রমজানের শৈশবের কিছু মাজার স্মৃতি।
আজ - ৯ই, চৈত্র |১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | বসন্তকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
যাইহোক, আজকের ওয়েদার টা কিছুটা ভালো আছে। গত কিছুদিন যাবত টানা বৃষ্টি পড়লেও আজ কিছুটা রোদ উঠেছে এবং ওয়েদার টাও বেশ ফুরফুরে। তবে এখনো পর্যন্ত বলা যায় না, কেননা প্রতি প্রতিমুহূর্তে ওয়েদারের বেশ পরিবর্তন ঘটছে। আজ সকাল থেকে সারাদিন বৃষ্টি না পড়লেও মাঝেমধ্যে মেঘ কালো হয়ে আসছে এরপর আবার মেঘ সরে গিয়ে রোদ উঠে এভাবেই চলছে মোটামুটি মেঘ রোদের খেলা সারাক্ষণ।
এখন যেহেতু গ্রীষ্মের শুরু তাই এভাবেই চলতে থাকবে ওয়েদারটি। হঠাৎ মেঘ ঘনিয়ে আসবে আবার হঠাৎ চকচকে রোদ উঠবে। এমনভাবে চলবেই সারা গ্রীষ্মকাল। এবার অবশ্য বর্ষাটা এসেছে একটু তাড়াতাড়ি করে। সাধারণত সিজনের প্রথমে এত বৃষ্টি কোন বারেই হয়ে থাকে না। তবে এবারে একটু ব্যতিক্রম দেখছি। আসলে পৃথিবীর দূষণ বাড়ছে তাই জলবায়ুও এমন পরিবর্তন ঘটছে। তবে আগাম বৃষ্টির ফলে এক দিক দিয়ে বেশ ভালোই হয়েছে। কেননা বৃষ্টির কারণে গরমের মাত্রাটা কিছুটা কম রয়েছে। আর যেহেতু রমজান চলে এসেছে তাই রোজাদারদের গরমের কষ্টটা একটু লাঘব ঘটবে।
যাইহোক, আজ বাদে কাল রমজান। আমার কেন জানি মনে হচ্ছে এবার রমজানটা তাড়াতাড়ি চলে এসেছে। সময় খুব দ্রুতই পার হয়ে যায় । মনে হচ্ছে এই তো কিছুদিন আগেই তো একটি রমজান মাস পার করলাম। আর এখন আরো একটি রমজান মাস চলে এলো । আসলে সময় সময়ের গতিতে চলছে শুধু পিছিয়ে রয়েছে আমরাই। আর তাইতো আমাদের কাছে মনে হচ্ছে দিনগুলো ছোট হয়ে আসছে।
রমজান মাস আসলে নিজের কাছে কেমন জানি অন্যরকম এক ভালোলাগা কাজ করে। আর পাঁচটা সাধারণ দিনগুলোর রুটিন পরিবর্তন হয়ে যায় এ রমজান মাসে। বিশেষ করে সেহেরী ও ইফতারের ওই সময়টা খুবই ভালো লাগে।
ছোটবেলায় রমজানের অনেক মজার মজার স্মৃতি রয়েছে। আসলে ওই স্মৃতিগুলো এখনো মনে পড়লে বেশ ভালো লাগে।
ছোটবেলায় তো আর রোজা রাখা হতো না, তবে প্রচন্ড বায়না করতাম রোজা রাখার জন্য। তাই বড়রা বলতো বাচ্চারা যদি অর্ধেক সময় পর্যন্ত না খায় তাহলে তাদের একটা রোজা হয়েছে। আর তখন এই সকল কথাগুলো বিশ্বাস করতাম। আর দিনে তিন-চারটা রোজা রাখতাম। আসলে এটি হচ্ছে মাদের একটা টেকনিকট সন্তানদেরকে বুঝ দেওয়ার জন্য । আমি এখনো দেখি, আমার ছোট ছোট কাজিন গুলোকে, তারাও ঠিক আমাদের ছোটবেলার মতো বায়না করে বসে রোজা রাখবে বলে। আর তাদের ক্ষেত্রেও ঠিক আগের মত একই টেকনিক ব্যবহার করা হয়। আর এই বিষয়টি বেশ মজা লাগে আমার কাছে।
আর ছোটবেলা ইফতারের সময়টাতে হতো আরেক কান্ড। ট্যাংকের শরবত বানালে লবণ চিনি ঠিক আছে কিনা সেটা দেখার দায়িত্ব ছিল আমার উপর। আর এই সুযোগে অনেকগুলো শরবত খেয়ে নিতাম আমি । আর হাতের তালুতে ট্যাংকের গুড়া নিয়ে ঠোঁট জিব্বা লাল করাইছিল প্রতিদিনকার কাজ। এ ছাড়া ও আসরের নামাজ শেষ করে মসজিদ থেকে ফেরার সময় গরম গরম জিলাপি আনা। এরপর ইফতারের সময় প্লেট সাজিয়ে আযান দেওয়ার আগেই চুপি চুপি খাওয়া এসব কিছু যেন আমাদের প্রত্যেকের জীবনে শৈশবের কিছু পরিচিত স্মৃতি।
