বর্তমান চিকিৎসার পরিস্থিতি।
আজ- ২৭শে পৌষ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, শীতকাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
যাইহোক সম্প্রতি সময়ে একটি নিউজ নিয়ে আমার আজকের আলোচনা। আপনারা নিশ্চয়ই কমবেশি সকলেই জানেন কিছুদিন আগে আয়ান নামক একজন ছোট্ট শিশুর প্রাণ হারাতে হয়েছে শুধুমাত্র ভুল চিকিৎসার কারণে। হয়তো সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে কোনভাবে এই নিউজটি সকলের চোখে পড়েছে কিন্তু এরকম ঘটনা প্রতিনিয়ত হয়েই চলেছে। অনেক অনেক গ্রাম কিংবা শহরাঞ্চলে অনেক জায়গায় এরকম ভুল চিকিৎসার ফলে অনেক মানুষের প্রাণহানি হচ্ছে । হয়তো সেগুলো আমাদের সকলের চোখে পড়ছে না। সংবাদগুলো থেকে যাচ্ছে অগোচরে। কিন্তু যখন এই বেদনাদায়ক, অনাকাঙ্ক্ষিত দুই একটি সংবাদ আমাদের চোখে ভেসে আসে তখন অনেকটাই হতাশ হতে হয়। আমাদের এই চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে।
আসলে আমরা অনেকটাই অনিশ্চিত জীবন পার করছি। আমরা কিসের উপর নির্ভর করতে পারি বলুন তো? যেখানে দামি নামি হসপিটালগুলোতে চিকিৎসার এমন দুরাবস্থা এবং অনিশ্চয়তা সেখানে অন্যান্য হসপিটাল গুলোর কথা তো আর নাইবা বললাম।
একজন মুসলিম পরিবারের সন্তানদের এই মুসলমানি কিংবা খাদনা এটি অতি সামান্য একটি বিষয় আর এই সামান্য একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে যে একজন শিশুর এভাবে মৃত্যু হতে পারে তা সত্যিই অবাক করা বিষয় । যদি বাচ্চাটি অসুস্থ ওতো কিংবা বাচ্চাটির যদি কোন বড় অপারেশন হতো তাহলে বিষয়টা কোনভাবে হলেও মেনে নেওয়া যেত কিন্তু সামান্য এই বিষয়টা থেকে মানুষের কিভাবে প্রাণ সংশয় হয় তা তা যেন ভাবাই যাচ্ছে না । অবশ্যই শিশুটির এমন পরিণিতের পেছনে ডাক্তারদের গাফিলতে তো ছিলই আর সেটা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে। তাছাড়া ও এখানে প্রতিষ্ঠানের অনেক বড় চাঁদাবাজি ছিল বলে আমি মনে করি, কারণ বাচ্চাটির প্রাণ সংশয় হয়েছে অনেক আগেই শুধু মাত্র পরিবারকে ভুল তথ্য এবং নিজেদেরকে বাঁচানো ও হসপিটালের বিল বাড়ানোর জন্য বাচ্চাটিকে লাইফ সাপোর্টে দিয়ে রেখেছিল এতদিন ধরে ।
এরকম অনেক অনেক নিউজ আসলে প্রতিনিত হয়েই চলেছে সময়ের সাথে সাথে নতুন কোন নিউজের ভিড়ে এই নিউজটিও এক সময় ধামা চাপা পড়ে যাবে। কিন্তু আমি বলব আমাদের অন্য যে কোন ঘটনা ভুলে গেলে ও এই ঘটনাটা ভুলে গেলে চলবে না, এটার একটি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রয়োজন। আজ একজন শিশু প্রাণ হারিয়েছে কাল অন্য আরেকজন শিশু প্রাণ হারাতে পারে যদি এই গাফিলতাটা চলতেই থাকে। তাই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রয়োজন যাতে আর কখনো এই ধরনের কোন গাফিলতি না হয়।
আজ তাহলে এখানেই বিদায় নিচ্ছি, সকলে ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী দিন আবার ও বিভিন্ন কোন আলোচনা নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
