পুরনো আমলের ছাতা।steemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগlast year (edited)

আজ - ৩রা আষাঢ় |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | গ্রীষ্ম-কাল |


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।




rain-ge2118a2bb_640.jpg
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।

এখন ঘড়িতে ১২ বেজে ৩৩ মিনিট । বাহিরে প্রচন্ড বৃষ্টি শুরু হয়েছে। প্রায় ১০ মিনিট ধরে বৃষ্টি আসবে আসবে এমন এক পরিস্থিতি পর, পুরো মেঘ ঘন কালো হয়ে অবশেষে ঝুম বৃষ্টি নামলো। ঝুমঝুম বৃষ্টির শব্দ শুনতে শুনতে আজকে লিখতে বসেছি। ঘুম থেকে উঠেই হাতে কিছু কাজ ছিল ওগুলো শেষ করে অবশেষে এই অবেলায় পোস্ট লিখতে বসেছি।

আজকে অবশ্য অনেক দেরি করে পোস্ট লেখা হচ্ছে। কেননা সকাল থেকে বাসায় ইলেকট্রিসিটি ছিল না আর মোবাইলেও পর্যাপ্ত পরিমাণ চার্জও ছিলনা। আর তাই পোস্ট লিখতে কিছুটা দেরি হয়ে গিয়েছে। তা না হলে প্রতিদিন আমার ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ মাইন্ডে পোস্ট লেখা হয়। অবশ্য প্রতিদিন পোস্ট পাবলিস্ট করা হয় দুপুরের দিকে। পোস্টগুলো আগে থেকেই তৈরি করে রাখি পরবর্তীতে ২৪ ঘন্টা পর সেই পোষ্টটি পাবলিস্ট করি। সব সময় চেষ্টা করি একই সময়ে পাবলিস্ট করার তা না হলে ভোটিং এর কিছু বিষয় নিয়ে একটু সমস্যায় পড়তে হয়। তাই প্রতিদিন এটি নির্দিষ্ট সময়ে পোস্ট করা হয়। তবে তারপরেও একটু এদিক-সেদিক হয়েই যায়।

যাই হোক, সকাল থেকেই বাসায় ইলেকট্রিসিটি ছিলনা বিধায় খুবই বিরক্তিকর লাগছিল। তবে এখন কিছুটা স্বস্তিদায়ক লাগছে তা না হলে কিছুক্ষণ আগে পর্যন্ত ভাবসা গরমটা অসহ্যকর লাগছিল। দেখবেন বৃষ্টি আসার আগ মুহূর্ত গুলোতে যখন আকাশে যখন ঘন কালো মেঘ জমে এবং বাতাস থাকে না তখন এক ধরনের ভাবসা একটি গরমের সৃষ্টি হয়। আর ওই ভাবসা গরমটা মূলত বাতাসের আদ্রতার কারণে হয়ে থাকে। ওই ভাপসা গরমটা আসলে সহ্য করা যায় না। যাই হোক এখন বৃষ্টি পড়ছে তাই এখন সবকিছু একেবারে ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। এবং এই সময়টাই বেশ ভালোই লাগছে।


puddle-g0f5cc352a_640.jpg
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।

যাইহোক বৃষ্টি নিয়ে কথা উঠতেই পুরনো দিনের সেই বৃষ্টির দিনের কথা মনে পড়ে গেল। যখন খুব ছোট ছিলাম অর্থাৎ নার্সারি কিংবা ক্লাস ওয়ানে পড়তাম তখন বৃষ্টির সময় বেশিরভাগ রেইনকোট ইউজ করা হতো। এরপর যখন একটু বড় হয় তখন এই রেইনকোট বাদ দিয়ে ছাতা ব্যবহার করা হত। আমি যে আমার স্কুল জীবনে কত ছাতা হারিয়েছি তার কোন হিসাব নেই। দেখা যেত প্রত্যেক সিজনে শুধুমাত্র আমার জন্যই দুই তিনটা করে ছাতা কিনতে হতো। তবে ছাতা হারানোর এ বিষয়টি নিয়ে আমার কখনোই কোন মাথা ব্যথা ছিল না। কেননা আমার তো সব থেকে বেশি কৌতুহল থাকতো আমার আব্বুর ওই ছাতার দিকে। আব্বুর ওই ছাতাটা ছিল বিশাল বড় কালো রংয়ের কাঠের ডাটা এবং খুবই মজবুত। এই ধরনের ছাতা গুলোর সাথে হয়ত অনেকেই পরিচিত।

