বার্গার বানানোর মিশন।
আজ - ২৭শে আষাঢ় |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | বর্ষা-কাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
খাবার নিয়ে আমি আসলে মাঝেমধ্যে প্রচন্ড পাগলামি করি। কেমন জানি ভিন্ন ভিন্ন খাবার নিয়ে ভিন্ন সময় এক্সপেরিমেন্ট করার প্রতি আমার একটা ভালোলাগা কাজ করে। আগে যখন হাতে অজস্র সময় ছিল তখন দেখা যেত একেক বার একেকটা ভূত উঠতো খাবার এক্সপেরিমেন্ট এর বিষয় নিয়ে । কিসের সাথে কি দিলে খেতে কেমন হবে কিংবা রেস্টুরেন্টের এর খাবারগুলো বাসায় কিভাবে বানানো যায় তা ট্রাই করা হত।
যাইহোক, কদিনের সে পুরনো ভুতটা আবার মাথায় চেপেছে। সন্ধ্যার দিকে আমার প্রতিদিন হাঁটতে বাহিরে বের হওয়া হয়। আমার বেশিরভাগটা সময় যেহেতু কম্পিউটারের তা না হলে মোবাইলে স্কিন টাইম কাটে তাই মাঝে মাঝে একটা একঘেয়েমি কাজ করে তাই একটু রিফ্রেশমেন্ট এর জন্য সব সময় চেষ্টা করি দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় হলেও একটু বাহিরের থেকে ঘুরে আসা।
দিনে অন্যান্য সময় গুলো যেহেতু বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকা হয় এছাড়াও বিকেলে যেহেতু সময় পাইনা তাই সন্ধ্যার সময় ২৫ মিনিটের জন্য হলে বাহিরে হাঁটতে যায়। আসলে হাঁটাটা আমাদের শরীরের জন্য খুবই বেশি উপকারী। যাইহোক ঐদিন বাহিরে হাঁটতে বের হওয়ার সময় দুটি বান নিয়ে আসলাম। কেননা মাথায় ভূত চেপেছে নিজের হাতে বার্গার বানানোর।
তো যেভাবে সে কাজ। বাসায় এমনিতেই কোরবানির সময় রান্না করা মাংস ছিল। আমি মনে করি এখন অনেকের বাসায় কোরবানির মাংস রয়ে গেছে । আপনারা চাইলে কিন্তু এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন আমার মতো করে বিভিন্ন জিনিস বানিয়ে।
যাইহোক ওই রান্না মাংস গুলোকে অনেকটাই ভুনা ভুনা করে নিয়েছিলাম। এবার মাংসগুলোকে কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছি। এরপর মেয়োনিজ এবং টমেটো সস একসাথে মিশিয়ে একটি সস তৈরি করে নিয়েছি। এরপর শসা ও গাজর স্লাইস করে নিয়েছে। যদিও বাসায় টমেটো ছিল না তা না হলে টমেটো স্লাইস দিলে আরো বেশি ভালো লাগতো।
যাইহোক এবার সব কাটাকুটির পালা শেষ। এখন শুধুমাত্র সবকিছু একসাথে দিয়ে দেয়ার দেওয়ার পালা। প্রথমেই বানগুলোকে মাঝখান থেকে কেটে দুই টুকরো করে নিয়েছে। এরপর সস দিয়ে দিব। এরপরে মাংস, এরপর শশা, গাজর ও আবারো টমেটো সস এরপরে বান দিয়ে চাপা দিলেই হয়ে যাবে বার্গারটি। ব্যাস দশ মিনিটের মধ্যেই তৈরি হয়ে গেল আমার হোমমেড বার্গার।
এই বার্গারেট টেস্ট অনেকটাই বান দিয়ে মাংস খেতে যেরকম ঠিক সেরকম। তবে মেয়োনিক্স দেওয়ার কারণে একটা ফ্লেভার আসছিল। আপনারা কেউ চাইলে আমার মত এরকম শর্টকাটে বার্গার তৈরি করে নিয়ে খেতে পারেন। আসলে ছোটখাটো এই জিনিসগুলো বানানোর মধ্য দিয়ে আসলে অন্যরকম একটা আনন্দ কাজ করে। এবার আপনি বানানোর মধ্য দিয়ে প্রচুর মজা করেছি।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
