মজাদার চিকেন খিচুড়ি রেসিপি।
আজ- ২৫ই অগ্রায়ন | ১৪২৮ , বঙ্গাব্দ |শুক্রবার| হেমন্ত-কাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আজ আমি আপনাদের সাথে কিভাবে চিকেন খিচুড়ি তৈরি করা যায় তার রেসিপি শেয়ার করব।

আমি মনে করি, বাঙালির অতি প্রিয় খাবার গুলোর মধ্যে খিচুড়ি অন্যতম। বিশেষ করে বৃষ্টির সময় খিচুড়ি খেতে কার না ভালো লাগে বলুন। যদিও এখন বৃষ্টি পড়ছে না তবুও কেন যেন খিচুড়ি খেতে ইচ্ছে করছিল তাই এই খিচুড়িটি বানানো হয়েছে। যদিও আজকেরে খিচুড়িতে দেখতে তেমন সুন্দর লাগছে না তবে খেতে কিন্তু অসম্ভব মজা হয়েছিল। আর এই খিচুড়িতে যেহেতু অনেকগুলো সবজি ব্যবহার করা হয়েছে তাই এটির পুষ্টি গুনাগুন ও অনেক বেশি। যাই হোক, আপনারা কেউ চাইলে আমার এই রান্নার ধাপগুলো অনুসরণ করে খিচুড়ি তৈরি করে নিতে পারেন। আসলে এই খিচুড়িটি রান্না করাটা একদমই সহজ শুধু মাত্র কয়েকটা ধাপ অনুসরন করলেই হয়ে যাবে।
যাই হোক কথা না বাড়িয়ে রেসিপি দিকে যাওয়া যায় -
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- পেঁয়াজ কুচি।
- মরিচের গুঁড়া।
- লবণ।
- তেল।
- জিরা বাটা।
- আদা বাটা।
- রসুন বাটা।
- মিষ্টি কুমড়া।
- গাজর।
- আলু।
- মুগের ডাল।
- চিনিগুড়া চাল।
- তেজপাতা, এলাচ।
- মুরগির মাংস।

প্রস্তুত প্রণালীঃ
ধাপ-১ঃ
- প্রথমে চাল এবং ডালগুলোকে ভালোভাবে ধুয়ে মিক্স করে নিব।।

ধাপ-২ঃ
- এরপর পাত্রে তেল গরম করতে দিব। তেল গরম হয়ে গেলে এতে এলাচ, তেজপাতা, দারুচিনি দিয়ে দিব।
![]() |
![]() |

ধাপ-৩ঃ
- এরপর মসলাগুলো কে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে এর মধ্যে পেঁয়াজ কুচি, আদা বাট, জিরা বাটা ও রসুন বাটা দিয়ে দিব।

ধাপ-৪ঃ
- পেঁয়াজ ও মসলাগুলো কে কষিয়ে নেওয়ার পর এরমধ্যে কেটে রাখা মাংসের টুকরোগুলো দিয়ে দিব।

ধাপ-৫ঃ
- এরপর মাংসগুলোকে কিছুক্ষণ কষিয়ে নেওয়ার পর এরমধ্যে কেটে রাখা গাজর, আলু ও মিষ্টি কুমড়া দিয়ে দিব।
![]() |
![]() |

ধাপ-৬ঃ
- কিছুক্ষণ মাংসগুলোকে কষিয়ে নেব এরপর পূর্বের ধুয়ে রাখা চালা এবং ডালগুলো মাংসগুলো মধ্যে দিয়ে দিব।

ধাপ-৭ঃ
- মাংস গুলোর সাথে চালগুলো ভালোভাবে ভেজে নেব।

ধাপ-৮ঃ
- এরপর পরিমাণ মতো গরম পানি দিয়ে দিব।
![]() |
![]() |

ধাপ-৯ঃ
- পানি দেওয়ার পর চাল গুলোকে ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে দিব।

