সেই নভেম্বর মাস..steemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগ10 months ago

আজ- ১৪ই কার্তিক ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, হেমন্ত-কাল


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।




children-5833685_1280.jpg
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।

কেমন আছেন সকালে? আশা করছি ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। এই হালকা শীতটা আসলে ভালো থাকার মত একটি ওয়েদার। এখন খুব একটা গরমও না কিংবা ঠান্ডা ও না। খুব সুন্দর চমৎকার একটি ওয়েদার এমন ওয়েদারটা সারা বছর থাকলে মনে হয় খুব ভালোই হতো। তবে সেটা তো কখনো হবার নয়। যেহেতু আমাদের ষড়ঋতুর দেশ তাই দুই মাস পর পর ঋতু পরিবর্তন হবে এটাই স্বাভাবিক। আর এই পরিবর্তনটাতে কিন্তু অনেকটাই আনন্দ লুকিয়ে রয়েছে কেননা নতুন নতুন একটা সিজন নতুন নতুন একটি পরিবেশ নতুন আবহাওয়া সব মিলিয়ে বিষয়টা বেশ মজার। অন্যান্য দেশে কিন্তু এরকম ষড়ঋতু পাওয়া যায় না। সে হিসেবে আমরা যে ছয়টি ঋতু উপভোগ করতে পারছি সেটাই আমাদের কাছে অনেক বড় ব্যাপার। অন্যান্য দেশগুলোতে দেখা যায় হয় শীত প্রধান না হলে গরম। খুব কম দেশে এরকম ছয়টা ঋতু পাওয়া যায়।

শীত গুটি গুটি পায়ে এগোচ্ছে। উত্তরের বাতাস বইছে। এখন থেকেই কিন্তু দুপুরের দিকে গোসল করতে গেলে প্রথমবার পানি ঢালতে গেলে কিন্তু শরীরটা শিউরে উঠছে । সব মিলিয়ে খুব ভালোভাবেই বোঝা যাচ্ছে যে শীতকাল দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। সারা বছর ধরে তুলে রাখা সেই লেপ কম্বল গুলো এখন নামানোর পালা। ফ্যানটাকে এখন একটু বিশ্রাম দেওয়ার পালা এসে গেছে ।

সাধারণত নভেম্বর মাসে পর থেকে মোটামুটি শীত পড়া শুরু করে। ছোটবেলায় দেখা যেত এই নভেম্বর মাসটাতে প্রচন্ড ব্যস্ত সময় কাটানো হতো কারণ বার্ষিক পরীক্ষা থাকতো। আর অপেক্ষায় থাকতাম কখন বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হবে আর নানুর বাড়িতে বেড়াতে যাব। নতুন একটি ক্লাসে উঠবো। সব মিলিয়ে এই মাসটা ছিল অনেকটা ভালো লাগার সাথে ভয়ের । কারণ ভালো রেজাল্ট না করতে পারলে তো কপালে দুঃখ আছে।

এখন জীবনে অনেক নভেম্বর মাস আসলে ও ছোটবেলায় সে সময়টার মতো আর কাটানো যায় না। এখন আর সে আনন্দটা পাওয়া যায় না নতুন ক্লাসে ওঠার নতুন বই পাওয়ার । নতুন বইয়ের গন্ধ আহ! যেন অন্যরকম। সে সবকিছু যেন এখন জীবন থেকে হারিয়ে গিয়েছে । তাছাড়া জানুয়ারি মাসের দিকে আবার স্কুলে ক্রিয়া প্রতিযোগিতার সংস্কৃতি অনুষ্ঠান এইসব কিছুই যেন অন্যরকম লেভেলের এক ভালোলাগা। দিন দিন যত বড় হচ্ছি ওই সময়গুলো যেন খুব বেশি বেশি অনুভব করছি। মনে হচ্ছে আর একটি বারের জন্য যদি ওই সময়গুলোতে ফিরে যাওয়া যেত তাহলে কতইনা মজা হত। কিন্তু সেটা তো হবার নয়, জীবন থেকে যে সময়টা চলে যায় সেটা তো আর কখনোই ফিরে পাওয়া যায় না। ভালো কিংবা খারাপ সেটা যে সময় হোক না কেন। তারপরও দিন শেষ হবে সে ছোট ছোট স্মৃতিগুলো নিয়ে ভাবতে বেশ মজাই লাগে।