বাইরের খাবার যদিও আমি এভোয়েড করি। তবে বাইরে থেকে বানটা আমারও আনা হয়।আর আপনার মতো করে আমিও বার্গার বানাই।আপনার বার্গার দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে। চমৎকারভাবে কাজটি সম্পন্ন করলেন।বাকি ছিল লেটুস পাতা।আমি আবার লেটুস পাতা পছন্দ করিনা।বেশ লোভনীয় হয়েছে ভাইয়া।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে মজার বার্গারটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ওয়াও ভাইয়া আপনার বার্গার বানানোর মিশন দেখে তো আমি ঠিক থাকতে পারছি না। জিভে জল ছিল এসেছে। খুব খেতে ইচ্ছে করছে। বার্গার বানানোর মিশনটা শিখে নিয়েছি আপনার বানানোর প্রসেস দেখে।এত সুন্দর ছিল আপনার তৈরি বার্গার বানানোর মিশন টা প্রতিটি ধাপ অনেক চমৎকার ভাবে তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
আসলে মাঝে মাঝে নতুন নতুন খাবার খেতে সবারই ভালো লাগে । আপনিও দারুন একটি আইডিয়া বের করে বার্গার তৈরি করলেন। ভালোই তো ভাইয়া শর্টকাটে বার্গার বানিয়ে ফেললেন । দেখে তো মনে হচ্ছে খেতে বেশ ভালই হবে । এভাবে ঝটপট বার্গার বানিয়ে ফেললে খেতে বেশ ভালোই লাগার কথা। দারুন একটি আইডিয়া দেখালেন । আপনার মত করে একদিন আমিও নিশ্চয়ই বাড়িতে বানিয়ে দেখব কেমন লাগে । ধন্যবাদ আপনাকে।
মাঝে মাঝে এভাবে হঠাৎ করে কিছু তৈরি করে খেতে ইচ্ছে করে। যখন ইচ্ছে করা ঠিক তখনই আমি মিশনে নেমে যাই। কিন্তু সব সময় সবগুলো উপকরণ উপস্থিত থাকে না যদিও তখন ব্যর্থ হই। যাইহোক আপনি বার্গার তৈরির মিশনের সাকসেস হয়েছে।
মাঝে মাঝে এরকম পাগলামি করতে সত্যিই ভালো লাগে। আসলে কেন জানি এখন আর সেভাবে সময় করে উঠতে পারি না। তবে চেষ্টা করব এভাবে বাসায় বার্গার তৈরি করার জন্য। আমার কাছে তো ভীষণ ভালো লেগেছে ভাইয়া। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে মজার হয়েছিল।
মাঝে মাঝে মাথায় এরকমের ভূত চাপা ভালো তো এতে করে ঘরের বউঝিদের একটু কষ্টটা কম হয়। আমার ও কিন্তু আপনার মত একটু হাটাহাটির অভ্যেস আছে।মেয়োনিজ মাংস আর বন রুটি দিয়ে যে এত সুন্দর আর লোভনীয় খাবার বানানো যায় তা আজকের পোস্টের মাধ্যেমেই দেখলাম। আমার মনে হয় ভাইয়া আপনার মাঝে মাঝে আমাদের সাথে এমন সুন্দর সুন্দর রেসিপি গুলো শেয়ার করা দরকার। এতে করে ভাবীও একটু রেস্ট পাবে আর আমরাও কিছু শিখতে পারবো।
দেখ তো মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে ভাইয়া আপনার তৈরি এই বার্গার। বানিয়ে বানিয়ে শুধু লোভ লাগাচ্ছেন আর খাচ্ছেন। আমাদেরকে তো একদিন দাওয়াত দিয়ে খাওয়াতে পারেন। অবশ্য আপনি না খাওয়ালেও আপনার কাছ থেকে আমি সুন্দর ভাবে রেসিপিটি শিখে নিয়েছি অবশ্যই বাসায় একবার ট্রাই করবো।রেস্টুরেন্টের খাবারগুলো যদি খুব সহজে আমরা বাসায় তৈরি করতে পারি তাহলে খুবই ভালো হয়।
ভাইয়া, আপনার নিজের হাতে বার্গার বানানোর প্রক্রিয়াটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। বার্গার তৈরি করার ক্ষেত্রে মাংসের সাথে বেশ কয়েকটি সবজি কেটে দেওয়াটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। নিশ্চয়ই আপনার তৈরি ধরনের বার্গার খেতে অনেক মজাদার ছিল।
ভাইয়া,প্রথম ছবিটি দেখে আমি ভেবেছিলাম আপনি বনরুটি দুটি তৈরি করেছেন।কিন্তু পোষ্টের মধ্যে ঢুকে বুঝলাম যে এগুলো কেনা।নতুন নতুন খাবার নিজ হাতে তৈরি করে খাওয়ার মজাই আলাদা।তাছাড়া সকাল সন্ধ্যা হাঁটলে মন ভালো হওয়ার পাশাপাশি শরীরের জন্য ও খুবই উপকারী।বার্গারটি খেতে নিশ্চয়ই মজা হয়েছিল, ধন্যবাদ ভাইয়া।