকগুলো তেলাপোকা তার গায়ে ছেড়ে দেয়। রাশেদা তেলাপোকাকে প্রচন্ড ভয় পায়। আর সে এতগুলো তেলাপোকা দেখে ভয় মুখে দিয়ে রক্ত বের হতে লাগলো। আর সে প্রেমিক সকলকে জানাই সে হচ্ছে মৃগীরোগী তার সাথে বিয়ে করা সম্ভব নয়।
এর পরের দিন সেলি তার জীবনের ঘটনা বলতে থাকে। সলি বলে তোমাদের সাথে স্কুল জীবন ও কলেজ জীবন কাটানো সময় গুলো কখন সে ভুলতে পারেনি। তাদেরকে টেলিভিশনে দেখে এবং পত্রিকা পড়ে দেখে তার খুব গর্ব হয়। কেননা তারা তো তারিই অন্তরঙ্গ বান্ধবী। তার সাথে তার মনের মধ্যে শখ জাগে সকল বান্ধবীকে একত্র করার। তার খুব হিংসে হয় তার বান্ধবীরা এত বিখ্যাত কিন্তু সে কেন বিখ্যাত হতে পারেনি। দেশের জন্য কিছু একটা করে সে ও বিখ্যাত হতে চাই তাদের বান্ধবীর মাধ্যমে। সেলি জানায় সে একজন মুক্তিযোদ্ধা। প্রথমে ট্রেনিং নিয়ে মুক্তিযুদ্ধাদের নার্সিং হয়েছে সেবা দিত কিন্তু এতে তার মন ভরে না একজন গেরিলাদের সাহায্যে সে সরাসরি যুদ্ধে যোগ দেয়। সেখানে তার প্রধান কাজ ছিল খবরা খবর প্রচার করা এবং গোলাবারুদ পাচার করা। কোন সময় সে রাজাকারদের হাতে ধরা পড়ে যায় এরপর রাজাকাররা তার ওপর অমানবিক অত্যাচারের পরেও সে মারা যায়নি। পাগল হয়ে যায় সে। পাগল সেলিকে কেউ জায়গা দেয়নি এমনকি তার পরিবারও না। শেষ পর্যন্ত তার ঠাঁই হয় পাবনা মেন্টাল হসপিটালে। বেশ কিছুদিন ওখানে চিকিৎসা নেওয়ার পর সে সুস্থ হয়ে উঠে। এরপর তাঁর বিয়ে হয় একজন মুক্তিযোদ্ধার সাথে। এরপর সেলি যখন জানতে পারে তার স্বামী হচ্ছেন একজন রাজাকার ভুয়া সার্টিফিকেটের মাধ্যমে সে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা বলে চালিয়ে যাচ্ছে। আর এটি জানার পর সেলি কখনোই তার স্বামীকে মেনে নিতে পারিনি কেননা সেলি হচ্ছে একজন মুক্তিযোদ্ধা দেশের জন্য সে যুদ্ধ করেছে। আর কিভাবেই সেই দেশ বিরোধী রাজাকার কে মেনে নেবে। তাই সে প্রতিজ্ঞা করে নিজ হাতে তার রাজাকার স্বামী কে শাস্তি দিবে এবং দেশের কাছে তার নাম বিখ্যাত করবে।
আর সেজন্যই সেলি তার এই বিখ্যাত বান্ধবীদের একত্রিত করেছে তার যাতে এই কাজে সাহায্য করে এবং সকলকে জানিয়ে তাকে বিখ্যাত করে তোলে।
সেলি বলে তার রাজাকার স্বামী এখন এই বাড়িতে অন্য ঘরে মুখে টেপ মারা অবস্থায় বন্দী আছে তাকে কিভাবে মারবে সেটি যেন সকলে মিলে ঠিক করা হয়। আর এই কথাটি শুনে রাশেদা, তানি ও সবিতা সকলেই ভয় পেয়ে পালিয়ে যেতে চাই। কিন্তু তার আগেই শেলী তাদের দরজা বন্ধ করে আটকে রাখে। আর তাদেরকে ঘুমের ওষুধ দেওয়ার কারণে তারা ওখানে ঘুমিয়ে পড়ে।
তারা ঘুম থেকে উঠে দেখে সকাল হয়ে গিয়েছে এবং দরজা খোলা আছে। এবং কিছুদূর হাঁটতে তারা দেখে সেলি পুকুর ঘাটে বসে আছে। এবার দেখা যায় সেলি আর বেঁচে নেই তার হাতে ছিল একটি চিঠি। সে চিঠিতে লেখা লিখেছে - সে আছে, সে থাকবে সকলের মাঝে থাকবে। তাইতো সেই কাজটা নিজেই করে গেছে। তোমরা শুধু সাক্ষী থেকো। সেই নির্যাতিত নারী হিসেবে নয় এমনকি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নয়, দেশে সর্বপ্রথম যুদ্ধাপরাধী বিচার কারি এবং শাস্তিদাতা হিসেবে সকলের কাছে পরিচিতি পেতে চাই।
আর এই পত্র পড়ার মাধ্যমে নাটকটির সমাপ্তি ঘাটে।
সত্যি নাটকটা অনেক শিক্ষনীয় ছিল। আমাদের অনেকের মধ্যেই দেশপ্রেমের ঘাটতি আছে। যদিও আমি নাটকটা দেখিনি। তবে মূল প্রেক্ষাপট টা আমি বুঝেছি। আবুল হায়াত আমার অনেক পছন্দের একজন অভিনেতা। তবে তিনি যে নাটক পরিচালনাও করেছেন এটা জানতাম না। যাইহোক ভালো সুন্দর ছিল নাটকের রিভিউ টা।