এখন যখন ওই সকল বয়সের ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে দেখি তখন আমি মনে মনে বলি, ওরা হয়তো বুঝতেই পারছে না যে এই সময়টা ওদের জীবনে সোনালী একটি সময় হয়ে থাকবে। সত্যি শৈশব নিয়ে আমরা যতই কথা বলি না কেন ততোই যেন কম হয়। শৈশব কৈশোরের এত এত স্মৃতি এত এত সুন্দর সুন্দর ঘটনা গুলো যেন জীবনটাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়। আমার মতে আমাদের প্রত্যেকের শৈশবটা কৈশোরটা কিন্তু প্রায় একই। খুব বেশি ভিন্নতা নেই সেগুলোর মধ্যে। কেননা আমাদের শৈশবের সময় গুলোতো একই তাই হয়তো আমাদের প্রত্যেকের জীবনের সেই সব ঘটনা গুলোর মধ্যে খুব বেশি বড় তফাৎ থাকে না।

যাইহোক আজ এখানেই বিদায় নিতে চাচ্ছি। সকালে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী দিন আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 10 months ago 

ছোটবেলায় বছরের শেষ দিকের এবং প্রথম দিকের মাস গুলো ছিল ভীষণ আনন্দের। এই মাস গুলো তে ফাইনাল এক্সাম শেষে নানুবাড়ি যাওয়া আবার বছরের প্রথমে নতুন ক্লাসে উঠা, নতুন বই হাতে পাওয়া সবকিছুই এখন সোনালী অতীত। সত্যিই , শৈশবের কথা বলে শেষ করা যাবে না। আপনার লেখাগুলো পড়ে শৈশবের এই সময়ের দিন গুলোর কথা মনে পড়ে গেলো।

 10 months ago 

জি আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া,নভেম্বর মাসের দিকেই শীত শুরু হয়ে যায়।নতুন বই পাওয়ার আনন্দ আসলেই অন্যরকম ছিল।এখন যারা শৈশবে রয়েছে তারা একসময় গিয়ে এটা মিস করবে।এটাই প্রকৃতির নিয়ম।ভালো লেগেছে পোস্টটি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

আসলেই ভাই, ছোটবেলায় সব্বাই বড় হতে চায়, আর বড় হবার পর বোঝে যে শৈশব টাই সোনালী সময় ছিলো! আর একবার যদি শৈশবে ফিরে যাওয়া যেত -এ যেন কম -বেশি সকলেরই চাওয়া...

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

ছয়টা ঋতুর মধ্যে মোটামুটি শীত বর্ষা এবং গরমটা বেশি ভালো বোঝা যায়। বাকিগুলো প্রায় বোঝাই যায় না। নভেম্বর মানেই শীতের আগমন। নতুন বই পাওয়ার অনূভুতি ব‍্যাডমিন্টন খেলার প্রস্তুতি। দিনগুলো তখন কত রঙিন ছিল। কিন্তু এখন সেই অনূভুতি আর নেই। আমরা ফেলে এসেছি ঐ সোনালী অতীত টা।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

আসলেই আমরা খুব লাকি যে,আমাদের দেশ ছয় ঋতুর দেশ। কারণ প্রতিটি ঋতু আমরা ভিন্ন ভাবে উপভোগ করতে পারি। যাইহোক আগামী পরশু দিন থেকে নভেম্বর মাস শুরু। ইতিমধ্যে শীত আমাদেরকে হাতছানি দিচ্ছে। শীতকাল আমার ভীষণ পছন্দ। ছোটবেলায় এই সময়ে আসলেই অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করতো। নতুন বইয়ের ঘ্রাণ যে কি ভালো লাগতো, সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। যাইহোক পোস্টটি পড়ে ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল ভাই। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

ভাই, বাংলাদেশে কিন্তু এখন ছয় ঋতু দেখা যায় না। বলতে গেলে তিন ঋতু চোখে পরে কয়েকবছর ধরে। শীতের সময়টা শুরু হয়ে গেছে। আগে তো সেপ্টেম্বর এর শুরু থেকেই শীত শীত লাগতো। ছোটবেলায় খুব ব্যস্ততার মাঝেই যেত নভেম্বর মাসটা! আহা! সোনার শৈশবকে কবেই হারিয়ে ফেললাম 🙂

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.030
BTC 59096.52
ETH 2516.65
USDT 1.00
SBD 2.46