এই ঝড় বৃষ্টির রাতে অসহায় মানুষগুলো।
আজ - ২৫শে জ্যৈষ্ঠ |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | গ্রীষ্ম-কাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
তবে আজ খবরের শুনলাম গতকাল থেকেই নাকি মোটামুটি বেশ কয়েকটি আঞ্চলে বৃষ্টি পড়েছে। এ বিষয়টা আসলে খুবই আনন্দের। অনেকদিন ধরে অনেক অপেক্ষায় ছিলাম আমরা সকলেই বৃষ্টির জন্য, অবশেষে এতদিন পরে আমরা বৃষ্টির দেখা পেয়েছি। আসলে খুবই প্রয়োজন ছিল আমাদের এই ওয়েদারের। কেননা আর সহ্য করা যাচ্ছিল না এই তীব্র তাপদাহ। জান জীবন একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল এই তীব্র তাপদাহে।
মানুষের মধ্যে বিরক্ততা তিক্ত তার ছাপ খুবই স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠেছিল এই তাপদাহের কারণে। অবশেষে এই বৃষ্টির কারণে মানুষের একটু শান্তি ফিরে এসেছে। এখন শুধু এটাই দেখা বাকি যে এই শীতল ওয়েদার টা কত দিন বিরাজ করে।
যাইহোক আজকে মোটামুটি গতকালকের তুলনায় অনেকটাই ঠান্ডা। রাতে যে হারে বজ্রপাত হচ্ছিল সে হিসেবে মনে করেছিলাম দুই তিন দিন ধরে চলবে এই বৃষ্টি বাদল। প্রচন্ড ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম এই বজ্রপাতে, কি হয় না হয় এমনটা ভেবে । কেননা ভয়ংকর জোরে এমন বিকট শব্দে বজ্রপাত হচ্ছিল । আর এই সব বজ্রপাত গুলো যে আমাদের আশেপাশেই পড়ছিল তা খুব ভালোভাবেই বোঝা যাচ্ছিল। আসলে বর্ষাকালের এই বজ্রপাত অনেক মানুষের প্রাণহানি হয়। বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলের দিকে এর প্রভাবটা সবথেকে বেশি। এছাড়াও এই বজ্রপাতের কারণে অনেক পশুপাখি এবং গাছ পালার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
তাই এই বজ্রপাতের সময় গুলোতে আমার সবথেকে বেশি মনে পড়ে আশ্রয়হীন প্রাণী এবং বিপদজনক স্থানে বসবাস করা ওই মানুষগুলোর কথা। আমরা তো দালানকোঠার ভিতরে বেশ আরামেই বসবাস করছি কিন্তু অনেক মানুষ আছে যারা কিনা চড়ে কিংবা সাগরের কিনারে বসবাস করে তাদের কথা ভেবে আসলেই খুব কষ্ট হয়। কেননা এই ঝড় বৃষ্টি কিংবা বজ্রপাতের এই রাতে তাদের অনেক বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। এই সকল ঝড় বৃষ্টির রাতে যখন তখন যে কোন মুহূর্তে তাদের সাথে কোন দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
যাইহোক রাতের দিকে এত ঝড় বৃষ্টি এবং বজ্রপাতে কারণে ভেবেছিলাম সকালে বৃষ্টি পড়বে
তবে সকালে উঠে দেখলাম বৃষ্টি একদমই থেমে গেছে। কিন্তু ওয়েদারের মধ্যে সে শীতলতা ভাব এখনো রয়ে গিয়েছে।
যাই হোক, সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করবেন যেন ওই সকল অসহায় মানুষগুলো ভালো থাকে। কেননা একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই পারে অসহায় মানুষগুলোকে দেখে রাখতে । এ ছাড়া আমরা যথেষ্ট চেষ্টা করব যে যা সমর্থন অনুযায়ী এই সকল মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর। এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে ও উচিত তাদেরকে যথাযথভাবে সাহায্য করার। যাহোক কাজে পর্যন্তই। দেখা হবে পরবর্তী দিন অন্য কোন বিষয় নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
আসলে ভাইয়া বজ্রপাতের সময় আশ্রয়হীন মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীগুলো সবচাইতে বেশি অসহায়ত্বের শিকার হয়। অনেক ক্ষেত্রে শোনা যায় বজ্রপাতের প্রভাবে আশ্রয়হীন মানুষদের জীবনহানির কথা। বর্তমান ঝড় মেঘের সময়ে চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে খুবই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাই ঠিক কথাই বলেছেন এতটাই তীব্র তাপদাহ ছিল যেটা মানুষ সহ্য করতে পারছিল না। অবশেষে বৃষ্টির কারণে মানুষের একটু হলেও শান্তি ফিরে এসেছে। আসলে বজ্রপাতের সময় মানুষ ও আশ্রয়হীন প্রাণীগুলোর জন্য সব থেকে বেশি খারাপ লাগে। আমরা অনেক আরামে আছি কিন্তু যারা চড়েও সাগরের কিনারায় বসবাস করছে তাদের মত অসহায় আর কেউ নেই। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।