হতাশা।
আজ- ৭ই আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শরৎকাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
আমাদের প্রত্যেকের জীবনে ক্রাইসিস মোমেন্ট আসবে এবং সেটার সাথে আমাদেরকে অবশ্যই মোকাবেলা করতে হবে। কিন্তু আমরা যদি এই সময়গুলোতে শক্ত মানসিকভাবে না হয়ে হতাশায় পড়ে থাকি তাহলে আমাদের ওই কঠিন পরিস্থিতিটাতে মোকাবেলা করতে অনেক কঠিন হয়ে পড়বে। আমাদের মনোবল এবং সুন্দর দক্ষতা এবং জ্ঞান দিয়ে উচিত ঐ সকল পরিস্থিতি গুলোতে নিজেকে শক্ত এবং কঠিন ভাবে গড়ে তোলা। জীবনে হতাশাগুলোকে কখনোই খুব বেশি দিন পুষে না রাখা। মনকে হাসি খুশি এবং প্রাণ উজ্জ্বল করে রাখা আর এটিই হচ্ছে হতাশা থেকে মুক্তির প্রথম এবং প্রধান ধাপ।
যখন পারিপার্শ্বিক কিংবা সাংসারিক কোন বিষয় নিয়ে আপনার মধ্যে হতাশা কাজ করবে তখন চেষ্টা করবেন নিজেকে খুব বেশি ভাবনা চিন্তা থেকে দূরে সরিয়ে রাখার। কিন্তু যদি আপনি সে চেষ্টা না করেন তাহলে হতাশা প্রতিনিয়ত আপনাকে গ্রাস করতে থাকবে এবং এক সময় আপনি নিস্তেজ হয়ে পড়বেন।
বর্তমান সমাজে আত্মহত্যার মতোই জঘন্যতম পাপগুলো কিন্তু হতাশা থেকেই সৃষ্টি হয়। প্রত্যেকটা মানুষ তার নিজ নিজ জীবনকে অত্যন্ত ভালবাসে। কেউ এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে চাইনা যদিও মৃত্যু অনিবার্যের সত্য তারপরও মানুষ চেষ্টা করে অসুস্থতা কিংবা শত কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েও টিকে থাকতে, বেঁচে থাকতে। কিন্তু যখন একজন মানুষকে হতাশা তিলে তিলে মানসিক ভাবে গ্রাস করে তখন আত্মহত্যার মতো জঘন্যতম এই অপরাধটি করতে বাধ্য হয়।
তাই কখনো নিজের মধ্যে কোন হতাশাকে রাখা উচিত না। নিজেকে নিজে ভালোবাসা এবং আত্মবিশ্বাস তৈরি করা এবং নিজেকে এটি বুঝ দেওয়া যে যতই কঠিন পরিস্থিতি আসুক না কেন আমাদের জীবনে একসময় না একসময় সে কঠিন পরিস্থিতি আমরা অবশ্যই কাটিয়ে তুলতে পারবো। আর খুব বেশি অতীত নিয়ে না ভাবা। আমরা অনেক সময় ভাবি আমাদের অতীতের জীবন গুলো কতই না সুন্দর ছিল আর অথচ এখন আমরা সেই সময় গুলো আর পাই না। আর এই ভাবনা থেকে আমরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ি বর্তমানটাকে নিয়ে। তাই অতীত নিয়ে যখন আমরা খুব বেশি ভাববো তখন আমরা আমাদের বর্তমান টাকে নষ্ট করে ফেলব। বর্তমানে যে সময় গুলো রয়েছে সেগুলোকে অতীতের সাথে না ভাবাই উচিত ।
ছোট ছোট বিষয়গুলো নিয়ে খুশি থাকা এবং নিজের মত করে নিজেকে সময় দেওয়া। খুব বেশি অভিযোগ না করা। পরিবার আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবের সাথে ভালো কিছু সময় কাটানো। আর এভাবে আমরা চাইলে আমাদের মধ্যে থাকো হতাশাগুলোকে কমাতে পারি।
আজ তাহলে এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী দিন আবার ও ভিন্ন কোন আলোচনা নিয়ে আল্লাহাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
বাহ দারুন একটি টপিক নিয়ে লিখেছেন ভাইয়া।আসলেই হতাশা মানুষকে ধীরে ধীরে শেষ করে দেয়।এজন্য মেন্টালি স্ট্রং হতে হবে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হবে সবসময়।তাছাড়া জীবনে ক্রাইসিস মোমেন্ট আসবে যাবে এটাই স্বাভাবিক ।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আসলেই বর্তমান জেনারেশনের বেশিরভাগ ছেলে মেয়েরা খুব সহজেই হতাশ হয়ে যায় যেকোনো বিষয় নিয়ে। এখনকার ছেলে মেয়েদের ধৈর্য্য শক্তি খুবই কম। এতে করে অনেকের জীবন একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। তার চেয়ে যদি ধৈর্য্য সহকারে যেকোনো বিপদের মোকাবেলা করতো,তাহলে জীবনটা একেবারে সুন্দর হয়ে যেতো। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হতাশা সবার জীবনেই কমবেশি রয়েছে, হোক সেটা কর্মজীবন কিংবা সাংসারিক জীবন। তবে যারা হতাশাগ্রস্থ হয়ে মৃত্যুর পথ বেছে নেয়, আমি তাদের বোকা ছাড়া আর কিছুই বলবো না দাদা। আর যারা অতীত নিয়ে ভেবে বর্তমানকে নষ্ট করে তারাও কিন্তু বোকাদের দলেই পড়ে। তবে যারা এসব হতাশা কাটিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যায়, আমি মনে করি তারাই প্রকৃত বুদ্ধিমান।
আমাদের কখনো হতাশ হওয়া যাবে না। কষ্টের পরে সুখ আছে। আমরা যদি হতাশ হয়ে ভেঙে পরি তাহলে আমরা কখনোই সফল হতে পারব না। আমাদের পথ চলা আমাদের সহজ করে নিতে হবে। কখনো কঠিন হবে তবে সেটাকে মেনে নিতে হবে।
কথাটা ঠিকই বলেছেন ভাই আমরা অতীত নিয়ে একটু বেশিই ভাবি। অতীতে যেন একটু বেশিই পড়ে থাকি। এটা মোটেও কাম্য না। জীবনে সমস্যা হতাশা বাঁধা এগুলো আসবেই। কিন্তু থেমে থাকলে চলবে না। এগিয়ে যেতে হবে আমাদের। বেশ চমৎকার একটা পোস্ট ছিল।