৯টি ফুলের ফটোগ্রাফি।
আজ - ১৭ই, কার্তিক |১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
যাইহোক গতকাল সকালের দিকে একটি কাজে বাহিরে বেরিয়ে ছিলাম। কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার সময় দেখলাম বাসার নিচে একজন লোক দাঁড়িয়ে ভ্যানের মধ্যে গাছ বিক্রি করছে। লোকটি পরিচিত এলাকায় মাঝেমধ্যে আসে। এলাকার বেশিরভাগ মানুষই উনার কাছ থেকে গাছ কিনে । কারো কোন গাছের প্রয়োজন হলে তাকে ফোন করে জানিয়ে দিলে তিনি সেই গাছটি নিয়ে আসেন। তবে আমার যেহেতু খুব একটা গাছ কেনা হয় না তাই ওনার সাথে খুব একটা পরিচিত নয় ।
যাইহোক ভ্যানটিতে দেখলাম খুব সুন্দর সুন্দর ফুল গাছ রয়েছে। তাই ভাবলাম এত সুন্দর ফুলগুলোর কিছু ফটোগ্রাফি করে নিই। আর চেয়েছিলাম একটি ফুল গাছ কিনতে। তবে বারান্দায় গাছ রাখার মত জায়গা কিংবা গাছ পরিচর্যা করার মত সময় আমার নেই। যদিও কিছুদিন আগের শখ করে একটি ফুলগাছ নিয়েছিলাম তবে বাসার পিচ্চিগুলো গাছটির ফুল পাতা ছিড়ে একেবারে নষ্ট করে ফেলেছিল। এছাড়াও অতিরিক্ত পানি দেওয়ার ফলে কয়েকদিন পর গাছটি এমনিতেই মরে গিয়েছে। গাছপালা এমনিতেই আমার খুবই পছন্দ তবে কেন জেনে গাছের পরিচর্যার বিষয়টি আমি খুব একটা পারিনা। গাছের খুব বেশি যত্ন করতে গিয়ে গাছে অতিরিক্ত পানি দিয়ে দেই যার ফলে পরবর্তীতে গাছটি মারা যায়।
যাই হোক কথা না বাড়িয়ে চলুন ফটোগ্রাফিগুলো শুরু করি-
এ ফুলটি নিশ্চয় সকলের কাছে খুবই পরিচিত। বিভিন্ন জায়গায় ফুলটি চোখে পড়ে। আমার খুবই ভালো লাগে এই ফুলটি। এ ফুলটি অন্যান্য ফুলের তুলনায় অনেকটাই ছোট। এবং একটি গাছে অনেক ফুল ধরে। এই ফুলটি অনেক জাতের এবং অনেক রঙের হয়ে থাকে। তবে এই জাতটি সবথেকে বেশি পরিচিত। এই ফুলটির নাম হচ্ছে জিনিয়া।
Device : oneplus 9r
Taken on : 1 November 2022
Device : oneplus 9r
Taken on : 1 November 2022
এই ফুলটিকে কসমস ফুল বলে এর ইংরেজি নাম -Sulfur cosmos flower। এ ফুলটি দেখতে কিছুটা গাঁদা ফুলের মতো লাগে আমার কাছে। অন্যান্য ফুল গুলোর মধ্যে ফুলটির অনেক জাত এবং রং রয়েছে।
এই ফুলটির নাম কসমস। উপরের ঐ ফুলটি থেকে একটু ভিন্ন রংয়ের এ ফুলটি। এ ফুলটির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর চিকন লম্বা ডাটা। ফুলটি দেখতে খুবই সুন্দর এবং খুব ছোট ।
Device : oneplus 9r
Taken on : 1 November 2022
এটি হচ্ছে হলুদ রঙ এর জিনিয়া। জিনিয়া ফুলের অনেক রং দেখলেও হলুদ রঙের জিনিস আমার খুব কমই দেখা হয়েছে।
Device : oneplus 9r
Taken on : 1 November 2022
Device : oneplus 9r
Taken on : 1 November 2022
এটি হচ্ছে কামরাঙ্গা গাছের ফুল। ছোট্ট একটি কামরাঙ্গা গাছে এই ফুল গুলো ধরেছিল। কামরাঙ্গা ফুল আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে এর অদ্ভুত বেগুনি রংয়ের কারণে।
Device : oneplus 9r
Taken on : 1 November 2022
এটি সাদা জিনিয়া ফুল। অন্যান্য রঙের জিনিয়া ফুলের তুলনায় সাদা রঙের জিনিয়া ফুল আমার সবথেকে বেশি পছন্দের। আর এখানে সবগুলো ফটোগ্রাফির জন্য এই জিনিয়া ফুলের ফোটোগ্রাফিটি আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে।
Device : oneplus 9r
Taken on : 1 November 2022
এই ফুলটির নাম হচ্ছে কাটা মুকুট। এই ফুলের গাছটিকে আমার কাছে কেমন যেন ক্যাকটাসের গাছের মত লাগে দেখতে । ফুলটি বেশ পরিচিত আমাদের দেশে। প্রায় জায়গায় দেখতে পাওয়া যায় ফুলটি।
সকলকে ধন্যবাদ ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
**
VOTE @bangla.witness as witness
OR
গাছ পরিচর্যার ক্ষেত্রে এই সমস্যায় আমিও পরি। বারান্দায় কিছু গাছ আমারও রয়েছে কিন্তু যত্ন আর পানি দেয়ার অব্যাবস্থাপনার জন্য গাছ মরে যাচ্ছে।