ধাপ-১০ঃ
- যখন দেখব চালগুলো ফুটে উঠেছে এবং পানি টেনে গেছে তখন এটিকে নামিয়ে নিব ।

ধাপ-১১ঃ
- ব্যাস এই ভাবেই তৈরি হয়ে গেল মজাদার চিকেন খিচুড়ি।

সকলকে ধন্যবাদ।

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

চিকেন খিচুড়ি রেসিপিটি দেখতে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। খেতে নিশ্চয়ই দারুণ হয়েছিল। একা একাই খেলেন আমাদের একটু ডাকও দিলেন না 😋😋।
আপনার চিকেন খিচুড়ি রেসিপি টি অসাধারণ হয়েছে। আপনি অসম্ভব সুন্দর রান্না করতে পারেন। আপনি রান্নার ধাপ গুলো অনেক সুন্দর ভাবে চিত্রিত করেছেন। জিভে জল এসে গেল আপনার এই রেসিপিটি দেখে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনার চিকেন খিচুড়ি থালা সত্যিই সুস্বাদু হয়েছে. আপনার রান্না করার জন্য একটি অবিশ্বাস্য প্রতিভা আছে। আপনি রান্নার প্রক্রিয়াটি চিত্রিত করার জন্য একটি দুর্দান্ত কাজ করেছেন। এই ধরনের একটি মহান লেখা এবং আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ. |
আমি খিচুড়ি খেতে খুব ভালোবাসি কিন্তু চিকেন খিচুড়ি আমি কখনও খাইনি।চিকেন দিয়ে খিচুড়ি তৈরি করা যায় এটাই আমি আপনার পোস্টে প্রথম দেখলাম।খুব ইউনিক একটা রেসিপি আপনি তৈরি করেছেন।আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনি রান্নার ধাপগুলো খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে দেখিয়েছেন।একবার এইভাবে আমি রান্নাটি করার চেষ্টা করবো।অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।
ভাইয়া খুবই লোভনীয় একটি পোস্ট করেছেন। চিকেন খিচুড়ি আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার। চিকেন খিচুড়ি রেসিপি টি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। প্রতিটি ধাপের বর্ণনাগুলো খুবই সুন্দর ভাবে আপনি উপস্থাপন করেছেন। আমিও চেষ্টা করছি আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই চিকেন খিচুড়ি রেসিপি তৈরি করার । ভাইয়া আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
রাতের বেলায় এমনি ক্ষুদা লেগেছে, তারপরে আপনি মজাদার চিকেন রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। খেতে পারছিনা তাই খুবই কষ্ট হচ্ছে। এত লোভনীয় খাবার আপনি শেয়ার করেছেন যা দেখে খুব খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার উপস্থাপন দেখে আমি শিখতে পেরেছি কিন্তু এখন কেমনে তৈরি করব। এখন যে খুব খেতে ইচ্ছা করছে,যাই হোক আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
অনেক দিন হয় চিকেন খিচুড়ি খাইনা। খিচুড়ি খাওয়া হয় অথবা বিরিয়ানি খাওয়া হয়। তবে চিকেন খিচুড়ি খাচ্ছি না অনেকদিন হচ্ছে। আপনার আজকের রেসিপি দেখেই আমার এখন খেতে ইচ্ছে করছে। অনেক বেশি মজাদার মনে হচ্ছে।
আসলে বৃষ্টি মৌসুম কিংবা ঠান্ডা আবহাওয়ায় খিচুড়ি খাওয়ার মজায় আলাদা।চিকেন খিচুড়ি খেতে ভালই টেস্টি।খিচুড়িতে শীতকালীন সবজি ব্যবহার করায় এর পুষ্টিগুণ আরো বেড়ে গেছে।ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খেতে সত্যিই দারুণ লাগে ।আর আপনি আপনার খিচুড়ি টি খুব সুন্দর করে রান্না করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে ।খিচুড়ির কালার টা দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে ।আর আপনি এর মধ্যে চিকেন এবং সবজি ব্যবহার করেছেন যার জন্য আপনার খিচুড়ি টি অনেক পুষ্টিগুণসম্পন্ন ও হয়েছে ।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
আকর্ষণীয় বিষয়বস্তু, এটা আমার অন্তর্দৃষ্টি যোগ করেছে, ভাগ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