আমি মনে করি আমাদের প্রত্যেকেরই শৈশবের স্মৃতি গুলো অনেকটাই একই। আর শৈশব হচ্ছে আমাদের প্রত্যেকের জীবনে স্বর্ণালী কিছু স্মৃতি।
যাইহোক আজ এ পর্যন্তই সকালে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। এখানেই শেষ করছি আজকের আলোচনা দেখা হচ্ছে পরবর্তী দিনে, আল্লাহাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
শরবত বানানোর সময় আমাকেও ডাকা হতো টেস্ট করার জন্য। কিন্তু আমি ভয়ে টেস্ট করতাম না। কারণ যদি কম বেশি হয় তাহলে আব্বু ইফতারের পর দিত ধমক🤭। সত্যি কথা বলতে শৈশবের সেই স্মৃতিগুলো এখনো মনে পরে। অর্ধেক দিন না খেয়ে থেকে অর্ধেক রোজা করতাম। আর ছোটরা দেখি এখন সেগুলোই করে। যাই হোক ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে ছোটবেলার সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
ছোটবেলায় আমিও একদিনে তিন চারটা রোজা রেখেছি। আর চুপ চুপ করে মাঝে মাঝেই খাবার খেতাম। আর ইফতারের সময়গুলো সবথেকে আনন্দের মুহূর্ত ছিল। সবমিলিয়ে রমজান মাস আসলেই আগের দিনের কথাগুলো মনে পরে যায়। আপনার পোস্ট পড়ে সত্যিই সেই দিনগুলোতে হারিয়ে যাচ্ছিলাম ভাই।
ভাইয়া রমজানের শুভেচ্ছা আপনাকে। আপনার ছেলেবেলার রমজানের অনুভূতি পড়ে খুব ভাল লাগলো। আপনি এটা ঠিকই বলেছেন, সবার ছোটবেলার রোজার অনুভূতি গুলো অনেকটাই একই রকম। আমিও দিনে ২ টা রোজা রাখতাম।আর মিষ্টি, লবন ঠিক আছে কিনা আমিই দেখতাম। বাসায় ছোট যে মানুষটি থাকে তাকে দিয়েই এই গুরুত্বপূর্ন কাজ গুলো করানো হতো।ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া রমজান মাসে আপনার শৈশব জীবনের মধুর স্মৃতিগুলো পড়ে বেশ ভালো লেগেছে আমার। বিশেষ করে ইফতারের সময় প্লেটে ইফতার সাজিয়ে নিয়ে আযান দেওয়ার পূর্বে ইফতার খাওয়ার বিষয়টি দারুন ছিল। এবং এই অভ্যাসটি ছোটবেলায় আমারও ছিল। আপনার এই পোস্টটি পড়ে রমজান মাসে আমার শৈশবের দিনগুলো খুবই মনে পড়ে গেল। সত্যি ভাইয়া রমজানে শৈশবের সেই স্বর্ণালী দিনগুলো খুবই মিস করি।
হ্যাঁ ভাই এবারের বর্ষা টা একটু বেশী তাড়াতাড়ি চলে এসেছে। পুরোই ব্যতিক্রম। আপনিও আপনার ছোটো বেলার মতো এখন আপনার ছোট ছোট কাজিনদের উপর টেকনিক খাটাবেন 😁। এটা অনেক মজার টেস্ট করার বদলে অনেক গুলো শরবত খেয়ে নেওয়া 😂।
আমার কাছেও এমনই মনে হয়েছে রমজান মনে হচ্ছে কয়দিন আগেই শেষ হলো। আসলেই ভাইয়া সময় তার নিজস্ব গতিতে চলে। আর আমরাই পিছিয়ে আছি। ছোটবেলায় দুপুর ১২ টা পর্যন্ত না খেয়ে থাকলে আম্মু বলতো অর্ধেক রোজা হয়েছে, আবার কালকে অর্ধেক রাখলে ১টা রোজা হবে। আর ইফতারের সময়ের মজার মজার স্মৃতি তো এখনও চোখে ভাসে। আপনার পোস্ট পড়ে কিছুক্ষণের জন্য সেই ছোটবেলায় হারিয়ে গিয়েছিলাম ভাইয়া। পোস্টটি পড়ে সত্যিই বেশ ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।