ফুলের ছবি সুন্দর ছিল, বিশেষ করে কামরাঙা ফুল আমার ভীষণ ভালো লাগে। আর কাটা মুকুট ফুলের গাছ আমিও কিনবো ভাবছিলাম, সত্যিই সুন্দর এটি।
আসলে ভাইয়া এটা কিন্তু ঠিক গাছে অতিরিক্ত পানি দিলে গাছ মরে যায়। বারান্দায় টবের মধ্যে গাছগুলোতে খুব অল্প পরিমাণে পানি দিতে হয় কিন্তু সকাল বিকাল দুই বেলায় পানি দিলে গাছ ভালো থাকে। আমার বারান্দায় অনেক রকম ফুল গাছ আছে। যাইহোক গাছের পরিচর্যা ভালো করতে না পারলে কি হবে ফটোগ্রাফি কিন্তু আপনি ভালই করতে পারেন ভাইয়া। আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। কচমচ ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
ফুল গাছ কিংবা যে কোন গাছে পরিমাণ অনুযায়ী পানি না দিলে গাছের গোড়া পচে যায়। বিশেষ করে টবে লাগানো গাছগুলোতে যদি বেশি পানি দেওয়া হয় তাহলে সেই মাটি একেবারেই ভেজা থাকে। ফলে গাছের গোড়ার দিকের অংশ পচে যায়। যাই হোক ভাইয়া ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি দারুন হয়েছে। বিশেষ করে কামরাঙ্গা গাছের ফুলটি দেখতে আমার কাছে বেশি ভালো লাগছে। কামরাঙ্গা ফুল দূর থেকে অনেক দেখেছি। তবে এইভাবে কখনো এর সৌন্দর্য উপভোগ করা হয়নি। দারুন ছিল ভাইয়া আপনার ফটোগ্রাফি গুলো।
ভাইয়া গাছপালার পরিচর্যা ভালো করতে না পারলে কি হয়েছে গাছপালার ফটোগ্রাফি কিন্তু ভালই করতে পারেন যা সবাই পারেনা। তবে গাছের পরিচর্যার ব্যাপারে বলবো, বেশি পানি দেয়া যায় না গাছে বেশি পানি দিলে গোড়ায় পানি জমে গাছ মরে যায়। যাই হোক কসমস ফুলগুলো কিন্তু খুব চমৎকার তাছাড়া জিনিয়া ফুলগুলো দারুন। এক একটি ফুলের একেক কালার যা আমাকে অনেক বেশি আকর্ষিত করেছে। ফুলগুলো যেমন সুন্দর আপনার বর্ণনাও তেমন সুন্দর ।
(ধন্যবাদ ভাইয়া।)
ফুল হলো সৌন্দর্যের প্রতিক আপনি যেভাবেই ফুলের ফটোগ্রাফি করে থাকেন দেখতে খুবই সুন্দর লাগবে। ভাই আপনার ফটোগ্রাফি দেখে মনে হচ্ছে না এগুলো ভ্যানের উপর থেকে তোলা। সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি আপনার ফটোগ্রাফি দেখে তাছাড়া একটু হাসি পেল এর আগে একটি ফুল গাছ কিনেছিলেন কিন্তু ছোট্ট বাচ্চারা ফুলের গাছের পাতা ফুল ছবি ছিড়ে ফেলেছে। ছোট বাচ্চাদের এই দুষ্টামিটাই তো ভাবায় অনেক ভালো লাগলো।
জেনে ভালো লাগলো যে আপনি ভালো কিছু দেখলে তা ক্যামেরাবন্দী করেন।ভ্যানওয়ালাদের কাছে নানা ধরনের গাছ পাওয়া যায়।গাছকে নিয়মিত পরিচর্যা করতে হয়। আপনার ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া।অনেক ধন্যবাদ সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার লেখাগুলো পড়ে একটি বিষয় আবারো প্রমানিত হলো। অতিরিক্ত সবকিছুরই খারাপ ফল হয়। ফুল গাছের অতিরিক্ত যত্ন করতে পানি বেশি দেয়াতে গাছটি মরে যায়। এই অংশটুকু পড়তে আমার খুব ভালো লেগেছে, অনেক শিক্ষনীয় ব্যাপার আছে এখানে।
যাইহোক ভাই ফুলের ফটোগ্রাফি আমার কাছেও খুব ভালো লাগে। প্রতিদিন চলার পথে অনেক কিছুই ভালো লাগে কিন্তু ফটোগ্রাফি করার সুযোগ হয় না। আপনার শেয়ার করা প্রত্যেকটা ফুলের ফটোগ্রাফি ভালো ছিল। হলুদ রঙের জিনিয়া ফুল দেখতে খুব ভালো লাগলো। কাটা মুকুট ফুল আমারও খুব পছন্দ কিন্তু এখানে কালার টা একটু নষ্ট হয়ে গেছে। ধন্যবাদ ভাই পছন্দনীয় কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম।
ভাইয়া আপনি অনেক দিন পরে কিন্তু আমাদের মাঝে ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। আপনার ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভাল লাগে।অনেক সুন্দর ক্লিক করেন আপনি।ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আমার ও তো একই অবস্থা।এক বারান্দা গাছ সব মরে গিয়েছে।কারণ হয় অতিরিক্ত পানি দিয়েছি,নাহলে ভুলে দেইনি ই।