এ নিউজটা ইউটিউবে দেখেছিলাম। আসলে আয়ানের মৃত্যুটা বলতে গেলে অনাকাঙ্ক্ষিত! আমি বুঝলাম না, সুন্নতে খৎনা করাতে গিয়ে মৃত্যুর মুখে ঢলে পরবে কেন! এর পিছনে অবশ্যই ডাক্তারদের গাফিলতি রয়েছে। আমিও চাই এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আমাদের এ ধারা অনেক ঠান্ডা পড়তেছে। ঠিক কথা বলেছেন ভাইয়া, অসুস্থ হলে ডাক্তারের কাছেও যেতেও ভয় লাগে।করোনার সময় তো ডাক্তারের কাছে মানুষ গেলেই করোনা রোগী বলে চালিয়ে দিত। খবরে দেখেছিলাম আয়ান নামক একজন ছোট্ট শিশুর প্রাণ হারিয়েছে ভুল চিকিৎসার কারণে। ভীষণ খারাপ লাগতেছে আসলে মানুষের গাফিলতার জন্য এরকম হচ্ছে আবার ৬ লাখ টাকা বিল করেছে। সত্যি এটা বেশি হতাশজনক! এখন মানুষ হসপিটাল খুলে বসে আছে কোন চিকিৎসা নাই, শুধু টাকা আর টাকা। এই হচ্ছে আমাদের বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা।
খুবই অনাকাংখিত এবং দুঃখজনক এটা, আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রকৃত চিত্র আবারও আয়ানের মাধ্যমে সামনে চলে আসছে। বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে উন্নত কিছুর মাধ্যমে আর আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি শুধুমাত্র ভিন্ন মানসিকতার কারনে। ধন্যবাদ
দিনদিন চিকিৎসা বিজ্ঞান কতোটা এগিয়ে যাচ্ছে,সাধারণ ভাবে হিসাব করলে আমরা আগের চেয়ে আরও উন্নত চিকিৎসা আশা করতে পারি আমাদের দেশে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমাদের দেশের বেশিরভাগ হসপিটাল, অতিরিক্ত মুনাফার আশায় মানুষের জীবন নিয়ে খেলছে। আর বেশিরভাগ ডাক্তাররা তো কসাই হয়ে গিয়েছে। হসপিটালে গেলেই অকারণে টেস্ট লিখে দেয়। মানুষ হসপিটালে যেতে রীতিমতো এখন ভয় পায়। আয়ানের এই মর্মান্তিক মৃত্যুটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। কয়েক বছর আগে ঢাকার স্কয়ার হসপিটালে, নবজাতক শিশুর মৃত্যুর পরেও, তাকে আইসিও তে রেখে মোটা অংকের বিল বানিয়েছিল। আসলেই এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
খুবই দুঃখজনক ঘটনা আসলে।গাফিলতির কারনে এমনটা হয়েছে।এ দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা শুধুই টাকার খেলা।তাইতো যাদের টাকা আছে তারা বাইরে চলে যাচ্ছে চিকিৎসা করতে।আর বাকিরা এই পরিস্থিতির স্বীকার হচ্ছে।এক আয়ান যায় তো আরেক আয়ানকে নিয়ে এদের খেলা চলে।সত্যি শাস্তি হওয়া দরকার।
আধুনিক এই চিকিৎসা ব্যবস্থার পরেও মুসলমানি করার মত ছোট অপারেশনে কোন বাচ্চার মৃত্যু হতে পারে, এটা সত্যিই উদ্বেগজনক!😭 আয়ানের মৃত্যুর জন্য ডাক্তারদেরই গাফিলতি রয়েছে, এটাই সত্যি। বড় বড় হসপিটাল মানুষকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বড় বড় বিল তৈরি করে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখার মাধ্যমে। এগুলো কয়েকবার মুভিতেও আমরা দেখতে পেয়েছি। তবে এই ঘটনাগুলো বাস্তবেও অনেক ঘটে। যাইহোক, যারা এসব কাজকর্মের সাথে যুক্ত তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিত। ডাক্তারদের আমরা সৃষ্টিকর্তার পরের স্থান দিয়ে থাকি। তারা যদি শুধু তাদের নিজেদের লাভের স্বার্থে এরকম কাজগুলো করে তা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না।