ভাই আপনি খুবই সুন্দরভাবে শেষ পর্বে নাটক রিভিউ করেছেন। আসলে শেষ পর্ব নাটকটি আমি অনেকবার দেখেছি। এই নাটকটি আমার খুবই ভালো লাগে। নাটকটিতে দেশপ্রেম এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জাগ্রত করেছে। সত্যি নাটকটি দ্বারা আমরা খুবই সুন্দর ভাবে একজন রাজাকারের স্ত্রীর দেশের প্রতি কতটা ভালোবাসা, সেটা প্রকাশ পেয়েছে।আপনি খুবই সুন্দর ভাবে রিভিউ করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
শেষ পত্র নাটকের রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লেগেছে আমার। আসলে এই নাটকগুলো দেখলে সকলের মনেই দেশপ্রেম জাগ্রত হবে। এই নাটকটি সকলের জন্য খুবই শিক্ষণীয়। শিক্ষনীয় একটি নাটকের উপর রিভিউ পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
যদিও আমি নাটক দেখি না সময়ের অভাবে, তবে আজকে আপনার নাটকের রিভিউ আমি পুরোটাই পড়েছি এবং বুঝতে পেরেছি যে আসলে আমাদেরকে দেশভক্তি জাগ্রত করতে হবে। যারা মুক্তিযুদ্ধের নামে রাজাকাররা নাম চালিয়ে যাচ্ছে তাদেরকে ধ্বংস করতে হবে এবং সত্যিকারে মুক্তিযোদ্ধারা রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করে এটা আমরা সবাই জানি কিন্তু তাদের কোন আত্মসম্মান মর্যাদাবোধ বলতে কিছুই নেই তারা আজ অবহেলিত, তাদেরকে সেই সম্মান না দেওয়া উচিত। নাটকটি শিক্ষামূলক ছিল সংগ্রামী চেতনা তুলে ধরা হয়েছে। গল্পটি বেশ ভালই লেগেছে আর এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমার নাটকের রিভিউ পড়ারর জন্য।
অসম্ভব সুন্দর একটা নাটক দিয়েছেন ভাইয়া।নাটকটা যে এত সুন্দর আমি ভাবতেই পারিনি। যখন একটু গভীরে প্রবেশ করি তখন এর প্রমাণ পাই যে নাকটা কত সুন্দর। নাটকের মধ্যে দেশের প্রতি ভালোবাসার প্রমাণ পাওয়া যায়। একজন মানুষ দেশকে কতটা ভালবাসলে দেশের জন্য এতটা করতে পারে তাই নাটকের মাধ্যমে বোঝা যায়। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটা নাটক আমাদের মাঝে রিভিউ করার জন্য।
নাটকটি এখনো দেখা হয় নায়, আপনার রিভিউ দেখে মনে হচ্ছে খুবিই ভালো হইছে। সময় করা দেখে নিব যেহেতু মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে নাটকটি তৈরী সে ক্ষেত্রে আমাদের ভাঙ্গালিদের সবার দেখা উচিত।ধন্যবাদ ভাই ভালো নাটকটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জাগ্রত করতে এই নাটকটি আমাদের জন্য খুবই শিক্ষণীয়। এই নাটকটি আমি কখনো দেখিনি তবে আজকে আমি যখন আপনার নাটক রিভিউ পোস্টটি পড়ছিলাম তখন খুবই ভালো লাগছিল। আসলে দেশপ্রেমের দৃষ্টান্ত এখানে স্থাপন করা হয়েছে। সুন্দরভাবে নাটক রিভিউ শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
সত্যি ভাই আপনি আজকে খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। নাটকের রিভিউটি পড়ে বুঝতে পারলাম আসলেই নাটকটি খুব শিক্ষনীয় একটি নাটক। এই নাটকটি দেখলে আসলেই আমাদের মনে দেশ প্রেম জাগ্রত হবে। আপনি খুব সুন্দর করে নাটকের রিভিউটি উপস্থাপন করেছেন আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এই নাটকের চারজন অভিনেত্রী আমার খুব পছন্দের। আমি অবশ্যই নাটকটি দেখব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Please consider to approve our witness 👇
Come and visit Italy Community