আসলে খুব বেশি পুরনা আমলের না কিছুদিন আগেও পর্যন্ত এই ধরনের ছাতা প্রচারণ ছিল। তবে মানুষ এখন আধুনিক হয়ে উঠেছে তাই ছোট ছোট ছাতা গুলো ব্যবহার করতে মানুষ এখন স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে। তবে কাঠের ডাটারে ছাতাগুলো ছিল অনেক টেকসই। দেখা যেতে এ ধরনের ছাতা গুলো ৪-৫ বছর অনায়াসে ব্যবহার করা যাচ্ছে। বর্তমান জেনারেশনে এই ছাতা গুলো দেখা যায় একটু জোরে হাওয়া দিতেই ছাতা উল্টে যায়। আসলে পুরনো দিনের মানুষ গুলোর মতই পুরনো দিনের জিনিসগুলো ও ছিল খাঁটি। কাঠের এই ছাতাগুলো দেখা যেত খুব বেশি মেরামতের প্রয়োজন ছিল না। অনেক বেশি পুরনো হয়ে গেলে দেখা যেত উপরের কাপড়টা পরিবর্তন করলে আবার নতুন হয়ে যেত।

যাই হোক অনেকদিন পরে আজ মনে পড়লো সে পুরনো ছাতাটির কথা। আসলে এই ধরনের পুরনো জিনিসগুলো শুধুমাত্র এক একটি জিনিস নয় বরং এক একটি স্মৃতি এক একটি অনুভূতি। আমাদের বাসায় এখনো দুই একটা জিনিস রয়েছে যেগুলো অনেক পুরনো। শুধুমাত্র স্মৃতি ধরে রাখতেই এই জিনিসগুলো রাখা।

যাই হোক আজ এ পর্যন্ত, সকাল ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী দিন, অন্য কোন বিষয় নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 last year 

গতকাল তো আমাদের বাসায় সারাদিন ইলেক্ট্রিসিটি ছিলো না,বেশ কষ্টে ছিলাম। পরে যখন সন্ধ্যায় আসলো তখন পোস্ট তৈরি করেছিলাম।যাই হোক আমিও দেখেছি কাঠের ছাতাগুলো।অনেক ভারি ছিলো।আসলেই অনেক টেকসই ছিলো আগের ছাতাগুলো।এখন তো উল্টে যায় একটু বাতাস হলে।ধন্যবাদ

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

 last year 

খুবই ভালো উদ্যোগ সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ মাইন্ডে পোস্ট কমপ্লিট করেন যেনে ভালো লাগলো ।তাছাড়া ছোটবেলায় স্কুল লাইফে অনেক ছাতা হারিয়ে ফেলেছেন যেটা সবার জীবনের সাথেই এই গল্পের সাদৃশ্য আছে। আমি অনেক ছাতা হারিয়েছি। আপনি যে পুরনো ছাতার কথা বলছেন বর্তমানে সেটা দেখাই যায় না। সবাই এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় রেডিমেট ছাতা যেটা হালকা বাতাস উল্টে যায় বেশি দিন টেকে না। সেই ছাতা এখন আর দেখতে পাই না।

 last year 

বিদ্যুতের লোড শেডিং এখনকার সময়ে খুব সাধারণ ব্যাপার হয়ে গেছে, তবে আমাদের কাছে ভীষণ কষ্টের ব্যাপার। যাই হোক সকাল সকাল বৃষ্টি হয়েছে শুনে ভালো লাগলো। আমি নিজেও লাইফে কতগুলো ছাতা হারিয়েছি সত্যিই তার ইয়ত্তা নেই। পুরনো দিনের ছাতাগুলো সত্যিই টেকসই ছিল এবং দীর্ঘদিন ব্যাবহার করা যেতো। আপনার পোস্টটি পড়ে পুরনো দিনের অনেক কথা মনে পরে গেলো।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

জি ভাইয়া, বৃষ্টির আগ মুহূর্ত পর্যন্ত এক ধরনের ভাবসা গরম শুরু হয়। যাহোক ভাইয়া, বর্তমান আধুনিক যুগে অনেকে ছোট ছাতা ব্যবহার করলেও আমি কিন্তু এখনো বড় ধরনের ছাতা ব্যবহার করতে বেশি আরামদায়ক মনে করি। আপনার পুরনো ছাতার দারুন একটি স্মৃতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য প্রিয় ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 62102.31
ETH 2432.92
USDT 1.00
SBD 2.67