বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স একদিন।

কেমন আছেন সবাই? মনে হচ্ছে গরমকাল চলে আসলো কারণ দিনের অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ থাকে না। এতদিন শীতকালে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলাম বিদ্যুতে কিন্তু এখন লোডশেডিং বেশ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সকাল থেকে আমাদের দিকে কারেন্টের দেখা নেই। রাতেও প্রচন্ড লোডশেডিং হয়। গরমকাল না আসতেই যদি লোডশেডিং এর এই হাল হয় তবে সামনের দিনগুলোতে আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে সেটা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন।

যাইহোক এই লোডশেডিং এর বিরক্তিকর বিষয়টির কথা আর নাই বা বললাম। প্রতিটা সময় প্রত্যেকটা সিজনে আমাদের কোনো না কোনো সমস্যায় পড়তে হয়। যেমন ধরুন শীতকালে গ্যাস এর সমস্যা আর গরমকালে লোডশেডিং এর সমস্যা। নগরের এই সকল সমস্যাগুলো যেন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে আমাদের জীবনে।

যাইহোক এই সকল বিরক্তিকর বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা না করে আজকে যে বিষয়টি আপনার সাথে আলোচনা করতে এসেছি চলুন সে বিষয়টি শুরু করি।

সচারাচর আমার ঢাকায় যাওয়া হয়না তেমন একটা, কারণ আমার আত্মীয়-স্বজন মোটামুটি সবাই চট্টগ্রামে থাকে। তবে মাঝে মাঝে বিভিন্ন কাজের জন্য ঢাকায় যাওয়ার প্রয়োজন হয় । গতবার যখন ঢাকায় গেলাম তখন চিন্তা করলাম বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স থেকে ঘুরে আসা যায় কিনা। কেননা শপিং মলটি ঢাকার অন্যতম একটি বড় এবং নামকরা শপিং মল। যদিও আমি ওই শপিংমল থেকে কোন কিছু কেনাকাটার করার উদ্দেশ্যে যাই নি, এমনি ঘুরার উদ্দেশ্যে এবং খাওয়া-দাওয়া করার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলাম।

শপিং মলের শুরুতে ঢুকেই দেখলাম পেলাম আবতার সিনেমা চলছে সিনেপ্লেক্সে। প্রথমে নিচতলায় একটু ভালোভাবে হেঁটে ঘুরে দেখলাম। মার্কেটে বেশ বড় হওয়ায় অনেক সময় লাগলো ঘুরতে। আমরা একবারের টপ ফ্লোর পর্যন্ত উঠেছিলাম ।

তবে এখানে ঘুরাঘুরি করে যা দেখলাম অধিকাংশ মানুষ ই এখানে ঘুরতে আসে, আসলে তেমন একটা কিনতে কেউ আসে না। যা কেনাকাটা হয় দেখলাম মোবাইল এক্সেসরিজ এর দোকানগুলোতে। মোবাইলের দোকানগুলোতে ও বেশ ভীড় লক্ষ করা গিয়েছে। যেহেতু মার্কেটটা বেশ বড় তাই ঘন্টাখানেক ঘোরাঘুরির পর, বেশ ক্লান্ত লাগছিল। তাই পেট তাজা করার জন্য খাওয়া দাওয়া করতে চলে গেলাম উপরে একবারে। পরোটা আর চিকেন টিক্কা নিয়েছিলাম খাওয়ার জন্য। অবশেষে পেট শান্তি করে আরেকটু ঘুরে চলে আসলাম।